somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সহজ গরুর চাপের রেসিপি (গবেষণাধর্মী)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গবেষক হিসেবে যাঁরা প্রবাসে পাড়ি জমান তাঁদের রান্না-বান্নাতেও অভ্যাস বশতঃ কিঞ্চিৎ গবেষণা ঢুকে পড়ে। বিশেষ করে পরিবার-পরিজন ছেড়ে একা থাকতে হলেতো কথাই নেই। তেমনই এক গবেষণার ফল এই রেসিপিটি। এখানে আপনাদের দেখাব কিভাবে অতিসহজে মাত্র ঘন্টাখানেকের মধ্যে গরুর চাপ তৈরি করতে পারবেন।

উপকরণ:
১. ডিস্ক আকারে কাটা গরুর মাংস, ২৫০ গ্রাম। (ব্যাস ৬-১০ সে.মি., পুরুত্ব ১ সে.মি)
২. গরম মশলার গুড়া মিক্স (এক চা চামচ)
৩. পিঁয়াজ (আধাকাপ)
৪. আদা ও রসুন বাটা (আধা চা চামচ করে)
৫. জিরার গুড়া (এক চা চামচ)
৬. লবন
৭. সয়াবিন তেল (দুই টেবিল চামচ)

পদ্ধতি:
মোটামুটি ২৫০ গ্রাম পরিমান গরুর মাংস (চারটি ডিস্ক) একটি পাত্রে পানিতে চুবিয়ে ১ টি বড় চা চামচ পরিমান গরম মশলার গুড়া এবং একই পরিমান জিরার গুড়া ঢেলে দিতে হবে। আধা ঘন্টা সেদ্ধ করার পর এর সাথে মাঝারি সাইজের একটি পিঁয়াজ কুচি (আধা কাপ), আদা ও রসুন বাটা, লবন মিশিয়ে পানি না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে। পানির পরিমান এমন নেবেন যেন শুকিয়ে যেতে যেতে মাংস মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে যায় (প্রায় ৪৫ মিনিট)। আর কিছুটা ভেজা ভেজা থাকতে নামিয়ে ফেলবেন, তা-নাহলে মাংস পুড়ে যেতে পারে।
এবার ফ্রাইং প্যানে তেল ঢেলে গরম করুন। পুরো জিনিসটি মশলা সমেত তেলের মধ্যে ঢেলে পাঁচমিনিট এপিঠ-ওপিঠ ভেজে নামিয়ে ফেলুন এবং গরম গরম রুটি সহকারে খেয়ে ফেলুন (যাঁরা পেশাদার রাঁধুনী তাঁরা গরম গরম পরিবেশন করেন, আর আমরা গরম গরম খেয়ে ফেলি! )। আশা করি স্বাদে ও গন্ধে মোস্তাকিমের চাপের চেয়ে কোনো অংশে কম মনে হবে না!




দ্রষ্টব্য:
১. আজকাল চা চামচ কয়েকরকম আকারের পাওয়া যায়। বড় চা চামচ নিতে হবে যেগুলো কিনতে পাওয়া যায়। শরবত জাতীয় জিনিসপত্রের সাথে যেগুলো ফ্রি দেয় সেগুলো আকারে ছোট। সেই ক্ষেত্রে মসলার পরিমান বাড়াতে হবে)।
২. মসলা মিক্স হিসেবে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুড়া পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে এলাচি, দারচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ, জয়ত্রী, জায়ফল ইত্যাদি মিক্স অবস্থায় থাকে। এইরকম রেডিমেড মসলা ব্যাবহার করলে ঝামেলা কম হবে।
৩. যাঁরা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, মসলার সাথে মরিচের গুঁড়া যুক্ত করে দেখতে পারেন।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×