মসজিদ আল্লাহর ঘর,মসজিদ রহমতের জায়গা-এগুলো অস্বীকার করার মত দুঃসাহস, ইচ্ছে কোনটাই আমার নেই।তবে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় যখন মুখটা পাতিলের তলার মত কালো করে বের হতে হয়,তখন এই ঘরকে রহমতের জায়গা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কষ্ট হয়।মসজিদে গিয়ে জুতো হারানোর ঘটনা নতুন নয়।তবে বিগত সময়ে আমার ক্ষেত্রে এই ঘটনা কখনোই ঘটেনি।আজ ঘটল।বাসার পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম।আজকের জুমার নামাজ।নামাজ শেষ করে দেখি সশরীরে জুতা গায়েব।অনেকেই ধিক্কার দিয়ে বলল-আরে ভাই এমন বেখেয়ালি হইলে জুতা তো হারাইবো ই।খালি ধ্যান কইরা নামাজ পড়লেই হয় না।জুতার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়।আমি কোন জবাব দেইনি।এখন খুব খারাপ লাগছে জুতার জন্য।কিছু প্রশ্নও খোঁচা দিচ্ছে বারবার।প্রশ্ন ১.আমি যদি এক ধ্যানে নামাজ না পড়ে নামাজ পড়ার পাশাপাশি জুতার দিকে খেয়াল রাখতে যাই,তাহলে আমার এই নামাজ কি একাগ্রচিত্তের নামাজ হবে?এই দোটানা মনের নামাজ দিয়ে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে?২.মসজিদ আল্লাহর ঘর।নামাজিরা আল্লাহর ঘরের মেহমান।আমাদের ঘরে কেউ যদি মেহমান হয়ে আসে আর তার যদি কিছু খোয়া যায়,তাহলে বাড়িওয়ালা হিসেবে আমাদের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যাবে।মেহমান যদি মুখপোড়া টাইপের হয়,তাহলে বলবে আপনার বাড়িতে এসে আমার জিনিস খোয়া গেছে।অতএব আপনি জরিমানা দেন।এখন কথা হচ্ছে আল্লাহর ঘরে গিয়ে যদি আমরা কিছু হারাই তাহলে এর ক্ষতিপূরণ কি আল্লাহর কাছে চাওয়া কিংবা আল্লাহকে দোষারোপ করা কি খুব অনুচিত হয়ে যাবে?৩.কারো বাড়িতে গিয়ে যদি যথেষ্ট নিরাপত্তা পাওয়া না যায় আমরা বাড়িওয়ালাকে বলতেই পারি,নিরাপত্তা দিতে পারবেন না তাহলে ডেকেছেন কেন?আল্লাহ আমাদেরকে তার ইবাদত করতে বলেন তার মানে তিনি আমাদেরকে তার ঘরে ডেকেছেন।প্রশ্ন হচ্ছে,তিনি যদি আমাদের সম্পদের নিরাপত্তা না দেবেন,তাহলে কেন ডেকেছেন?৪.আল্লাহ সর্বশক্তিমান।তিনি একদিন যদি একটা চোরের বিচার প্রকাশ্যে করেন,তাহলে কি চোরেরা ভয় পায় না?আর কি তারা মসজিদের মত পবিত্র জায়গায় চুরি করার সাহস পায়?৫.আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া ভালো মন্দ কিছুই হয় না।তার মানে চোরও আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত।চোরকে বলল চুরি কর,গৃহস্থকে বলল সজাগ থাক-ব্যাপারটা এই প্রবাদের হয়ে গেল না?আমার এই প্রশ্ন গুলো শুনে যে কেউ মনে করতে পারেন,আমি বরবাদ হয়ে গেছি.নাস্তিক হয়ে গেছি।কিন্তু না।আমি আল্লাহর উপর ১০০ভাগ বিশ্বাস রাখি।তবে দুঃখ তখনই হয়,যখন দেখি পবিত্র জায়গাগুলোতে অবাধে পাপের কাজ হচ্ছে আর আল্লাহ নীরব।চোখের সামনে খারাপ কাজ হবে একজন সুশাসক সেই খারাপ কাজকে আটকাবে না,বাধা দেবে না,এটা কেমন কথা?
মসজিদ রহমতের জায়গা-এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন