somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুলিশ এখন দাড়ি দেখলে দাত কেলায় জিজ্ঞাস করে, কী হুজুর?!

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এক ছোট ভাই বনানী থানায় জিডি করতে গেছে। জিডিটা সে ইংরেজিতে নিয়ে গেছে। ডিউটি অফিসার এপ্লিকেশন দেখেই তিরিং বিরিং করে খেপে উঠছে এপ্লিক্যাশন ইংরেজীতে কেন? তার দাবী, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এপ্লিক্যাশন বাংলায় হতে হবে।
ছোট ভাই বলল - আইডি কার্ড হারনোর জিডি। এইবারের মত নেন, পরের বার বাংলায় নিয়া আসব।
সে প্রতিউত্তরে বলল, আমি ইংরেজি ভাল বুঝি না।
সে আসলে কিছু ঘুষ চায়। পরে জানলাম তিনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন। আর আমি দেখলাম কিভাবে চেতনার অপব্যাবহার হতে পারে। এরাই হচ্ছে চেতনা অপব্যবহারকারী।
আসার সময় বলে আসলাম, আপনার মত টেলেন্টেড মানুষ পুলিশ জয়েন করেছে জেনে ভাল লাগল। হেন্ডশেক করে থেংকু দেয়ার সময় তাকিয়ে হাসলাম কারণ সে উত্তর টা ইংরেজীতেই দিয়েছিল।

পুলিশ এখন দাড়ি দেখলে দাত কেলায় জিজ্ঞাস করে, কী হুজুর?!
আরে বেয়াদপ দাড়ী নিয়া খারপ কাজ করলেই সব দাড়িওয়ালা বদ আর তোমরা ফেরেস্তা হইয়া যাও নাই। আসলে এইটা এখন ওদের টাকা কামানোর একটা পথ। জঙ্গী সন্দেহ করলে উর্ধতন সরকার/পুলিশ প্রশাসন সহজেই বিশ্বাস করে। আর দ্বায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঝখান থেকে নিরিহ কিছু দাড়ীওয়ালা মানুষের কাছ থেকে পয়সা খেয়ে নেই। টার্গেট হিসাবে এরা খুবই উত্তম কারণ সাধারণত দাড়িওয়ালা মানুষ আল্লাহওয়ালা ও শান্তিপ্রিয় হয়।

আওয়ামিলীগের এই সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করে পুলিশের আচরণ নষ্ট করে ফেলেছে। এখন পুলিশের সাথে আইন নিয়ে কথা বলতে গেলে বলে - ঐসব বইলা লাভ নাই, কার পরিচয় থাকলে আগে দিয়া দেন।
আমি বিগত সরকারগুলোর সময় দেখেছি অন্তত তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বা শাষন মানত। আমার মনে আছে, আমি বিএনপি সরকারের সময় রাত ২-৩টার সময় ঘুরে বেড়াইছি। এখন ১১টার পর পুলিশ বলে, ঘরে যান। চোর বাটপারদের সাথে ঘুরলে প্রবলেম হবে। আমি হতবাক হয়ে চিন্তা করলাম, পুলিশ চোরদের মুক্ত হয়ে ঘুরতে দেয়! আর নিরপরাধ মানুষদের ঘরে বন্দী করে রাখছে। এখন পুলিশ মানেই আমার কাছে পোষাকী মাস্তান।

আমি চাই বাংলাদেশের কোন দল আমাদের এই অধীকারগুলো নিয়ে রাজনীতি করুক। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতি করার কেউ নাই। আমাদের বিরোধীদল, অকার্যকর, অক্ষম ও দিকভ্রান্তভাবে আর কত দিন চলবে?! রাজনীতি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে দু'এক দিন বাড়ীগাড়ি আর চেয়ার টেবিল নিয়ে মিটিং মিছিল করে হয় না। আমাদের জনগনের কন্ঠস্বর হতে হবে। অর্থনৈতিক ভাবে সুসময়ে চলতে থাকলেও আমরা চাই - এই দলীয় স্বৈরাচার নিপাত যাক, জনগনের গনতন্ত্র মুক্তি পাক।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×