"ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সরাসরি এথারনেট কানেকশনের কিছু বৈশিষ্ট্য"
ইন্টারনেট ব্যাবহার করার সময় "Direct Ethernet Connection" বা "Wired Ethernet Connection" আমার কাছে ভালো লাগে।
আজকাল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার সাধারণ হয়ে গেছে, যা গতি ও স্থিতিশীলতার দিকে দিকে প্রগতি করেছে। কিন্তু কিছু ব্যবহারকারীরা এখনো রাউটার ব্যবহার না করে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করছেন সরাসরি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইনের মাধ্যমে। এই পদ্ধতিকে সরাসরি ইথারনেট কানেকশন বলা হয়।
সরাসরি ইথারনেট কানেকশনের একটি বড় সুবিধা হল প্রতিষ্ঠানের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের জন্য রাউটারের প্রয়োজন নেই। এটি সরল ও দ্রুত। এছাড়াও, কিছু ব্যবহারকারী রাউটারের জন্য প্রদানকারী ব্যবহার না করে মূল সেবা এথারনেট কেবল দিয়েই ব্যবহার করতে পারে।
এই পদ্ধতি সহজ, খরচ কম, এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগের সাথে সংগতিপূর্ণ। তবে, স্থানীয় নেটওয়ার্কের কম সীমানা ও কম্পিউটার থেকে মাধ্যমিক সার্ভারের সংযোগে স্থায়িতা সমস্যা হতে পারে। প্রকৃতিতে, এই পদ্ধতিতে অধিক ব্যবহার করা হয় ব্যক্তিগত ইউজার বা ছোট কোম্পানি গুলোর কাজে।
"Direct Ethernet Connection" বা "Wired Ethernet Connection" এর মানে টা কি? আপনারা যখন ব্রডব্যান্ড এর সংযোগ নেন তখন আপনারা কি করেন? ইন্টারনেট এর সংযোগ রাউটারে স্থাপন করেন। "Direct Ethernet Connection" বা "Wired Ethernet Connection" হচ্ছে রাউটারে ইন্টারনেট কনফিগার না করে সরাসরি লেপটপে বা ডেস্কটপে স্থাপন করা।
এই সিস্টেম আমার কাছে ভালো লাগে। আমি একা থাকলে রাউটার অফ করে ডাইরেক লেপটপে Ethernet ক্যাবল ঢুকাই। পরে কনফিগার করে ইন্টারনেট সংযোগ আমার লেপটপে আনি।
এমনটি করতাম ২০১৯ সালে। তখন আমি থাকতাম নানীর বাসায়। তখন আমার নানী বেশীর ভাগ সময়ই খালায় বাসায় থাকতেন। কারন খালা ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের মাষ্টার। আর নানী খালার ছোট্ট মেয়েকে দেখাশুনা করার জন্য থাকতেন। আর সে বার মামায় বাসায় এসি লাগিয়েছিলেন। ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? খালি বাসা। এসি রুম। কি মজা!
সময়টি ছিলো ২০১৯ সালের আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে। তিনদিন খুব বৃষ্টি ছিলো। নানী তো খালার বাসায়। রাতেও আসবেন না। আমি খালায় বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম। আর সারাদিন ইন্টারনেট চালাতাম। এমন পরিস্থিতি তে কোন একদিন। আমি সকালে লেপটপ নিয়ে বসেছি। এসি ছেড়ে। রাউটার বন্ধ করে, ডাইরেক ইন্টারনেট এর Ethernet লাইনটি আমার লেপটপ এ লাগিয়েছি। ইচ্ছামত গান শুনেছি। তারপর খালার বাসা থেকে খেয়ে আবার নানীর বাসায় এসে আবার এসি ছাড়লাম। দুপুরের খাবার নিয়েই এসেছিলাম। সকালে যে লেপটপ নিয়ে বসলাম একদম উঠলাম পাচঁটা বা সাড়ে পাচঁটা বাজে। ঘড়িতে দেখি তখন ৫ টা বা সাড়ে ৫টা বাজে। পরে ভাবলাম। না এখন একটু হাটা যাক। গ্রামের রাস্তা। দিগন্তজোরা ফসলের মাঠ। মনটা খুব ভালো লাগতেছিলো। এমন ও সময় গিয়েছে যে, আমি রাত ৩ টা পযর্ন্ত সিনেমাই দেখেছি। এমন আরাম আমার ভাগ্যে বেশী দিন জুটেনি। এমন আরাম আমি মাত্র ১০ দিন করতে পেরেছি। আর নানীর সে বার কারেন্ট বিল এসেছিলো ৮০০ টাকার উপরে।
এটাই ছিলো আমার কিছু সুখের স্মৃতির মধ্যে একটি। যেখানে ছিলো ফাকা বাসা। একটি এসি। লেপটপ আর ইন্টারনেট। আর সারাদিন রাত ইউটুবে সিনেমা দেখার সুবিধা। যদিও আমার মনে এখন এতটাও রং নাই। সেই সুখের দিন গুলো যদি ফিরে পেতাম.......? উপর ওয়ালার কাছে শুকরিয়া যে আমি এমন সুখের দিনগুলো পেয়েছিলাম। এই সুন্দর মুহুর্ত্ত উপহার দেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭