২০০৯ সালে আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। তখন মাত্র দেশে ডিজিটাল বিল্পব শুরু হয়। ২০০৯ সালে ৫১২ MB মেমরি কার্ড দেখেছিলাম।
২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষার শেষে আমি নকিয়া ৫১৩০ মোবাইলটা ক্রয় করি। তখন 2G ছিলো। তখন আমার এই নকিয়া ৫১৩০ শে ও 2G ছিলো।
এই্ নকিয়া ৫১৩০ চালিয়ে তৃপ্তি পেয়েছিলাম কারন এই মোবাইল দিয়ে বাংলা অক্ষর লেখা যেতো। ফেসবুকে বাংলা অক্ষরে পোস্ট দিতাম। বাংলায় ম্যাসেজ দিতাম।
তখন ডাউনলোড স্পিড ছিলো গড়ে ২০kbps। রবিতে তখন একটি প্যাকেজ ছিলো ২৩ টাকায় ২০ MB। মেয়াদ এক সপ্তাহ। ৩০০ টাকায় ১ জিবি পাওয়া যেতো। পাঁচ এমবি একটি ফাইল ডাউনলোড হতে সময় নিতো ৫ থেকে ৭ মিনিট।
এখন ব্রডব্যান্ড এর যুগ। এখন যে কেউ স্টিমিং করে গান শুনে, ভিডিও দেখে। ২০১১ সালে মানুষ ডাউনলোড করে রাখতো। অনেকদিন দেখতো বা শুনতো। এমনও আছে এক বন্ধু একটি গান ডাউনলোড করতো। সে আবার তার ১০ জন বন্ধুকে ব্লটু প্রযুক্তি এর মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করতো।
এখন ব্রডব্যান্ড আসাতে এখন ই-মেইল এ ফাইল আদান প্রদান করে। হোয়াটএপ এর মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করে। ২০১১ সালে মানুষ সহজে ই-মেইল করতে চাইতো না। কারন এতে ইন্টারনেট খরচ বেশী পড়বে। আবার স্পিডও ছিলো কম। আবার তখন সব স্থানে ব্রডবেন্ড ছিলো না। তাই সল্প দূরতে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য এই পেন ডাইব ব্যাবহার করতো। যেমন মনে করেন আমি আমার লেপটপ থেকে পেন ড্রাইবে ফাইল কপি করে আমার বন্ধুর লেপটপে ফাইল ট্রন্সফা্র করতাম। এতে ইন্টারনেট ব্যাবহার হতো না।
এখন আমার বন্ধুর কাছে ব্রডবেন্ড আছে। আমার কাছেও ব্রডবেন্ড আছে। যার কারনে যা ফাইল লাগে ই-মেইল করে পাঠিয়ে দেই।
২০১১ সালে আমার মত মুষ্টিমেয়ো লোক ফেসবুক চালাতো। তখন ফেসবুক চালানো একটি বড় বেপার ছিলো। তখন সবার হাতে ইন্টারনেট ওয়ালা মোবাইল ছিলো না। তাই অনেকেই ফেসবুক চালাতে পারতো না।
২০১১ সালে ইন্টারনেট ওয়াল মোবাইল সহজলভ্য না হলেও মাল্টিমিডিয়া ওয়ালা মোবাইল প্রচলন ছি্লো্। অনেকেই কম্পিউটার এর দোকানে দিয়ে গান, ভিডিও গান ইত্যাদি মেমরি কার্ড এ লোড করে আসতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০০