উপকরণ:
১. ডিস্ক আকারে কাটা গরুর মাংস, ২৫০ গ্রাম। (ব্যাস ৬-১০ সে.মি., পুরুত্ব ১ সে.মি)
২. গরম মশলার গুড়া মিক্স (এক চা চামচ)
৩. পিঁয়াজ (আধাকাপ)
৪. আদা ও রসুন বাটা (আধা চা চামচ করে)
৫. জিরার গুড়া (এক চা চামচ)
৬. লবন
৭. সয়াবিন তেল (দুই টেবিল চামচ)
পদ্ধতি:
মোটামুটি ২৫০ গ্রাম পরিমান গরুর মাংস (চারটি ডিস্ক) একটি পাত্রে পানিতে চুবিয়ে ১ টি বড় চা চামচ পরিমান গরম মশলার গুড়া এবং একই পরিমান জিরার গুড়া ঢেলে দিতে হবে। আধা ঘন্টা সেদ্ধ করার পর এর সাথে মাঝারি সাইজের একটি পিঁয়াজ কুচি (আধা কাপ), আদা ও রসুন বাটা, লবন মিশিয়ে পানি না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে। পানির পরিমান এমন নেবেন যেন শুকিয়ে যেতে যেতে মাংস মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে যায় (প্রায় ৪৫ মিনিট)। আর কিছুটা ভেজা ভেজা থাকতে নামিয়ে ফেলবেন, তা-নাহলে মাংস পুড়ে যেতে পারে।
এবার ফ্রাইং প্যানে তেল ঢেলে গরম করুন। পুরো জিনিসটি মশলা সমেত তেলের মধ্যে ঢেলে পাঁচমিনিট এপিঠ-ওপিঠ ভেজে নামিয়ে ফেলুন এবং গরম গরম রুটি সহকারে খেয়ে ফেলুন (যাঁরা পেশাদার রাঁধুনী তাঁরা গরম গরম পরিবেশন করেন, আর আমরা গরম গরম খেয়ে ফেলি! )। আশা করি স্বাদে ও গন্ধে মোস্তাকিমের চাপের চেয়ে কোনো অংশে কম মনে হবে না!
![]()
![]()
দ্রষ্টব্য:
১. আজকাল চা চামচ কয়েকরকম আকারের পাওয়া যায়। বড় চা চামচ নিতে হবে যেগুলো কিনতে পাওয়া যায়। শরবত জাতীয় জিনিসপত্রের সাথে যেগুলো ফ্রি দেয় সেগুলো আকারে ছোট। সেই ক্ষেত্রে মসলার পরিমান বাড়াতে হবে)।
২. মসলা মিক্স হিসেবে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুড়া পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে এলাচি, দারচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ, জয়ত্রী, জায়ফল ইত্যাদি মিক্স অবস্থায় থাকে। এইরকম রেডিমেড মসলা ব্যাবহার করলে ঝামেলা কম হবে।
৩. যাঁরা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, মসলার সাথে মরিচের গুঁড়া যুক্ত করে দেখতে পারেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




