এর মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডের বয়োবৃদ্ধ মেম্বার মারা গেলেন । শূণ্যস্থানে নির্বাচন হৈব । হাফিয ভাই যদিও নিতান্তই কাঁচা পুলা তাও তার বড়ভাই এবং এলাকার রাজনৈতিক বন্ধুবান্ধবের চাপে দাঁড়াইয়া গেলেন অন্তর্বতীকালিন নির্বাচনে । তার পক্ষ হৈয়া কাম করলাম আমিও । প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি অন্য পথের ব্যবস্থাও আছিল । তয় আমাগো আটঘাট দেইখা প্রতিপক্ষদল অনেকটা নির্বাচনের আগ থাইকাই হার মাইনা বৈসা ছিল । নির্বাচন নিয়া বিভিন্ন কামে আকামে হাফিয ভাইর বাড়ী যাওয়া বাইড়া গেলো । পরায় প্রত্যেকদিনই কম কৈরা হৈলেও একবার যাওয়া হৈত । হাফিয ভাই ব্যস্ত মানুষ । সবসময় তারে পাওন যাইত না । অনেকসময় আসলে আমি মনে মনে চাইতামও যে উনারে পাওয়া না যাইক । ভাবীর সাথে খাতির তখন আস্তে আস্তে গৈড়া উঠতাছে । পরথম পরথম ভাবী তেমন একটা সামনের ঘরে আসতেন না । আস্তে আস্তে তার লইজ্জা কাটে । আমিও মাঝে মাঝে ভিতরের ঘরে যাওয়া শুরু করি । নিরংকুশভাবেই নির্বাচনে জিত্যা যান হাজিয ভাই । তার ব্যস্ততা আরো বাড়ে । ভাবীর সাথে আমার খাতির আরো গাঢ় হয় ।
হাজিয ভাই মেম্বার হওনের পরে টুকটাক কন্টেকটারির কামও শুরু করি আমি । আমাগো গেরামের রাস্তাঘাট সব কাঁচাই আছিল । পাকা করনের মত বড় কামে হাত দেওনের মুরোদ আমার আছিল না । কাঁচা রাস্তারই টুকটাক সংস্কার করনের কাজ পাই একটা । ভালো পরিমান লাভ হৈতে থাকে । গেরামের বিভিন্ন বিচার সালিশে ডাক পড়ে আমার । হাফিয ভাইয়ের সাথে সেইগুলাতে যোগ দেওনে গেরামে একটু সম্মান বাড়ে । হাফিয ভাইয়ের বাড়ী্তে আসা-যাওয়াও বাড়ে । শিরিন ভাবী মহিলা মাদরাছায় পড়াশোনা করা মাইয়া । গেরামের সাধারণ মাইয়াগো তুলনায় ইসমার্ট । কথাবার্তায় সপ্রতিভ । তার লগে ঠাট্টা কৈরা মজা আছে । বুঝেন ভালো । তাকে আমার অনেকটা আয়েশার মতই মনে হয় । তয় কুলে পুলা থাকা সত্বেও আয়েশার মত তার শাড়ীতে বাচ্চা পুলাপানের মুতের গন্ধ নাই । একদিন হাফিয ভাইয়ের বাড়ীতে গিয়া , দেখি উনি নাই । আসলে থাকার সম্ভাবনা কম জাইনাই গেছিলাম । ভিতরের ঘরে গিয়া দেখি খাটে কাইত হৈয়া বাচ্চারে বুকের দুধ খাওয়াইতেছেন । ফাইযলামি কৈরা বলি সব কি বাচ্চাই খাইব নাকি ? আর মাইনষে কি উপাস দিবো ? শিরিন ভাবী বলেন, আর মাইনষে খাইতে না চাইলে আমি কি করমু । মনে হয় হাফিয ভাইয়ের কথা কৈলেন । তাও আমার একটু সাহস বাড়ে ।
অঞ্চল জুইড়া মিডেলিস্টে যাওনের হিড়িক শুরু হৈছে অনেক আগেই । আমাগো পরিবারে মুরোদ নাই বৈলা বড় ভাইয়ের বাইরে কাউরে পাঠানো যায় নাই । বড় ভাই তাও যে দুইবার গেছিলেন তাও কেবল তিন মাসের লাইগা । এখন বিভিন্ন খাতে আমার হাতে একটু ট্যাকা আসা শুরু করলে , মেঝ ভাইরে ছৌদি পাঠানোর ব্যবস্থা করার চিন্তা আসে মাথায় । যদিও টুকটাক কর্জ আবার করতে হয় , তারপরও সেইগুলা মাইনা নিয়া মেঝ ভাইরে পাঠাইয়া দেই । ছয় মাসের মইধ্যে মেঝ ভাই বড় ভাইরেও নিয়া যান । আমার ঘরে লুকজন কমতে থাকে । ছুড ভাইডিরে দোকানে বসাইয়া দেওনের পরে আমার হাতে অবসর সময় জমতে থাকে । এরই মইধ্যে মুবাইল ফুন চৈলা আইসছে গেরামের মাইনষের হাতে হাতে । মাইঝা ভাই ছৌদি যাওনের মাস ছয়েক পরে আমিও একখান খরিদ কইরলাম । ঘরে ঘরে মুবাইল থাকাতে বাকীর ট্যাকার জৈন্য এখন আমার বাড়ীতে বাড়ীতে যাওন লাগে হয় না আগের মত অত বেশি । পরথম পরথম একটু ঝামেলা হৈলেও অল্পদিনের মইধ্যেই নাম্বার ছেইব করা , মিছকল দেয়া, অপরিচিত নাম্বারে ফুন কৈরা মাইয়ামানুষ হৈলে খাজুইরা আলাপ করার মত প্রাথমিক জিনিসগুলা শিখা ফালাই ।
শিরিন ভাবীর সাথে মুবাইলে আলাপ আমার জৈমা উঠে । উনার দাম্পত্য জীবনের খুটিনাটি টুকটাকও আমি জানা শুরু করি । হাফিয ভাইয়ের সাথে কাইজ্যা বা মিলমিশের খবর, কুথায় গেল না গেল এইসব হাবিজাবি নিয়া অনেক কথা হয় । পিচ্চির শইল খারাপ করলে আমারে খবর দেন ডাকতরের কাছে নিয়া যাওয়ার জন্য । হাফিয ভাই ব্যস্ত মানুষ , অত সময় নাই উনার । আমি সাহায্য করাতে উনি উল্টা খুশিই হন । উনি না থাকনের সময়েই আমি বেশিরভাগ সময় যাওয়া শুরু করি । শিরিন ভাবীর সাথে এখন মশকরাও করা হয় বেশি । কখনো গিয়া উনার পাশে শুইয়া থাকি । পরথম পরথম একটু গাঁইগুই করলেও এখন তেমন কিছু কন না । কিন্তু এর বেশি যাইতে আমার সাহস হয় কম । আস্তে আস্তে দুইজনের রাইটের কাজকারবার নিয়া আলাপ হৈতে আরম্ভ করলে আমার সাহস বাড়ে একটু । আন্জা কৈরা ধরা একটু দুধে হাত দেওয়াতে আপত্তি করেন না ভাবী ।
এর মইধ্যে হঠাৎ দেশ জুইড়া বোমা ফাটা শুরু করে । নানান জায়গায় । এমন সব দলের নাম আইসতে থাকে যাগো কথা জীবনে কখনো শুনি নাই । মোন্তাজির আইসা একদিন শরিয়ত দলের খালি রসিদ সবগুলা লৈয়া যাই । ওরে জিগাই , এই অরাজকতার খবর কিছু জানে নাকি । মোন্তাজির খোলাসা কৈরা কিছু কয় না । খালি কয় আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করনের কাম অত সোজা না । অনেক নাম নিয়া অনেকে তাগো নিজেগো মত কাম কৈরা যাইতাছে । পদ্ধতি একেকজনের একেকরকম হৈলেও সবার মূল উদ্দেশ্য এক । তয় গোপনীয়তা এখন নাকি খুব দরকার । কাম গুছাইয়া আননের আগে পুরাপরি প্রকাশ পাইলে সমস্যা আছে । আমারে বলে পরের নির্দেশ না পাওন পইর্যন্ত শরিয়ত পার্টির কথা আর কাউরে না কৈতে । আলুচনাও করনের দরকার নাই । এইগুলা ঠিক হৈতাছে না বলাতে মোন্তাজির খেইপা যায় । ঠিক বেঠিক অত তাড়াতাড়ি বলনের কি হৈল । বেদাতি আইন দিয়া বিচার চালাইলে সেই বিচার আল্লার মোমিন বান্দা কখনো মাইনা নিতে পারে না । তোর ইমান দুর্বল বৈলা তুই সরাসরি প্রতিরোধ করতাছস না ঠিকাছে । কিন্তু যারা নিজের জীবন কুরবানি কৈরা বেদাতি আদালতের প্রতিবাদ করতাছে তাগো কামরে ভুল কৈলে নিজের ইমান নিয়া টানাটানি লাগবো । আমাগো বড়বড় সাথীরা পেপারে পত্রিকায় এইগুলা জানেনা বৈলা কৈতাছে কিল্লাইগা জিগাই মোন্তাজিররে । মোন্তাজির কয় এইগুলা উপরের লুকজন ঠিক করতাছে কখন কিভাবে কারে সমর্থন করতে হৈব । সবকিছু গুছগাছ হওনের আগ পইর্যন্ত মুখে তালা মাইরা থাকতে কয় আমারে । মুখেতো আমি এমনিতেও তালা মাইরা আছি । নিজের জীবনরে গুছগাছ করতে করতেই আমার অবস্তা কেরাসিন । মোন্তাজিররে সেই কথা কই না । ওরে বলি আইচ্ছা ঠিকাছে । এরপর মোন্তাজির আসেনা অনেকদিন । একটা ফুন নাম্বার দিয়া গেছিল । পরেরদিন ফুন কৈরাই দেখি ঐটা নাকি বন্ধ । ওর খোঁজ পাওন যায় না আর । দেশ জুইড়া শুরু হওয়া ঘটনা নিয়া আমার সন্দেহ কাটে না । সাধারণ মাইনষের উপর হামলা মাইনা নিতে আমার কষ্ট হয় । আবার আল্লার আইন প্রতিষ্ঠার লাইগা সংগ্রাম করা ইমানদারদের উপর রাগ করতেও কষ্ট হয় । ভাগ্য ভালো আমার ফিল্ডে গিয়া কাম করন লাগতাছে না আমার । দুনিয়াদারির মায়া এখনো কাটে নাই আমার । শিরিন ভাবীর লগে মশকরা করার মজা এখনো কাটে নাই ।
একদিন দুপুরে হাফিয ভাইয় বাড়ীতে গিয়া শিরিন ভাবীর পাশে শুইয়া টুকটাক কথা কৈতাছি । শিরিন ভাবী কয় মিজাজ একটু খারাপ আছে । তোমার ভাইর লগে কাইজ্যা করছি কাইল রাতে । ঘটনা কি জিগাই আমি । ঘটনা তেমন কিছু না । কাইল রাইতে শুইয়া আছিলাম । ঘুম প্রায় আইসা যায় এরকম অবস্থা । তোমার ভাই আইসা শুরু করল খোঁচানি । আমি কই আইজকা থাক । হেয় শুনল না । ওমা পরে কাপড় খুইলা দুই মিনিটের মইধ্যেই শেষ । মিজাজ গেলো চেইতা । দিলাম আইচ্ছমত বোকা । কৈলাম আইজকা থাইক শুনলা না । খোঁচাইয়া তুললা , অথচ আমার শুরু হৈতে না হৈতেই তোমার শেষ । এইরকম হৈলে খোঁচাইলা কিল্লাইগা । মনের মইধ্যে কু-ডাক শুরু হৈয়া যায় আমার । খালেদার কথা মনে হয় । একটু পিছাইয়া আমি উইঠা যাই বিছানা থাইকা । আত্নবিশ্বাসের অবস্থা এমনিতেই বারোটা আমার । আবার ঝাড়ি খাওনের মত অবস্থা নাই । ভাবীরে মিজাজ ঠান্ডা করতে বৈলা আমি বাইর হৈয়া যাই ।
এইখানে গুতা দিয়া হুদাহুদি শিং না ভাঙনের কাম ।
মুবাইলে রাশেদা আপারে ফুন কৈরা তার সাথে খাজুইরা আলাপ করি , সেই ভালো । রাশেদা আপা আমার লতায়পাতায় চাচাত বৈন । জামাই শিপে কাম করত । মাস ছয়েক আগে কি একটা দুর্ঘটনায় মারা যান । ছুড একটা মাইয়া নিয়া এখন বাপের বাড়ীতেই আলাদা একটা ছুড ঘরে থাকেন । তার কাছ থাইকা ফুনে শইল্যের বিভিন্ন না জানা ব্যাপার স্যাপার শিখি আমি ।
--------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৭
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



