somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৫

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন দুপুরে রোকসানা যা বলে তা শুইনা মনে হৈল আমার কামোৎসাহে কেডা জানি এক কলসি ঠান্ডা পানি ঢাইলা দিল । ওর নাকি রক্ত যাওনের ডেট আরো দুইদিন আগে পার হৈয়া গেছে । এখনো কুনো খবর নাই । মাঝে মইধ্যে একদিন দুইদিন এদিক সেদিক হয় বৈলা গত দুইদিন কিছু কয় নাই । তয় আইজকা না হওয়া মাইনে ঝামেলা মনে হয় কিছু একটা হৈয়াই গেছে । আমি কই ঝামেলা হৈব কেন । আমি তো কুনোদিন ঢুকাই নাই । তুই আর কারো লগে কিছু করস নাইতো । নিজেই জানি এইটা একটা ফাউল কথা । কিন্তু মাথার ভিতরডা ফাঁকা । চিন্তা করতে পারতাছি না । মনে হৈল তাই কৈয়া দিলাম । ঝরঝর কৈরা কাঁইদা দেয় মেয়ে । আমি ওর কাঁধে হাত রাখি । বলি, দাড়া দেখি কি করন যায় । করার নাই কুনো বালও । জীবনে এই ঝামেলায় পড়ি নাই কুনোদিন । মাথার মইধ্যে আমি জানিনা, আমি কিচ্ছু জানিনা , আমার কুনো দোষ নাই এই জাতীয় হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে দোকানে চৈলা যাই আমি ।

ছুডকালে মনে করতাম বিয়া করলেই পুলাপান হয় । ক্যামনে কি জানতাম না । তারপরে মনে করতাম একলগে রাইতে শুইলে মনে হয় পুলাপান হয় । আব্বা আম্মারে দেখতাম রাইতে একলগে শোয় । যাগোই বিয়া হয় তাগোরেই দেখতাম রাইতে একলগে শোয় । বাল গজানির পর খুরশিদ এর কাছ থাইকা শিখলাম ক্যামনে কি করলে কি হয় । খুরশিদ শিখছে ওর এক খালাত ভাইর কাছ থাইকা । হারামজাদা কি আমারে ভুল শিখাইলো । না তাতো হওনের কথা না । এরপরে আরো অনেকের কাছ থাইকাই শুনছি জিনিস ভিতরে না গেলে কুনো সমস্যা নাই । পুলাপান হওনের কুনো সম্ভাবনা নাই । তাইলে সমস্যাডা কুন জায়গায় । রোকসানারে আইজ এতদিন ধৈরা চিনি । হাসিখুশি হৈলেও , সেইডা সবার সাথে না । খালেদার মত মাইয়া দুইদিনেই বুঝন যায় । রোকসানা ঐরকম না । আর কারো লগে কিছু করনের কুনো সম্ভাবনা নাই । তাইলে ক্যামনে এই গজব , ক্যামনে ?

ঐদিন আর আছরে মসজিদে যাই না । রেলরাস্তা ধৈরা হাইটা গেরামের বাইরে চৈলা যাই । ছুড একটা খালের মত আছে । ঐটার পাশে বসি । জীবনে শিখলাম খালি আরবি উর্দু । কামের কিছু হৈল না । ধর্মের জৈন্য কামে লাগল ঠিকাছে কিন্তু জীবনে চলার জ্ঞানতো হৈল না । পরামর্শ চাইতে যাওনের মানুষও নাই । খুরশিদরে জিগান যাইব না । ওগো বাড়িতে বেড়াইতে আইছে রোকসানা । মাঝখান দিয়া খুরশিদের লগে একটা লাঠালাঠি তৈরি হৈব । হাজার রকমের চিন্তা মাথায় । রোকসানারে কৈয়া আইছি দেখি কি করন যায় । রোকসানা একটু ভরসা পাইয়াই গেল মনে হৈল । দুশ্চিন্তাতো মাইয়াডারও কম না । উল্টা মাইয়ার উপর দিয়াই যায় বেশি । একবার মনে হয় জাহান্নামে যাউগ্গা । কুনো পরমান নাই । রোকসানার পেট রোকসানা বুঝুক । কিন্তু এত বড় নাফরমানি করতে আবার বাঁধে । এত বড় জুলুম করা ঠিক হৈব না মাইয়াডার উপর । ভালোবাইসাইতো আমার কাছে খোলামেলা হৈছে । নিজের যা আছে বিলাইয়া দিছে । কিছু একটা করতেই হৈব । কি করমু । জানিনা কুনো বালও ।

একবার ঠিক করি, যা থাকে কপালে, হাছাই যদি কিছু হয় গেরামের সবার সামনে স্বীকার কইরা নিমু । বিয়া করমু রোকসানারে । গেরামের কাছে মান সম্মান যাক । আল্লার চোখে তো দয়া পামু । কিন্তু হালার দুইন্যাতে প্যাঁচওতো কম না । আশেপাশের দশ পনের গেরাম জুইড়া আব্বারে সম্মান করে না এমন মানুষ নাই । মোল্লার ধার্মিকতা তার পুলাগো দ্বীনি শিক্ষা সবমিলাইয়া যে সুনাম সেইটার মুখে তো চুনকালি কি, গু মাইখা দেয়া হৈব । শুনতে পাই যৌবনে , বিয়ারও আগে আব্বা জুয়াড়ি মদখোর আছিলেন । মাঝে মাঝে সপ্তাহ পার হৈয়া যাইত নাকি জুয়ার আড্ডায় । বিয়ার পরে একবার তাবলীগে গিয়া সেই যে আব্বা দুনিয়াদারি ছাইড়া ধর্মের কামে লাইগা গেলেন তারপর থাইকা আর কেউ কুনোদিন আব্বারে কুনো বেশরিয়তি বেদ্বীনি কামে দেখে নাই । কারো উপরে জুলুম করতে দেখে নাই । বড় ভাইয়ের বয়সি যারা তারাও কৈলে বিশ্বাস করেনা আব্বা একদিন ঐরকম ছিলেন । সবাই ভুইলা গেছে সেইসব ইতিহাস । পরায় পুরা জীবনডা জুইড়া সে সুনাম আব্বা গইড়া তুললেন তার মুখে গু মাখাই আমি কুন অধিকারে । উপায় একটা খুইজা বাইর করতেই হৈব ।

মাগরেবের সময় দোকানে ফিরা দেখি খালত ভাই আইছে দুইডা । ঢাকা থাইকা একটা আর চৌদ্দগেরাম থাইকা একটা । একটু ভরসা লাগে । দুইডাই ইশকুলে পড়ালেখা করইন্যা । বান্দরও কম না । যদিও ঢাকার খালত ভাইর ছুড ভাইর লগেই আমার খাতির বেশি তাও ওর সাথেও কম না । গোপন কথা কওন যায় । তাছাড়া এখন জড়তা কৈরা পুন্দানি খাওনের সময় না । যেদিকে যা আছে ঘাইটা দেখতে হৈব । খালত ভাইডিরে নিয়া রেলরাস্তায় হাঁটতে বাইর হৈ আন্ধারের মইধ্যে । ওদের খুইলা বলি ঘটনা । পরথম দিন থাইকা শেষ দিন পইর্যন্ত । এক্কেবারে সবকিছু । কেমনে কি কদ্দুর করছি । দড়ি খোলা ছিল নাকি বান্ধা ছিল । কুন যায়গায় পানি লাগছে সবকিছু । ওরা কয় এইডা কুনো সমস্যা না । মাইয়ার বয়স কম । এখন একটু অনিয়মিত হইতেই পারে । এত তাড়াতাড়ি ঘাবড়াইয়া যাওনের কুনো কাম নাই । মনে একটু ভরসা পাই । ভরসা না পাইয়া উপায়ও বা কি । পানিতে ডুইবা যাওনের সময় মানুষ একটা খের পাইলে সেইটারেও জড়াইয়া ধরতে যায় ।

কিন্তু আবার কিন্তু বইলাই লাগায়া দেয় মনের মইধ্যে তোলপাড়, ডরভয়, হতাশা । খারাপ কিছুর জৈন্য রেডি হৈয়া থাকন দরকার আছে । বাই চান্স এর তো কুনো লাইসেন্স নাই । কুনো না কুনোভাবে হয়ত আকাম হৈয়াও যাইতে পারে । তার জৈন্যও উপায় আছে । কাঁচা আনারস লাগবো । কাঁচা আনারস কৈ পামু ? বাজরেতো পাওন যাইব না । কবিরাজের কাছে গেলে থাকতে পারে । কিন্তু গেরামের বা গেরামের আশেপাশের কবিরাজের কাছে কাঁচা আনারসের লাইগা গেলেতো বুইঝা যাইব ঘটনা কি । পুবপাড়ার এক বাড়িতে আনারসের গাছ আছে কয়েকটা । তিনজন মিলা দেইখা আসি । কাঁচাও আছে কয়েকটা । চাইয়াতো নেওন যাইব না । রাইতে চুরি কৈরা নিতে হৈব । রাইতে তিনভাই মিলা চুরি কইরা নিয়া আসি কাঁচা আনারস । একটা লুঙি দিয়া প্যাঁচাইয়া রাইখা দিই দোকানের এক চিপায় । ঐরাইতে তিনজিন দোকানেই ঘুমাই । ক্যামনে কি করন লাগবো যুক্তি করি । এখনই কাইটা ফালাইলে তেজ কইমা যাইতে পারে । ঠিক করি কাইলকা দুপুরে গেরামের বাইরে খেতে গিয়া দুই খালতভাই মিলা আনারাস ছিইল্যা কাইটা আনব । আমি গেলে গেরামের মাইনষের চোখে পড়লে সমস্যা আছে । ওগোরেতো গেরামের সবাই চিনে না । কাটতে আর কতক্ষণ । রাইতে আর আমাগো ঘুম হয় না । তিনভাই মিলে আলাপ করতে করতে পার হৈয়া যায় সময় ।

পরেরদিন দুপুরে খাওনদাওনের পর দোকান বন্ধ কৈরা দিই । ছুডভাই দুইডারে দুই প্যাকেট বিস্কুট আর কয়েকবোতল জুস দিয়া পাঠাইয়া দিই আবদুল্লাহপুর হিফজখানায় । জুহরের কিছুক্ষণ পরই খুরশিদগো বাড়ীতে গিয়া সবার লগে একটু কথাবার্তা কৈয়া আসি । উদ্দেশ্য রোকসানারে জানানো । আইজকা হয়ত নাও যাইতে পারে । রোকসানা ছিল না । খুরশিদ এর ছুড বৈনডারে জিগাই রোকসানা কই ? কয় বাড়ীর পিছনদিকের পুকুরে গোসল করে । ওরে কৈ রোকসানারে কৈতে আমি আইছিলাম । এতটুক শুনলেই বুঝবো রোকসানা । দোকান থাইকা লুঙিতে কৈরা আনারসটা নিয়া খালত ভাইডিরে পাঠাই খেতে আনারস কাইটা আননের লাইগা ।একটা টিফিনবাডি দিয়া দিই লগে । বাড়ীর পিছনদিকের চিপা দিয়া ওরা আনারস কাইটা আনছে এমন সময় দেখি রোকসানা । মুখে হাসি । আমার কেমন জানি বুকের উপর থাইকা একটা পাত্থর নাইমা যাই যাই কৈরাও যায় না । হাসিমুখেই মাথা উপরনিচ কৈরা রোকসানা চৈলা যায় । পাত্থরডা নামে পুরাপুরি । কাটা আনারসডি রেললাইনের পাশে খালে ফালাইয়া দিয়া আসি ।

জীবনে শালার বিপদের পুন্দানির পর পুন্দানি । রৈদ কইমা আসার পর তিনভাই মিলা দোকানে বৈসা আছি । রেললাইন থাইকা নাইমা দোকানের সামনের পুকুর পাড় দিয়া এদিকে হাইটা আসা পুলাডার চেহারা চিনা চিনা লাগে । পুরাপুরি মনে পড়নের পর আমার কৈলজার পানি আবার শুকাইয়া যায় ।
-------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৪
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×