
আমাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স: সেবা কতটা সঠিকভাবে পাচ্ছি?
আমরা নাগরিকেরা নিয়মিত ভ্যাট ও ট্যাক্স দেই। ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বা সেবার খরচের সাথে অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করি, যা কোম্পানিগুলো সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার কথা। তবে, প্রশ্ন থেকে যায়—এ টাকার কতটা সঠিকভাবে সরকারের কাছে পৌঁছায়?
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন, “ব” টেলিকম কোম্পানি ভ্যাট হিসেবে ১০০ কোটি টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়েছে। এখন যদি তারা ১ কোটি টাকা হিসাবের ভুলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারের কোষাগারে জমা না দেয়, তখন কি হবে? এটা কি শুধুই তাদের ভুল, নাকি গাফিলতি
পরিবেশ দূষণ: ট্যাক্সের বিনিময়ে আমরা কী পাচ্ছি?
আমরা ইনকাম ট্যাক্স দেই, জমির খাজনা দেই, বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স দেই। কিন্তু এসব টাকার বিনিময়ে আমরা কি সঠিক সেবা পাচ্ছি? উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা শহরের পরিবেশ অধিদপ্তর থাকার পরেও ঢাকার বাতাস কেন দূষিত? ঢাকার বাড়িওয়ালারা যে পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়, তা দিয়েই তো শহরের পরিবেশ উন্নয়ন করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু হচ্ছে?
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বহু কলকারখানা আছে। এই কারখানাগুলো তাদের বিষাক্ত ধোঁয়া দিয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। তাদের উৎপাদন থেকে আসা বর্জ্য নদীতে ফেলে মেঘনা নদীর পানিকে ভয়াবহভাবে দূষিত করেছে। গত ২০ বছরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বর্জ্যের কারণে নদীর পানি কতটা বিষাক্ত হয়েছে, তা টেস্ট করা জরুরি। কিন্তু সেই কাজ কি সঠিকভাবে হচ্ছে?
আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দেই, যার টাকা দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মীদের বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। তবে, আমাদের প্রশ্ন—এত টাকা ব্যয় করার পরও পরিবেশ রক্ষার কাজ কতটা হচ্ছে?
যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব
গজারিয়া উপজেলার সাথে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুটি সেতু হলে এই সংযোগ অনেক সহজ ও কার্যকর হতো। কিন্তু বছরের পর বছর এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আমাদের ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হতো, তাহলে পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন পর্যন্ত সবকিছুতেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসত। এখন সময় এসেছে জনগণের দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার।
ব্লগ বেশী বড় হলে পড়তে অসুবিধা হয়। তাই বড় করলাম না।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



