somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংখ্যাগরিষ্ঠ অসচেতন নাগরিক সমাজে প্রচলিত ভোট একটি রাজনৈতিক কৌতুক

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা এক.
আমাদের বুয়া মমতার মা'কে আমার মা মজা করে ১৫/১৬ দিন আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন সে গাজীপুর সি.ক. মেয়র পদে কাকে ভোটে দিবে। তখন নাম না বলে সে একটি মার্কার কথা বলল, "ঐ মার্কায় দিমু।" আমার মা জানতে চাইলেন কেন সে কি খুব ভাল লোক। বুয়া উত্তরে বলল, " বালা / মন্দ বুঝি না, আমাগর বাড়িওয়ালি [বস্তি বাড়ির মালকিন] আমাদের সবাইরে [ঐ বস্তিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ২২] ঐ মার্কায় ভোট দিতে কইছে।" শেষে ভোটের দিন বুয়া ভোট দিয়ে আসার পর আম্মা আবার তাকে জিজ্ঞেস করলেন কি কোন মার্কায় দিলা। সে বিপরিত মার্কার কথা বলল। আম্মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন "কেন?" বুয়া উত্তর দিল, "আইজ সকালে বাড়িওয়ালী সবাইরে ডাইকা চা-নাস্তা করাইয়া কইল - আগে যা কইছি সব ভুইলা যাও; আইজকা এই মার্কারে ভোট দিবা। তখন কয়েকজন কইতে চাইল আপনে এতদিন কইলেন এইটা, এখন কন অন্যটা। বাড়িওয়ালী ধমকাইয়া কইল এত কথা কও ক্যান, যা কইছি ঐভাবে ভোট দিবা, রিকসা ঠিক করা আছে, ভোট দিয়া আমার লগে দেখা করবা। বুঝছ?" আম্মা বলল যে কেন্দ্রের ভিতর তো কেউ তোমাকে দেখত না, তুমি তোমার মত ভোট দিতে। বুয়া কইল আমরা তো বাড়িওয়ালির লগে হাত ধইরা কথা দিছি। আম্মা আর কিছু বললেন না।
ঘটনা দুই.
আমার অফিসের গাড়ি চালক হোসেন [৫০] নিজ বাড়িতে থাকে। তার বাড়িতে এক ভাড়াটিয়াও আছে। তিনি মহল্লার একটা ছোট স্কুলের এইচ.এস.সি পাস শিক্ষিকা। এই শিক্ষিকা হোসেনকে মুরুব্বি হিসাবে শ্রদ্ধা করে। ভোট দিতে যাবার সময় এই শিক্ষিকা হোসেনের ঘরে এসে জিজ্ঞেস করে -
- ভাইজান কারে ভোট দিব, বলেন।
- না, তোমার যারে ভাল লাগে তারে ভোট দিও।
- না ভাইজান, আমি তো আপনার পরামর্শ ছাড়া কোন কাজ করি না।আপনি যেই মার্কায় বলবেন, সেটাতেই দিব।
- তাইলে এই মার্কায় ভোট দিও।
- ঠিক আছে, ভাইজান।
আমি বুয়া বা্‌ শিক্ষিকাকে পয়েন্ট করছি না, বুয়া ও শিক্ষিকার অসচেতনাকে পয়েন্ট করিছ।
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ভোট, একজন চিকিৎসকের ভোট, একজন প্রকৌশলীর ভোট, একজন সরকারী কর্মকর্তার ভোট, একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজিবির ভোট, একজন ব্যাংক এম.ডি'র ভোট, একজন মেজর জেনারেলের ভোট, একজন বৈঙ্গানিকের ভোট, একজন জাতীয় দৈনিকের প্রধান সম্পাদকের ভোট, একজন সংসদ সদস্যের ভোট, একজন মন্ত্রির ভোট
আর এই বুয়া / শিক্ষিকার ভোট-ক্ষমতার মাঝে কোন পার্থক্য আছে ?
সবার ভোট ক্ষমতা - ১।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×