দেশের পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বিএসএফ ভারতে দীর্ঘকাল ধরে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষীদের জোর করে ওপার থেকে এপারে পুশইন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারতের নানা জায়গায় বসবাসকারী বাংলাভাষীদের ধরে ধরে আটকে রেখে পরে তাদের সীমান্তে এনে সুযোগমত ওপার থেকে এপারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। গত এক মাসে সীমান্তের বিভিন্ন পথে অন্তত 2 শতাধিক বাংলা ভাষাভাষী নর-নারী-শিশুকে পুশইন করেছে। তবে বিডিআর পুশইনের ঘটনাসমূহকে স্রেফ অস্বীকার করেছে।
পুশইনের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে শার্শার বেনাপোল সীমান্তে গত রবিবার রাতে। এ দিন কয়েকটি ভাগে ভাগ করে 63 জন বাংলা ভাষাভাষীকে বিএসএফ ও পুলিশ পুশইন করে। পুশইনের শিকার আব্দুল গনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এক যুগ ধরে তিনি ভারতের দিললীতে বসবাস করেন। সপ্তাহখানেক আগে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে ভারতীয় পুলিশ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু বুঝেওঠার আগেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে।
এর আগে গত 8 সেপ্টেম্বর মাঝ রাতে শাশর্া উপজেলার ঘিবা ও রঘুনাথপুর সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় 75 জন নারী-পুরম্নষ ও শিশুকে বিএসএফ পুশইন করে। একইভাবে ভারতীয় পুলিশ তাদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে তুলে এনে সীমান্তের ওপারে হরিদাশপুর জড়ো করে রাখে। রাতে তাদের নিয়ে এসে রাখা হয় ফাঁকা মাঠের মধ্যে। রাত গভীর হলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের গুলি করার ভয় দেখিয়ে ওপার থেকে এপারে চলে আসতে বাধ্য করে।
একইভাবে গত 1 সেপ্টেম্বর ভোরে বেনাপোলের সাদিপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্তের মাঝামাঝি দিয়ে 70 জন বাংলা ভাষাভাষী নারী-পুরম্নষ ও শিশুকে বিএসএফ ওপার থেকে এপারে ঠেলে দেয়। গত 20 সেপ্টেম্বর বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিএসএফ সদস্যরা একবার 6/7 জন বাংলা ভাষাভাষীকে প্রকাশ্যে পুশইনের চেস্টা করে। কিন্তু কর্তব্যরত বিডিআর সদস্যদের বাধার মুখে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ঃঃ দৈনিক ইত্তেফাক ঃ 03.10.2006 ঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



