আমার এক সহপাঠী জিজ্ঞেস করেছিল, হিন্দুর রক্ত মুসলমানের শরীরে দেয়া যাবে কিনা। আমি তার কথায় অবাক হয়েছিলাম। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কতটুকু গভীরে প্রবেশ করলে , একজন মানুষ এরকম চিন্তা করতে পারে?
পত্রিকার পাতায় শিরোনাম আসে 'সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন'। আমি পড়ি 'বাংলাদেশীদের উপর নির্যাতন'। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যেখানে সবার বাংলাদেশী হওয়ার কথা ছিল, সেখানে হয়েছে সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘুর বিভাজন।
মহাত্মা গান্ধী , জিন্নাহ , নেহেরুর মত নেতারা যেখানে দেশবিভাগ করেছিলেন ধর্মের ভিত্তিতে, সেখানে অবশ্য আশ্চর্য্যজনক কিছু নয়। সাম্প্রদায়িকতার কারণে এপারে কাবেরী আর ওপারে আয়েষারা তাই বারেবার মারা গেছে।
তবে আর একটা ব্যাপার হলো যে, এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয় সাধারণত নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত হিন্দুরা। গয়েশ্বর রায় কিংবা সুরন্জিত সেনেরা সবসময় এসবের আওতামুক্ত থাকেন। আর যারা হামলা করে তাদেরও বেশীরভাগ নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত। আর এদের যারা উসকে দেয় তারা তাদের রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে চায়।
সবার আগে নিজেকে মানুষ ভাবুন , তাহলেই সব সমস্যার সমাধাণ হয়ে যাবে। ধর্মপ্রাণ হোন ধর্মান্ধ নয়।