কণিকা আক্তার কাস থ্রি তে পড়ে। সে টাঙ্গাইলের আইডিয়াল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষর্থী। মেধাবী, উচ্ছল, প্রাণবন্ত এই মেয়েটির বয়স মাত্র আট বছর। কিন্তু অকালেই ছোট্ট এই সোনামনির দেহে বাসা বেঁধেছে ঘাতক ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া। প্রতি মাসে ওর আধ ব্যাগ ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দরকার হয়। ‘বি পজিটিভ’ রক্ত তুলনামূলক সহজলভ্য রক্ত। আর ট্রান্সফিউশনের জন্য লাগছে খুবই সামান্য টাকা --মাত্র এক হাজার টাকা। কিন্তু এই সহজলভ্যতা আর সামান্য ক’টা টাকার কাছেই যেন হার মানতে বসেছে এই ছোট্ট শিশুটির অসীম জীবনী শক্তি আর সমস্ত প্রাণচঞ্চলতা। কারণ কণিকার বাবা টাঙ্গাইল শহরের পার্কের বাজারে দিনমজুরির ভিত্তিতে কসাইয়ের কাজ করে আর মা গৃহপরিচারিকার কাজ করে। দুজনের মোট মাসিক আয় সাকুল্যে গড়ে চার হাজার টাকা। এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া বাবদই মোটা একটা অঙ্ক চলে যায় তাদের। তাতে এ সংসারে আসলে নূন আনতে পান্থা ফুরোয়। এ পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা আর রক্ত কেনা এ অভাগা বাবা মা’র পক্ষে দূরুহ ব্যাপার। কণিকা ফ্যাল ফ্যাল করে ওর বন্ধুদের উচ্ছাস, চঞ্চলতা দেখে এখন। আর সে নিস্তব্ধ বসে থাকে স্কুলের মাঠের পাকুড় গাছের নিচে। সে কী বাঁচবে? কণিকা আমাকে জিজ্ঞেস করে ‘ভাইয়া আমার জন্ডিস (ও ওর রোগটার নাম জানে না), রক্ত নেওন লাগে প্রত্যেক মাসে। আমি কী মরে যামু?’ ছোট্ট কোমল এই শিশুর মুখে মৃত্যুর কথা শুনে আমার বুকের ভেতর খা খা করে ওঠে। কান্নায় গলাটা ব্যাথা করে। আমি অন্য দিকে তাকাই, স্বান্ত্বনা আমি দিতে জানি না। আমার শুধু কান্না পায়। কণিকার মা বলেন, ‘আমি জানি না এখন কী করব। আমার এ কলিজার টুকরা, বুকের ধনকে আমি কী আর রাখতে পারব?’ এক অসীম শূণ্যতা তখন কণিকার মায়ের চোখে, মৃত্যুর কাছে অসহায় এক স্নেহময়ী মা। কণিকার বাবার চোখে শুধু পানি, তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে বলে সে কিছুই বলতে পারে না। কণিকার বাড়িতে দাঁড়ালে মনে হয় মৃত্যুর কাছে অসহায় হয়ে মানুষগুলো সব নিথর হয়ে গেছে।
আমরা কি পারি না এ অকাল মৃত্যুটাকে ঠেকিয়ে দিতে? আমরা কি পারি না মৃত্যুর মুখ থেকে এ নিষ্পাপ শিশুটিকে ছিনিয়ে আনতে? জানি না। তবে দৃপ্ত প্রতিজ্ঞা করেছি এ লড়াইটা আমরা লড়ব। সব মানুষ মিলে অকাল মৃত্যুর বিরুদ্ধে আমরা লড়ব; যেমন মানুষ লড়েছে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই। শেষ পর্যন্ত যে ইতিহাসে মানুষই জয়ী, সেই ইতিহাসের চাকাই আমরা ঘুরিয়ে যাব। তাই শপথ নিয়ে এগিয়ে এসেছে টাঙ্গাইলেরই কিছু তরুণ তরুণী, তারা নিজের তাজা খুন দিয়ে বাঁচাতে চায় কণিকাকে।
টাঙ্গাইলে মোট সাতজন তরুণ-তরুণী যাদের রক্তের গ্র“প ‘বি পজেটিভ’ তারা প্রতিমাসে চাক্রাকারে কণিকাকে স্বেচ্ছায় রক্ত দেবে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন। এখন আমাদের দরকার কিছু টাকা। যদি সব মানুষ সামান্য কিছু করে টাকা দান করেন এই ছোট্ট মেয়েটির জন্য; তবে এ লড়াইটা দুর্বার হবে। এবার রুখে দেব আমরা অকাল প্রাণের য়। আপনাদের কাছে কণিকার আকুল আবেদন সামান্য কিছু টাকা দান করে ওকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইটা করুন।
কণিকাকে বাঁচানোর লড়াইতে আর্থিক সাহায্য পাঠানোর অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট নম্বর: সেভিংস একাউন্ট, রুমা আক্তার, ১৯৬.১০১.৪৪২৯১, ডাচ বাংলা ব্যাংক। [রুমা আক্তার কণিকার মায়ের নাম]
বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করুন: মোঃ ইমরান খান ০১৯১৭১৯৩৩১০, আইরীন পারভীন ০১৯১৫৩৪১৪৬৭
ইমেইল ঠিকানা: [email protected]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




