গতবছর জুলাই এর সময় কোটা আন্দোলন হয়েছিলো। এই আন্দোলন করে করে কি লাভ হয়েছে? তারা কি সরকারি চাকরি পেয়েছে? সরকারি চাকরির পদ সংখ্যা বেড়েছে। আমার দৃষ্টিতে যেই লাই, সেই কদুর মত অবস্থা।
তারা রাষ্ট্র সংস্কার, সমতা, ন্যায় বিচার, সাম্যের কথা বলতাছে। আসলেই সেগুলো হচ্ছে। এখনো “জোর যার, মুল্লুক তার এই ভাবে দেশ” চলছে। ব্যাবসা ও প্রাইভেট কম্পানিতে অনেক কষ্ট। অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে, অনেক ঘাম জরিয়ে টাকা ইনকাম করা লাগে। আর সরকারি চাকরি তে ঘুস আর ঘুস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের যদি আজকে ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, বিদুৎ অফিসে চাকরি দেওয়া হয়, তারা কি পারবে ঘুস ছাড়া ফাইল ছাড়তে। আমি ১০০% শিউর যে সমন্বয়ক নাহিদ বলবে “আপনি ঘুস না দিলে, আমি আপনার জমি খারিজ করবো না। যান বাহির থেকে ২ টি সিঙ্গারা নিয়ে আসুন।” সমন্বয়ক সারজিস আলম বলবে “আপনার পাসপোর্ট এর ফরমে ভুল আছে।” ঘুস না দেওয়া পযর্ন্ত এই ফরমের ভুল, সংশোধন হবে না। সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলবে “টাকা ছাড়া আপনাকে ঢাকায় পোস্টিং দিবো না।”
সরকারি চাকরি তে ঘুস আর ঘুস। আমাদের দেশে যার টাকা বেশী শ্বশুড় বাড়িতে তার খুব দাম। টাকা না থাকলে, তাকে বিয়ের জন্য মেয়ে দেয় না। সমস্যা হচ্ছে এই জায়গায়। দেশ প্রেম বলতে এই দেশে কিছু নাই। যারা সত্যিকারে দেশ প্রেমিক ছিলো, তাদের বাধা দেওয়া হয়। দরকার হলে তাদের মেরে ফেলা হয়। আমি মনে করি ভালো কাজ করতে করতে মইরা যাওয়া ভালো। আল্লাহ/সৃষ্টি কর্তা কাছের তো বলতে পারমু যে, ‘আমি ওরে উপকার করতে গেছিলাম, ওরা মেরে ফেলেছে’
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



