অনন্ত জলিল একজন স্যার, সে দেখায় দিল কিভাবে সিনেমা হলে শিক্ষিত দর্শকদের টানতে হয়। আমরা আসলে কি দেখতে যাই? "আমরা তার থেকে কতটা বেটার" - এটা বোঝা আমাদের উদ্দেশ্য নয় তো! এখানে, রজনী কান্তের মত মুখ হা করা একশন যদি কেউ খুজে পান তবে সেটা ভিন্ন কথা। চেন্নাই এক্সপ্রেসে একটা সিন ছিল শাহরুখ কাচি দিয়ে চলন্ত গাড়ির চাকাতে কোপ দেয়ায় গাড়িটা আকাশে উঠে আছরে পরে। এটা দেখে আসলেই টম এন্ড জেরির মত মজা পাওয়ার নেচারাল ইন্সটিনক্ট কাজ করে। কিন্তু কোন এক দুঃখের মুহুর্তে, বুকের কলিজা টান মাইরা খুললে কি বিনোদন পাওয়া যায়, সেটা বোধ গম্য নয়। টকের সাথে মিষ্টি বা লবন দুইটাই চলে, কিন্তু মিষ্টির সাথে লবন! জিনিসটা তো কিছু হইল না। আমার মত অনেকেই এটাতে মজা পায় না। অথচ অনেক্কেই টিটকারীর সুরে বলতে শুনেছি, "ইটস টু মাচ"। আবার রজনীকান্তের কোন এক সিনেমায়, ব্রেইনে গুলি লাগার পর ব্রেইন টিউমার ভাল হয়ে মৃত্যপথ যাত্রি নায়ক ভাল হয়ে যায়। সেটাতেও তো আমরা মজা পেয়েছি। কিন্তু সেখানে এইভাবে ব্রেইন দেখানো হয় নাই।
মোদ্দা কথাঃ (শুধু মাত্র জ্ঞান পাপীরাই এই প্যারা পরবেন) ভালগারিজমের কোন রুল নাই, কথাটা মনে হয় ঠিক নয়। ভালরিজম যখন আর্টের অন্তুর্ভুক্ত তখন এটারো একটা বেসিক রুল তৈরী হয়ে যায়। একশন মানেই ফোর্স এন্ড ট্রিক। ফোর্সের সুপরিমিটি থাকলে বিষ্ময় আনা সহজ কিন্তু সেটা গ্রহনযগ্য ভাবে পরিবেশন করতে না পারলে বিষ্ময়ের বদলে বিরক্ত চলে আসে।
যাই হোক স্টপ টিজিং ইফ ইউ এঞ্জয় দিজ। ইটস ওকে মেক ফান ইফ গেট ফান বাট টিজ ইজ ডিফারেন্ট। দেটস রিয়েলে শো দ্যা ক্রুয়েলিটি ইন ইউ।
আইম এম জলিল ফ্যান লাইক রজনীকান্ত ফ্যান। বাট ডোন্ট হেভ দ্যা চ্যান্স। লুঙ্গী ডেন্স!!