somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঠ্য বইয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি বিষোদগার ও সেনাবাহিনীকে ঘৃন্য করার অপচেষ্টা

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ও অহংকার। আমাদের মহার মুক্তিযুদ্ধেও এ বাহিনীর অবদান কোন অংশেই কম নয়।

অথচ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে সূক্ষ্ণ অপপ্রচার চালিয়ে সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা লক্ষনীয়।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি প্রোগ্রামে পৌরনীতি বইয়ের পাঠ-১ বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা অংশে বলা হয়েছে-

এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল সামরিক শক্তির মোকাবিলা করে টিকে থাকা প্রায়
অসম্ভব।


শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ে এ ধরনের তথ্যের সংযোগ জাতি হিসেবে হীনম্মন্যতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সরকারের আস্থাহীনতার প্রকাশ নয় কি?

একই বইয়ের বিভিন্ন অংশে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু
বক্তব্য সামগ্রিকভাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে নিয়ে এবং কিছু সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই প্রধানত
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে ইঙ্গিত করে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে।

এখানে নেতিবাচক উপস্থাপনের কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো-

সেনা সদস্যরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ, নতুন সামরিক শক্তির উদ্ভাবন বা সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র দখলের কৃতিত্ব
দেখাতে না পারলেও নিজেরাই নিজেদের রাষ্ট্র দখল করেছে দারুণ পারঙ্গমতায়।

সুপ্রতিষ্ঠিত সাংগঠনিক ভিত্তির কারণে সামরিক বাহিনী উন্নয়নশীল বিশ্বে নিজেদের রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে বেশি যোগ্য মনে
করে।

সামরিক বাহিনীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উপদল, করপোরেট স্বার্থ, উচ্চপদস্থ জেনারেলদের অভিলাষ, কোনো বিশেষ সেনাকর্মকর্তার মানসিক গড়ন সেনা অভ্যুত্থানের কারণ।

সেনাবাহিনী নিজেদের যথেষ্ট জনপ্রিয় মনে করে। তাদের ধারণা, সিভিল রাজনীতিকরা দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে জনগণ তাদের বিকল্প হিসেবে
বেছে নেয়।

বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামরিক কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।

সামরিক বাহিনী বেসামরিক আমলাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি মোটেও সহ্য করতে পারে না।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত করার পাশাপাশি দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু করে। বিকশিত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে ফেলে।

তাদের সমালোচনা করলে গণমাধ্যমের উপর তারা হস্তক্ষেপ করে।

বন্দুকের জোরে রাষ্ট্রশাসন দখল করে গুটিকয়েক জেনারেল সামরিক শাসন জারি করে দেশ পরিচালনা করেন।

নতুন করে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামরিক শাসক বেসামরিক লেবাস পরে।


বইটিতে এই জাতীয় অনেক বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে, যা একজন শিক্ষার্থীর মনে সামরিক বাহিনী সম্পর্কে শুধু নেতিবাচক ধারণারই জন্ম দেবে না, বরং তাদের প্রতি এক ধরনের ক্ষোভ ও ঘৃণারও উদ্রেক করবে।

এ কথা সত্য যে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য সত্তরের দশক এবং আশির দশকের শুরুতে সেনা-অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল। সে বিষয়ে উল্লেখ করে বারবার বহু আলোচিত বিষয়কে তুলে ধরে সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রয়াস বলে প্রতীয়মান হতে পারে। এ জন্য পুরো সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক এ বাহিনীর সব ভালো কাজকে অবমূল্যায়ন করা ও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে কি!!


সূত্রঃ কালের কণ্ঠ, ২৭ মার্চ ২০১৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×