
৮০ বা ৯০ শতকে আমাদের দেশে স্টুডিও ক্যালচার ছিলো। সবাই স্টুডিও তে গিয়ে টিভির সাথে, কাদে রেডিও নিয়ে বা টেলিফোন কানে নিয়ে ছবি তুলতেন। কোন অনুষ্ঠানে, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি লাইফের শেষ দিন কে স্মরণীয় করার জন্য ক্যামেরাম্যান ভাড়া করে আনতেন। বা বন্ধুরা গ্রুপ মিলে স্টুডিও তে যেতেন ছবি তুলতে। স্বামী স্ত্রীরা একটু সেজেগুজে স্টুডিও তে যেতেন ছবি তুলতে।

১৯৮০ সাল বা ১৯৯০ সালের দিকে টিভি ও টেলিফোন ছিলে একটি গর্বের বিষয়। তাই তারা এইভাবে ছবি তুলতেন। এবং মানুষ তাদের বাহবা দিতেন। তখন ছবি তুলা আজকের মত এত সহজলভ্য ছিলো না। স্টুডিও এর মালিকদের কাছেই শুধু ক্যামেরা ছিলো। একটি জেলার ভিতরে ২০ বা ৩০ জন শৌখিন ব্যাক্তি ক্যামেরা রাখতেন। তাই অনেকে শুধু বছরে একবার, খুব প্রস্ততি নিয়ে, স্টুডিও তে ছবি তুলতে যেতেন।

আগেরদিনে স্টুডিও ব্যাবসা ছিলো জমজমাট। ছবি প্রিন্ট, ফ্রেমে ছবি বাধাই সহ আরো অনেক কাজে মানুষ স্টুডিও তে যেতেন। ২০০৫ সালে যখন বাংলাদেশে ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল আসা শুরু করলো, তখন থেকে স্টুুডিও ব্যাবসা তে ভাটা পড়তে শুরু করে। ২০১১ সালে নকিয়া ৫১৩০ এর মত মোবাইল আসার পর এই মার্কেট এ কিছুটা সুধিন আছে। কারন এই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলার পর অনেকে সেই ছবি প্রিন্ট করতে যেতো।
এখন আমাদের দেশে 4G নেটওয়ার্ক চলছে। ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট সমগ্র বাংলাদেশ পৌছে গেছে। অনেক গুগল ড্রাউভ, ড্রপবক্স এর মত ক্লাউড সার্ভার ব্যাবহার করে। এখন ছবি ক্যাপচার করে সাবাই ঐ ক্লাউড সার্ভারে জমা রাখে। তারপরে মনে করেন ফেসবুক, ইন্ট্রাগামে আপলোড দেয়। এখন আর কেউ স্টুডিও তে গিয়ে কেউ ছবি তুলতে চায় না। বা সময় পায় না।
২০১৯ সালেও চাকরির আবেদন করতে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগতো। বা বিভিন্ন কাজে পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রিন্ট করতেন। ২০২০ সালের করোনা ভাইরাসের সময় সরকারি চাকরির আবেদন সব অনলাইনে হয়। তাই এখন কেউ স্টুডিও তে গিয়ে ছবি প্রিন্ট করে না। যদিও ৪ বা ৮ কপি ছবি প্রয়োজন হলে এলাকার ফটোকপি দোকানে গেলেই ছবি প্রিন্ট করে দেয়। সব মিলিয়ে এখন এই ব্যাবসা এখন সুবিধার না
ছবি সংগ্রহ: ফেসবুক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



