আরবি জানা পন্ডিতদের কোরান নিয়া গবেষণার শেষ নাই । আইজকাল তো আবার বিগ ব্যাং , এলএইচসি, এইডস সবকিছুই কোরানে পাওয়া যাইতাসে । গবেষণা যতই বাড়তাছে নতুন নতুন জিনিস পাওয়া যাইতাছে ঠিকই, কিন্তু একটা ব্যাপার এখনও কোরান-গবেষকদের থাইকা থাইকা চুলকায় । ব্যাপারটা হইতাছে কোরানে নতুন নতুন জিনিস ঠিকই পাওয়া যাইতাছে কিন্তু পুরান কিছু ঘা কিছুতেই ঢাকন যাইতাছে না । মাঝে মাঝে এইটা তাদের অনেককে পাগল কইরা দেয় ।
মিশরীয় এক কুরান পন্ডিতের রচনা পর্ছিলাম, বচ্ছরখানেক আগে । সমস্যা কুরানের উত্তরাধিকার আইন নিয়া । কুনো ব্যাটা যদি একাধিক মাইয়া, বাপমা, আর বউ রাইখা মারা যায় তাইলে কুরানের হিসাবমতে সবার ভাগ বুঝাইয়া দিতে গেলে ব্যাটা যা রাইখা গেছে, তা দিয়া হয় না । মাইয়াগোরে ২/৩ ভাগ, বাপমারে ১/৩ ভাগ দিয়া দিলে বউয়ের ১/৮ ভাগ কইত্থাইকা আসবো ।নানান জনে নানানভাবে সমাধান দেয়ার ব্যার্থ চেষ্টা চালাইছে কালে কালে । এইটা এত পুরান যে প্রথম সমাধানটা ছিল চাইর নম্বর খলিফা আলীর।
যাইহোক, মিশরীয় পন্ডিত আহমদের সমাধানটা যুগান্তকারী । তার কথা হইল মাইয়াগোরে ২/৩ ভাগ না, দিতে হইব ১/৩ ভাগ । তার যুক্তিগুলা ছিল পিউরলি ভাষাভিত্তিক, তাই অইগুলা নিয়া আলুচনা করার আমার কুনো উপায় ছেল না । কিন্তু কয়দিন পর দেখি আহমদের মুসলিম ভাইরাই তারে আহাম্মক ডাকতাছে, আর লজ্জায় জিহ্বা কামড়াইতাছে । বিষয়ডা কি । আইজপর্যন্ত পৃথিবীতে যতগুলা অনুবাদ হইছে কুরানের তারা সবাই তো কইছেই পেলাস আরব দেশগুলার আইনেও মাইয়াগোর ভাগ ২/৩ ই ধরা আছে । কিন্তু যেইটা মুসলিম ভাইগো লাইগা লইজ্জার ছিল সেইটা হইল, এক মাইয়া থাকলে মাইয়া পায় ১/২ ভাগ আর একাধিক মাইয়া হইলে তারা পাইব ১/৩ (সবাই মিলা) এইটা তো একটা রামছাগল ছাড়া আর কার কথা হইব । হায় হায় আহমদে করে কি, অর কথা যদি হাচা হয় তাইলে তো আরো বেশী সমস্যা ।
কিন্তু কে হুনে কার কথা । আহমদ তার স্বিদ্ধান্তে অটল । কারন: ২৬ বছর ধইরা সে কুরান গবেষণা করে, তার ঘরে একটা আরবি গেরামার বই আছে অইটা তার যুক্তি সমর্থন করে আর সে নামায পইড়া আল্লার কাছে দুয়া করছিল এই সমস্যার একটা সমাধান দেহানোর জইন্য তারপরইনা তার মাথায় এইডা আসছে । অন্য অনুবাদকদের কথা, আরব দেশগুলার কথা কিছুই সে মানব না ।
আহমদের এছলাম । আহমদের কুরান ।
পর্থম পর্থম বাল গজাইলে অনেকে আয়না দিয়া দেখে । ইনতারনেত হাতে পাওনের পরে অনেক ফোরামে আমি এছ্লামের বিষয়গুলা নিয়া মোছলেমগোরে খুচাইতাম ।
যদি কই পাকিরা এছলামের কথা কইয়া আমাগোর উপর একাত্তরে কত অইত্যাচার করছে, তাইলে কয় পাকিরা এছলামের কথা কইলেই তো আর হইব না । অরা নিজেগ খুশিমত এছলামের ব্যাখ্যা দিছে । অগো এছলাম সঠিক এছলাম না । আইচ্ছা ভালো কথা, এছলামি অটোমান খিলাফত যে এছলামের নাম দিয়া আনাতোলিয়ায়, ভারতে অইত্যাচার চালাইছে অইডা কি এছলামের দুষ না ? এছলামে ছড়ানোর লাইগাই তো অরা এইসব কর্ছিল । উত্তর :প্রথম চাইর খলিফার পরে আর কুনো খলিফার কামের লাইগা এছলামরে দুষ দেওন যায়না । অগো এছলাম সঠিক ছিল না । অগোরে টেকার লুভে পাইছিল ।
ভালোকতা তাইলে সঠিক সত্য এছলাম কুনডা । ঠিক কুনডারে সমালোচলা করলে এছলামের সমালোচনা হইব । এইডার জবাব আবার জনে জনে আলাদা । একমাত্র সত্য হইল গিয়া কুরান, কুরান আর সহি হাদীস ছাড়া আর কুনোকিছুই ঠিক না, কুরান হাদিস সত্য আউলিয়াগো ব্যাখ্যা চাইর ইমামের ব্যাখ্যা , এইরহম আরো কত কি ।
ভালোকতা, কুরানে চুরি করলে হাত কাইটা দিতে কইছে, যুদ্ধবন্দিগোরে ধর্ষণ জায়েজ করছে, দাসিগো লগে সংগম জায়েজ করছে এইগুলা তো কুনো ভালো শিক্ষা না ।
আরে মিয়া, কুরান নাজিল হইছে সময়ে সময়ে, যুগের প্রয়োজনে । কুরান বুঝতে হইলে তখনকার পরিস্থিতি বুঝতে হইব, আয়াতের শানে নুযুল বুঝতে হইব । কেমনে? হাদিস থাইকা, তাফসির থাইকা । তাইলেই সত্যিকারের এছলাম বুঝা যাইব ।
মাগার হাদিসের অবস্থা তো আরও ভয়ানক । হাদিসে বর্বরতা, অন্যায় যুদ্ধ, চাঁদাবাজিম, যুদ্ধবন্দি-সংগম এইরকম অনেক কিছু তো আছে ।
আরে মিয়া খালি হাদিস একটা পাইলে অইটা নিয়া লাফাইলেইতো হইব না । ত্খনকার অবস্থা বুঝতে হইব, ভিতরের কারন বুঝতে হইব । তা বুঝাও না দেখি, কোন অবস্থায় এইগুলা জায়েজ হইতে পারে । আমার তো মনে কুনো অবস্থাতেই যুদ্ধবন্দী-ধর্ষণ ভালু কাম হইতে পারে না । উত্তর : এত কিছু কি আমি ব্যাখ্যা করতে পারমু, আমার কি আর এত জ্ঞান? হাদিস-বিশেষজ্ঞদের কাছে যাও, তাদের অনেক জ্ঞান আছে এছলাম নিয়া, তারা তুমারে সমাধান দিতে পারবো ।
অই মিয়া তুমি না কইলা কুরান আর সহি হাদিস ছাড়া আর কুনো কিছু দিয়া এছলামের সমালুচনা করন যাইবো না ?
মিনমিন করে কথা পাল্টায় মোছলেমরা । আরে ভাই হাদিসগুলা লিখা হইছে নবীর মরারও অনেক পরে, সাহাবাগো স্মৃতির উপর ভর কইরা । অইখানে অনেক ভুল থাকতে পারে । তাই হাদিস বাদ দেও । কুরানের এছলামই সত্য এছলাম ।
আইচ্চা খালি কুরানের কথা কই । কুরানে দাসি, যুদ্ধবন্ধি, কাফের এইগুলা নিয়া যেসব কথা আছে এইগুলা তো খুবই শরমের কথা । উত্তর : সবগুলারই কারণ আছে, তাফসির পড়া ছাড়া তো পুরাপুরি বুঝবা না ।
মওদুদীর তাফসির, খোমেনির তাফসির ?
না, অগোটা না । অরা এছলামের ভুল ব্যাখ্যা দিছে ।
তাইলে কুনটা ঠিক কুনটা বেঠিক কে ঠিক করবো ?
এই পর্যায়ে আইসা অনেকে অনেক রকম নাম প্রস্তাব করে, রশিদ খলিফা, মহিউদ্দিন এইরকম আরো অনেক নাম । সবার কাছে তার তারটা কুরানের সত্য ব্যাখ্যা, সত্য এছলাম ।
কেউ কেউ আরেককাঠি সরেস । তাদের কতা, আরবি কুরান ছাড়া আর কুনোকিছুতেই সত্য এছলাম পাওয়া যাইব না । ইহুদি খ্রিস্টানরা এছলামের বিরুদ্ধে ষড়য্ন্ত্র কইরা অনুবাদে ইচ্ছা কইরা খারাপ জিনিস ঢুকাইয়া দিছে ।
তা তুমি কওনা কুন জায়গায় কি ভুল ঢুকাইয়া দিছে । উত্তর : আমিতো আরবি জানি না । তাইলে তুমি জানলা কেমনে ভুল ঢুকাইছে ইহুদি খিরিসটানরা ? উত্তর : নিজে আরবি শিখা কুরান পড়, আল্লা খুশি হইব । সত্য এছলামের দেখা পাইবা ।
এইখানে আমি ঠেইকা যাই ।
এক আরবীয় নাস্তিক মোছলেমদের উদ্দেশ্যে লিখছিল: এইসব বালছাল বিশ্বাস ছাইড়া যুক্তির জগতে আস । তার উত্তরে আরেক আরবীয় রসিক লিখছিল: " আমাগো বাদামি-দাসগুলারে জাগাইয়া দেওনের কি কাম? অরা আরবীয় বীর্য নিয়া দিনে পাঁচবার কুলি করে, আবার এইটারে একট ভালা কামও মনে করে । হুদাহুদি অগোরে একটা ভালা জিনিস থাইকা বঞ্চিত করনের কি কাম ।"
আরবি শিখনও আমার হইল না । সত্যিকারের এছলামের খুজও পাইলাম না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১