ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগ্রীহিত।
মনে করুন, সময়টি ১৯৮০ সালের। গ্রামের এক সামর্থ্যবান ব্যক্তি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে তিনি বৃদ্ধ হন, আর তার ছেলেরা বড় হতে থাকে। কাজের সন্ধানে একে একে তারা শহরে পাড়ি জমায়। শহরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা বিয়ে করে, শহরে বাড়ি বানায় এবং কেউ কেউ উপজেলা শহরে নিজেদের বাড়ি বানায়। বৃদ্ধ ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মারা যাবার পর, এই বাড়িটি পড়ে থাকে অবহেলা ও অযত্নে, পরিণত হয় নিঃসঙ্গ স্মৃতিস্তম্ভে।
এই বাড়িতে রয়েছে অগণিত স্মৃতি। একসময় জমজমাট ছিলো এই বাড়ি। বিশেষ করে ক্ষেত থেকে ধান কেটে আনার সময় বাড়ির প্রতিটি সদস্যের ব্যস্ততা বেড়ে যেতো। রাতে দাদা তার নাতি-নাতনিদেরকে গল্প শোনাতেন। এখানে বাচ্চার জন্মের আনন্দে সবাই মাতোয়ারা হতো, নতুন বউকে বরণ করার উৎসবে বাড়ি মুখরিত থাকতো, আবার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বিদায় দেওয়ার সময় আনন্দের সাথে সাথে বিষাদের ছায়াও থাকতো। এমনকি প্রিয়জনের মৃত্যুর শোকও স্পর্শ করেছে এই বাড়িকে।
এই বাড়ি আজও দাঁড়িয়ে আছে, ধারণ করছে তার প্রতিটি ইটের মাঝে লুকিয়ে থাকা স্মৃতির ছাপ। কত হর্ষ-বিষাদ, উত্থান-পতনের সাক্ষী এই বাড়ি, অথচ এখন তা শুধুই একটি নীরব, নির্জন স্মৃতির মিনার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬