somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফটোব্লগঃ ঢাকার চারশ বছরে, তিনটি সমসাময়িক মসজিদের পরিচয়।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে তিনটি পুরান মসজিদ তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। বলতে পারেন ঢাকার চারশ বছর পূর্তিতে আমার ছোট একটা এক্সপেডিশনের মত। প্রথম মসজিদটা হলো, মুসা খাঁর মসজিদ।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গনে এই মসজিদটা নির্মাণ করা হয় ১৬৭৯ সালে। এর নাম মুসা খাঁ এর মসজিদ। কিন্তু গঠন শৈলী দেখে এটাকে মুসা খাঁর আমলের বলা যায় না। ধারণা করা হয় শায়েস্তা খাঁয়ের আমলে মূসা খাঁয়ের ছেলে মনোয়ার খান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।





এই কবরটা কার, কেউ বলতে পারল না। তবে স্থানীয়দের মতে এই কবরখানা মুসা খাঁয়ের পুত্র মনোয়ার খানের হতে পারে।



এরপরের মসজিদটি শেরে বাংলা, নাজিউদ্দিন ও সোরওয়ার্দির কবরের ঠিক পেছনে। কবর গুলো উপর যে বিশালাকার আর্কিটেকচার আছে তার পেছনে একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় ১৬৭৯ সালের এই মসজিদটি।



ঢাকায় আসতেন সে সময় সনামধন্য ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যেই একজন শাহবাজ। তিনি ১৬৭৯ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তিনি এখানে তার দরগা শরীফও নির্মাণ করেন বলে কথিত আছে। তাঁর মৃত্যুর পর মসজিদের পেছনে তাকে সমাহিত করা হয়।







এটিই হলো শাহবাজ (রহ) এর মাজার শরীফ। এইখানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। শাহবাজের নামে এলাকার নাম শাহবাগ করা হয়েছে।



তাঁর মাজার



শাহবাজ (রহ) এর মসজিদের প্রবেশ পথ ছিল পেছন দিক দিয়ে। অর্থাৎ পূর্বদিক দিয়ে। তখন পশ্চিম দিকে কোন ফটোক ছিল না। এখন সেখানে গেলে পশ্চিম দিকের ফটোক দিয়েই প্রবেশ করতে হয়।

হাজী বেগের মসজিদ। এর নির্মাণ কাল ১৬৮৩। এটি পলাশীতে অবস্থিত।







ইতিহাস খুজতে গেলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। হাজী বেগের মসজিদের ভেতর আমি কী পেলাম দেখুন।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন লেফটেনেন্ট এর কবর দেওয়া হয়েছিল এই মসজিদ প্রাঙ্গনে। অর্থাৎ মসজিদের পূর্ব দিকে।



মসজিদের ভেতরটা ভালভাবে খেয়াল করলে একটা জিনিস চোখে পরে। আর সেটা হল, আগেকার দিনে মসজিদগুলো বেশ ছোটখাট হত। কারণ লোকসংখ্যা কম ছিল। দেখুন মাত্র তিনটি সারিতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। মুসা খাঁ, আর শাহবাজের মসজীদের ভেতরটা একই রকম। তাই এই মসজিদের ইন্টেরিয়োর দেখে নিলেই বাকিগুলোও দেখা হয়ে যায়।

সমসয়াময়িক এই তিনটা মসজিদের গঠন একই রকম। বেশ হবাক করা। তবে সমসাময়িক এরকম আরও কোন মসজিদ আছে কিনা, তা আমার জানা নেই!



সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×