
এই বছর আমার জীবনে তেমন কিছু অর্জন নাই। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা শহর বাসা ভাড়া নেই। গ্রীন মডেল টাউন, মুগদা তে। ইচ্ছা ছিলো ফার্মেসী কোর্স করে একটি ফার্মেসীর দোকান দিবো। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বনশ্রিতে একটি দোকানে কাজ করতাম। মুগদা থেকে বনশ্রি আসতাম আর যেতাম। খুব ভালো লাগতো। মনে এক প্রকার আনন্দ লাগতো। একদিন রিক্সা করে বনশ্রি থেকে মুগদা এসেছি। ক্ষিলগাওঁ, বাসাবো, ওয়াসা রোড এর এলাকাটি খুব ভালো লেগেছিলো। আর এই রমজানে খুব গরম পড়েছিলো। যার কারনে এই গরমে রোজা রাখতে কষ্ট হয়েছিলো। এই বছর একটি প্রিন্টার ও একটি স্ক্যানার ক্রয় করি। এই বছর সেপ্টেম্ব এর ২১ তারিখ, আমি হোন্ডা শিখতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলি। কনুই এর জয়েন্ট টি ছুটে গিয়েছিলো। এর দশ দিন পর আমার আব্বু গাইবান্ধা থেকে নওগাঁ বদলী হয়।
বদলী হয়ে গাইবান্ধা থেকে নওগাঁ আসার সময়, গাইবান্ধার জন্য খুব মায়া লাগছিলো। আমারা যে কলোনী তে ছিলাম সেখানকার সাইফুল, বাধন, দোকানদার মমিন, চা ওয়ালা আতিকুর (ছন্দ নাম) এদের কথা মনে পড়ে। আরো মনে পড়ে আমাদের বাসার খালা, যিনি আমাদের বাসায় কাজ করতেন। আর মনে পড়ে মোস্তফা আঙ্কেল এর কথা।
গাইবান্ধা শহরের ডার্চ বংলা মোড়ে একটি ফাস্ট ফুড এর দোকান আছে। ডিসি অফিসের আগে একটি হোটেল আছে। নাম বগুড়া হোটেল। তাদের খাবার এর স্বাদ খুব মজার ছিলো। এই বছরে তৃপ্তি থেকে বিপদ, ভয়, আতঙ্ক এর মধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। আমি চাই সামনের বছর আমার জীবনে সুখ আসুক।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭