কেনাকাটা শেষ। প্রচন্ড খিধা লেগেছিল। তাই রাস্তায় সিপির চিকেনে কিনে মাত্র এক কামর খেয়েছি। এমন সময় এক পথশিশু এসে জামা টান দিয়ে আমার খাবারের দিক তাকিয়ে আছে। জামা টান দেয়ায় আমার খুব বিরক্ত লাগছিল। আর খাবার দিকে তাকিয়ে থাকায় মনে হয় তখন কিছুটা আদিম হিংস্রতাও কাজ করছিল। দিলাম এক ঝারি, "পরে আসতে পারিস না।" কারণ আমার তখন সত্যি খিদায় মাথা নষ্ট। ছেলেটা দূরে যেতেই এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলাম। ভাবলাম এটা তো তার ভিক্ষার খারাপ অভ্যাস না। এমন বাচ্চারই তো ভাল খাবার খেতে ইচ্ছা করবে। সেও তো আমার মতই ক্ষুধার্ত। ডেকে নিয়ে এসে ওর পছন্দ মত খাবার আমার সামনেই খেতে বললাম।
আমি বাচ্চাদের ভিক্ষা দেই না। এতে তাদের হাতে টাকা চলে যায়। আর সেই টাকার লোভেই নেশাগ্রস্ত বন্ধু বা বড় ভাইরা তাদেরও নেশা শেখায়। এছাড়া সে সারা জীবন ভিক্ষার মত বাজে শিক্ষা নেয়, যা তাকে কখনই সাবলম্বি হতে দেয় না।
আমি শিশু শ্রমের বিপক্ষে তবে বাংলাদেশের সামাজিক বিবেচনায়, একটা কাজ অন্তত তাদের নেশা থেকে দূরে রাখে।
একজন শিশুর বিচার ক্ষমতা খুব কম থাকে। তাই তাদের হাতে টাকা দেয়া মানে নেশাগ্রস্তদের লোভের মূখে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু তাদের অধিকার আছে আপনি যা খাবেন তাই খাওয়ার। না হলে এরাই একদিন শিখবে বড় লোক বা ধনীরা মানুষ না। আর এই অমানুষদের ছিনতাই করেই নিতে হয়। হয়ত সেই শিশুই কোন একদিন আপনাকে অথবা আপনার প্রিয়জনকে ছিনতাই করে ঐ নির্মমতার প্রতিশোধ নিবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫