somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নাহল তরকারি
আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

রাজনীতিবিধ হিসেবে রাম কেমন ছিলেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ত্রেতাযুগে অযোধ্যায় দশরথ নামে এক বেদজ্ঞ, দূরদর্শী, সত্যবাদী ও প্রজাপ্রিয় রাজা ছিলেন। কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা নামে রাজা দশরথের তিন রাণী ছিল। বড় রাণী কৌশল্যার গর্ভে রামের, মেঝ রাণী কৈকেয়ীর গর্ভে ভরতের এবং ছোট রাণী সুমিত্রার গর্ভে লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম হয়। আমার দৃষ্টিতে রাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ রাজাদের একজন।

রামের পরিচয়: তিনি ছিলেন ধর্ম প্রচারক ও সমাজ সংস্কারক। যুগে যুগে যখন সমাজে বা রাষ্ট্রে পাপ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তখনই ধর্মপ্রচারক ও সমাজ সংস্কারক পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন রাজা দশরথ ও কৌশল্যা পুত্র। রাম ও লক্ষ্মণ এর মধ্যে ভালো সুস্পর্ক ছিলো। রাম এর স্ত্রী নাম ছিলো সীতা।

এই ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ: রাজা দশরথ রাম কে খুব পছন্দ করতেন। রামের সাথে সীতা বিবাহ হওয়ার পর, রাজা দশরথ রাম কে উত্তরাধিকার বানানোর মনস্থির করেন। সে সময় এক দাসী রামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তিনি ভরতের মা কৈকেয়ী কে রামের বিরুদ্ধে কান ভারী করতে শুরু করে। পরে রানী কৈকেয়ী, ষড়যন্ত্র করে ১২ বছর রাম কে বনবাসে পাঠায়। তার সাথে তার স্ত্রী সীতা ও তার ভাই লক্ষ্মণ বনবাসে যায়। সীতা ও লক্ষ্মণ রাম কে সঙ্গ দেবার জন্যই বনবাসে গিয়েছেন।

পুত্র শোকে রাজা দশরথ মারা যায়। পরে কৈকেয়ীর পুত্র ভরত সরকার প্রধান হন। তিনি বুঝছিলেন যে রাম কে জনগণ চায়। তারা রাজা হওয়া ঠিক হবে না। তাই তিনি রামের অনুপস্থিতি তে কেয়ার টেকার গভমেন্ট এর সরকার প্রধান হয়েছিলেন।

পরে বনবাসের শেষের দিকে রাবনের বোন রাম কে দেখে। রাম কে দেখে রাবনের বোনের খুব ভালো লাগে। রাবনের বোন রাম কে নানা ভালো প্রোপজ করার চেষ্টা করেন। রাম ছিলেন সু পুরুষ। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে সে শুধু সীতার সাথেই জীবন পার করবে। সে অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাবেনও না। রাবনের বোন রাম কে না না ভাবে হানি ট্রেপে ফলানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পারে নাই। এই ব্যার্থ হবার অপমানে সে নিজের ভাই কে বিচার দেয়। পরে রাবন সীতা কে অপহরন করে। পরে আমরা সবাই জানি রামের সাথে রাবনের যুদ্ধ হয়। রাম জয়ী হয়। পরে ভিবিষণ কে লঙ্কার রাজা বানিয়ে দিয়ে আসে। এই যুদ্ধে বানর সেনারা রাম কে সাহায্য করেন। যুদ্ধের ঘোসান করার আগে রাবনের দরবারে দূত পাঠানো হয়, এই বার্তা দিয়ে যে যদি সীতা কে মুক্ত করে দেওয়া হয় তাহলে এই যুদ্ধ হবে না। কিন্তু রাবন যুদ্ধ চেয়েছিলো।

এই বানর সেনার একজন সৈন্য চাইলেই সীতা কে রাবনের দরবার থেকে মুক্ত করে আনতে। তখন সীতা হনুমান কে বলেন “রাম যেন, তাকে নিজে এসে উদ্ধার করে যায়। এ্টা হবে তার জন্য সম্মানের।”

রাম আমাদের কি শিক্ষা দেয়ঃ
সরকার প্রধান কে সব সময় সচ্ছ থাকতে হয়। রাম ছিলেন ছোট কাল থেকে মেধাবী। সরকার প্রধান কে মেধাবী হতে হবে। এখন যেহেতু গনতন্ত্রের যুগ। রাজা নাই। তাই প্রধানমন্ত্রী সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের মেধাবী হতে হবে।

রাম বুঝে গিয়েছিলো তা বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। রাজা দশরথ তাকে অফার করে যে “রাম যাতে তাকে হত্যা করে সরকার প্রধান হয়।” তিনি সেটা করেন নি। কারন হত্যা করা অন্যায়। একজন ধর্মপ্রচারক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি হত্যার মত বাজে কাজ করতে পারেন না। তাই তিনি, পিতার নির্দেশে বনবাসে চলে যান।

যেখানে ক্ষমতা, সেখানেই রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র থাকবে। ভরতের মা, ভরত কে রাজনীতি করে রাজ সিংহাসেন বসিয়েছিলেন। ভরত বুঝলেন যে রাজ্য পরিচালনায় তার থেকে রাম বেশী দক্ষ। তাই তিনি রাম ফেরত আসার অপেক্ষা করতে থাকে। রাম বনবাস শেষ করলে রাজধানীতে আসেন। ও ভরত থেকে ক্ষমতা গ্রহন করেন। রাম এর সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করায় ভরতের মা এর কোন আপত্তি ছিলো না।

রাম তার জনগণ কে খুব ভালোবাসতেন। জনগণ কে খুব ভালোবাসতেন।

রাম চাইলেই ষড়যন্ত্র করে রাজ সিংহাসনে বসতে পারতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন বিচক্ষন। তিনি তখন ক্ষমতা গ্রহন করলে ভাইদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগে যাবে। তিনি বুদ্ধি করে গৃহযুদ্ধ এরিয়ে গেছেন।

শুধু তাই না। রাবনের বোন, রাম কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সাথে নানা রকম লোভনীয় অফার দেয়। তিনি ছিলেন সীতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাছাড়া তিনি ছিলেন সকল প্রকার লোভ মুক্ত। তাই তিনি বারনের বোনের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। সরকার প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের মনে কোন প্রকার লোভ লালসা থাকা চলবে না।

আমার লেখায় যদি কোন ভুল থাকে আমাকে মাফ করবেন। সরকার প্রধান/রাজনীতিবিধ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন সেটার বিশ্রেষণ করেছি। সারকার প্রধান হিসেবে তিনি ভালো ছিলেন। তিনি দক্ষ রাজনীতিবিধ ছিলেন। তার পররাষ্ট্রনীতি ও ছিলো ভালো

আমার লেখায় ভুল হতে পারে। সাজিয়ে লিখতে পারি নি। যদি কোন ভুল হয় বা আমার লেখায় আপনারা মনে আঘাত পান, সেজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমাকে আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬
১১টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×