ক.
অনেক রাত হয়ে গেলে বহু দার্শনিকতা জাগে
অনেক প্রশ্ন হাঁটে, খণ্ড ৎ এর মতো এঁকে বেঁকে
ছোট ছোট পায়ে, বলেছিলো কেঊ-
অচিরেই সাক্ষ্য দেবে,
কিভাবে শেষ নোট না লিখে ন্যাড়া চাঁদটা ঝুলে গিয়েছে
সর্পিলাকার ও পাতাহীন গাছটার উপর
এবং তাকে মাটি দেওয়া হয়েছে ব্যাবচ্ছেদহীন-
অতঃপর;
শব থেকে লতার মতো উঠে আসা
প্যাঁচানো ঘোচানো ধাঁধারা-ঝাঁঝালো নেশায় আঁটা
সমস্ত জগতের ভাণ্ড খুলে রেখে,
জমা হয় অসুস্থ চাঁদিতে; তারপর মহানন্দে চাঁদিটা পোড়ায়;
ওরা হেলেদুলে গান গায়।
আমি তখন দেখলাম, একটা পথ আছে
তার রঙ-মূলত সাদা,
এবং ছিলো আশেপাশে
আরও কিছু নিশাচর
________অন্ধকারমাখা-
পথ শেষ হয়ে গেলে নিয়তিরা নেমে আসে
ভেবেছিলাম একদিন তোমায় বলা হবে সে কথা;
কিন্তু,
আমি তো মাঝে মাঝেই ঘাস বুদ্ধি নিয়ে
এ তল্লাটে চষে বেড়াই
তারপর, আয়োজন করি একটা ক্রুসিফেরী চিহ্নিত পতাকা উৎসব
আমার শৈশব-
ল্যান্ডস্কেপ থেকে মুছে গ্যাছে নির্বিকারভাবে
কোন আবেগ বা নেশার আশ্রয়ে নয়;
বায়ুথলী নিঃসৃত জৌলুসের বাহারে-
এবং এখানে
পাওয়া যায় মরুভূমির উত্তাপ; কোনকালে ছিলো
________________________________একটা নদী;
এখন যদি মা কে ফোন করে বলি-
মা, একটা নদী চাই
_______ডুবে যাওয়ার মতো
___যদি ফোন করে বলি
_________মা,
___________একটা নদী চাই- নদী খুঁজে দাও
তবে ক্যামন হবে?
আমি তো লাটিমের মতো চক্রাকারে-
ধু ধু প্রান্তরে ধুলিয়া বেড়াই
এ
__ও
____না
ওটা কি? ধুলি-নাকি অপচ্ছায়া?
আমি ক্রমাগত একটা ঝড় তৈরি করি-
তারপর আমার শরীর মেশাই
ওর প্রতিটা বাঁক এ
____________বাঁক এ,
এবং লেপ্টে থাকি;
পৃথিবীর পুরোটাই একটা EXPERIMENT,
এবং গলাটা কাটার আগে
ফলাফল জানা নাই,
তবে খুব কাছাকাছি চলে এসে তাকে উপহাস বানাই-
এইভাবে
যে আমি স্মৃতি শক্তিটি
নিয়ন্ত্রন করি-
তুমি কোথায় পালাবে?
খ.
আমার নিয়তির পথ পাক খেয়ে নিচে
__________________নেমে গ্যাছে
______________________নিচে নেমে গ্যাছে
______________________________অন্ধকারে
তারপর দ্ব্যর্থহীন চাদরে, খুঁজে নেয়
ক্ষণে ক্ষণে লুপ্ত হওয়া পুরনো বাতাস
এবং, একবার ঘুরে এসে আবারো হয়
______________________অভিলম্ব প্রায়,
যদিও বা বারো মাস
__________এখানের নীরবতা মৌন গন্ধে ভরপুর
রঙচটা সময় চল্লিশটা পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়-
_____________________শুধুমাত্র এখানেই
__________________আর কোথাও কখনো উড়ে নাই;
_____________জমাটবদ্ধ অজস্র কালো আকাশ
____________________________একের পর এক
_____________________________________ ছাদ নাই।
গ.
ভেবেছিলাম, তোমায় বলা হবে যে কথা,
তা তো সেই কবেই হয়ে গ্যাছে কবর পোঁতা
শেষকৃত্যহীন;
ভেবেছিলাম তোমায় বলা হবে
________________একদিন; কবর খুঁড়ে
তবে পথ শেষ হয়ে গেলে আর কোনোদিন
_____________________________বলা হবে না।
পথটির নাম ছিলো ভবিষ্যৎ; দূরে
একটা ব্রীজ দ্যাখা যাচ্ছে-
চাঁদটাও বহু আগে মরে গ্যাছে,
স্বীকারোক্তি ছিলো আরও কিছু বাকি, গলাটা কাটার আগে
_____________________________ ছ্যাদা বিষয়ক গল্প;
যতো
যা ছিলো–তবে, পুরো ল্যান্ডস্কেপ ব্লার করে
চলে আসার পর, আর কিছু মনে নাই।
তারচেয়ে ব্রীজটাকে আকাশের দিকে খাড়া করে দেই।
ওটাকে এখন দ্যাখাচ্ছে একটা লম্বা মই এর মতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




