somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-২

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১
Click This Link

গত রাইতে শয়তানে ভালোভাবেই পাইছিল মনে হয় আমারে আর মোন্তাজির দুইজনেরেই । নাইলে সিরকেট খাইয়া ফিরাই আসছিলাম হঠাৎ আমি কৈলাম চল বাইরাইছি যখন বুলুও দেইখা আসি । শফিকরে খবর দেয়া ছিল না । ওর দোকানের একটু আগে থাইমা মাহবুব রে পাঠাইলাম টুপি পান্জাবি খুইলা । দোকানে কখন কেডা থাকে কওন যায় না । পরে দোকানের পিছে শফিকের সাথে ব্যবস্থা ঠিক কৈরা আধঘন্টার মত শীতের মইধ্যে দাড়াইয়া থাকতে হৈল । দোকান বন্ধ কৈরা শফিক পিছের ছুড দরজাটা খুইলা দিলে ভিতরে ঢুইকা বুলু দেখা শুরু করি ।

কাইল নতুন একটা ক্যাসেট ছিল । আগে কুনুবার এইরকম দেখি নাই । যতবার দেখছি, দেখতাম ক্যাসেট চালাইলেই চাটাচাটি তারপর কাম শুরু । কাপড়-চোপড় খুলাই থাকত । কাইল দেখলাম । কেলাশরুম , মাঝবয়সের মাইয়া টিচার আর জুয়ান কিছু পুলা মাইয়া ছাত্র । আজীবন মাদরাছাতেই কাটলো আমগো । মাইয়ামানুষ টিচার বেদ্বীন পুলাপাইনের বাংলা ইশকুলে থাকে বৈলা শুনতাম । নিজের জীবনে কুনো উদাহরণ নাই । মাইয়ামানুষ টিচারের চেহারা দেইখাই বুঝছিলাম ঘটনা কি হৈতে যাইতাছে । বাংলা ইশকুলে যে আকাম হওয়ার চান্স আছে ভালো রকমেরই এইটা নিয়া মোন্তাজেরের সাথে কিছুক্ষণ আলুচনা করলাম । মোন্তাজেরের মন নাই । ওর এই একটা দুষ । বুলু দেখনে সময় মনে হয় পারলে টিভিডারেই গিলা খাইয়া ফালায় ।

ফিরার পথে আমার আর তওবায় মন থাকে না । আসতাগফিরুল্লাহ বৈলা মন বসাইতে চাই কিন্তু খালি ঘুইরা ফিরা বাংলা ইশকুলরে পুলাপাবের ভাইগ্যের কতা মনে হয় । ওরা দোযখে ক্যামনে পুড়ব এইটা মনে কৈরা মনরে ফিরানির চেষ্টা করি , কাম হয়না । মনে মনে নিজেরে বাংলা ইশকুলে কল্পনা করি । টিচারের মুখ আসে কল্পনায় । এর বেশি আগায় না । ল্যাংটা মানুষ কেবল ভিসিআরএই দেখছি । একবার গিরামের অলির ঘরে ফুটা দিয়া দেখার চেষ্টা করছিলাম । অলি মিয়া তখন নয়া বিদেশ থাইকা আইছে । আইয়াই ৩ দিন পরে বিয়া । কিছু দেখতে পারি নাই । এমনিতেই আন্ধার তার উপর গরমের দিনেও দুইজনে খেতার তলে । খালি লারাচাড়া দেখছিলাম ।

ফিরার পথে থাইকা থাইকা একেকবার মন এমন গরম হয়, মনে মনে ঠিক কৈরা ফালাই আব্বারে গিয়া কই আমি বাংলা ইশকুলে ভর্তি হৈতাম চাই । বাংলা লেকতে পারি মোটামুটি । পড়তে হয় বানান কৈরা । কয়েকদিন চেষ্টা করলে ঠিক হৈয়া যাইব । কিন্তু বড় ভাই হুনলে পিটাইয়া হাড্ডি ভাইঙা দিব । আব্বারে বলার সাহস কুনোরকমে জোগাড় করতে পারলেও বড় ভাইর সওয়াল জবাবের সামনে দাঁড়ানির সাহস নাই । শালার জীবনে কিছুই নিজের মনমত হৈল না । বড় পুলা হৈলে কত সুবিধাই না হৈত । বড় ভাই মাদরাছা শেষ করছে তিন বছর হৈল । গিরামের মসজিদের ইমাম । এখনো একটা ভালো ঘর নাই বৈলা বিয়া করানোর সাহস নাই । দিনদিন বড় ভাইয়ের মিজাজ কেবল খিটখিটা হৈতাছে ।

ফিরা আইসা দুইজন দুই বিল্ডিংএ গেলাম এস্তেন্জা করতে । আইসা লুঙি পাল্টাইয়া শুইয়া গেলাম । শইল্যের অনেক কিছু বাইর হৈয়া গেল আইজ । কাইল একটা আম-দুধ কিনা খাইতে হৈব । ডিম একটা খাইলে ভালো হৈত । তয় আইজ আর সেইরকম মিজাজের অবস্থা নাই । নীচতলার রুমগুলাতে ঠান্ডা মারাত্নক । লেপকম্বল যাই গায়ে দেই, শিনশিনা একটা ঠান্ডা ভাব থাকেই । বড় বড় দুইটা কম্বল আছে তাই মাসখানেক আগে থাইকা মোন্তাজির আর আমি এক বিছনাতেই শুই । তাড়াতাড়ি গরম হয় কম্বলের তলা ।

প্রায় দিনই কেলাস শেষ হওয়ার পরে মাগরেব পর্যন্ত সময়ডা কিছু করার থাকে না । হুদা কামেই পাছরাপাছরি করি আমি আর মোন্তাজির । কে কারে চাইপা ধইরা রাখতে পারে কতক্ষণ । আইজ বাতাসটা একটু ভারি বইলা হালকা করনের লাইগা মোন্তাজিররে আন্জা কইরা ধরলাম । ধৈরাই একটু চমকাইয়া গেলাম । এইরকম অনেক বার করছি । আইজ কেন জানি মোন্তাজির পিছন দিকটার সাথে রান লাগাতে শইল্যে একটা কারেন্টের শকের মত লাগলো । মোন্তাজিরও ঘুইরা আন্জা কৈরা ধরল ।

তারপর কি হৈল বুঝলাম না । বুঝার আগেই একজনের হাত আরেকজনের লজ্জাস্থানে । ধুর ব্যাটা বৈলা ঘুরছিল মোন্তাজির । এখন এক্কেবারে চুপ । দুইজনের নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া কোনো শব্দ নাই । কয়েক সেকেন্ড এর মইধ্যেই দুইজনের লুঙি থ্যাকথ্যাকা । দুইজনের কেউই উঠলাম না । হাত ধুইতে গেলাম না । দুইপাশ ফিরা শুইয়া পড়লাম । আধাঘুম চৈলা আসছে এমন সময় পাশ ফিরা শুইতে গিয়া আবার লাগল মোন্তাজিরের ঐজায়গায় । এইবার আর হাত লাগল না । কিছুক্ষণ চাইপা ধরাতেই কারবার শেষ ।

তাহাজ্জুদের পর আর ঘুমাই নাই । কোরান পড়ছি । ফজরের সময় উইঠা নামাজে গিয়া দেখি বোর্ডিং এর হুজুর ছাব আসেন নাই । উপরের জমাত এর ছাত্ররা ঠেলাঠেলি কইরা আমারেই পাঠায়া দিলো ইমামতিতে । মসজিদ থাইকা বাইর হওনের সময় দেখি মোন্তাজির বৈসা আছে কোরান নিয়া । গিয়া কিছু কওয়ার মত অবস্থা নাই । রুমে আইসা কান্দলাম কিছুক্ষণ আল্লার দরবারে । বান্দার অনুতাপের চোখের পানি আল্লার খুবই প্রিয় । দোজাহানের মালিক, দয়ালু, ক্ষমাশীল গাফুরুর রাহিম বুঝবেন । বান্দার মনের অবস্থা তার চাইতে ভালো আর কে জানে ।

নিজের মনের আগুন তাও নিভলো না । সারাক্ষণ খচখচ একটা ভাব লাইগাই আছে । মোন্তাজির আর আমি কেউ কারো দিকে চোখ তুইলা তাকাইতে পারতাছি না । বিকালে আল-আমিন এ যাওয়ার সময় শুধু বল্লাম চল । সারাদিনে আর কোনো কথা হয় নাই । রাইতে শুইলাম আলাদা আলাদা । ঠান্ডা ভাবের কারণে ঘুম আসে না । আওয়াজ শুইনা বুঝি মোন্তাজির এর ও একই অবস্থা । হুজুরের কাছে ছুটি চাইতে যামু ঠিক করলাম । আগামিকাইল শুক্রবারতো এমনি বন্ধ, আর এক দিন হৈলেই চলব । মনের ভার হাল্কা করার মততো মোন্তাজির ছাড়া আর একজনই আছে । তার কাছে যাইতে হৈব ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৭
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×