somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৮

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডের বয়োবৃদ্ধ মেম্বার মারা গেলেন । শূণ্যস্থানে নির্বাচন হৈব । হাফিয ভাই যদিও নিতান্তই কাঁচা পুলা তাও তার বড়ভাই এবং এলাকার রাজনৈতিক বন্ধুবান্ধবের চাপে দাঁড়াইয়া গেলেন অন্তর্বতীকালিন নির্বাচনে । তার পক্ষ হৈয়া কাম করলাম আমিও । প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি অন্য পথের ব্যবস্থাও আছিল । তয় আমাগো আটঘাট দেইখা প্রতিপক্ষদল অনেকটা নির্বাচনের আগ থাইকাই হার মাইনা বৈসা ছিল । নির্বাচন নিয়া বিভিন্ন কামে আকামে হাফিয ভাইর বাড়ী যাওয়া বাইড়া গেলো । পরায় প্রত্যেকদিনই কম কৈরা হৈলেও একবার যাওয়া হৈত । হাফিয ভাই ব্যস্ত মানুষ । সবসময় তারে পাওন যাইত না । অনেকসময় আসলে আমি মনে মনে চাইতামও যে উনারে পাওয়া না যাইক । ভাবীর সাথে খাতির তখন আস্তে আস্তে গৈড়া উঠতাছে । পরথম পরথম ভাবী তেমন একটা সামনের ঘরে আসতেন না । আস্তে আস্তে তার লইজ্জা কাটে । আমিও মাঝে মাঝে ভিতরের ঘরে যাওয়া শুরু করি । নিরংকুশভাবেই নির্বাচনে জিত্যা যান হাজিয ভাই । তার ব্যস্ততা আরো বাড়ে । ভাবীর সাথে আমার খাতির আরো গাঢ় হয় ।

হাজিয ভাই মেম্বার হওনের পরে টুকটাক কন্টেকটারির কামও শুরু করি আমি । আমাগো গেরামের রাস্তাঘাট সব কাঁচাই আছিল । পাকা করনের মত বড় কামে হাত দেওনের মুরোদ আমার আছিল না । কাঁচা রাস্তারই টুকটাক সংস্কার করনের কাজ পাই একটা । ভালো পরিমান লাভ হৈতে থাকে । গেরামের বিভিন্ন বিচার সালিশে ডাক পড়ে আমার । হাফিয ভাইয়ের সাথে সেইগুলাতে যোগ দেওনে গেরামে একটু সম্মান বাড়ে । হাফিয ভাইয়ের বাড়ী্তে আসা-যাওয়াও বাড়ে । শিরিন ভাবী মহিলা মাদরাছায় পড়াশোনা করা মাইয়া । গেরামের সাধারণ মাইয়াগো তুলনায় ইসমার্ট । কথাবার্তায় সপ্রতিভ । তার লগে ঠাট্টা কৈরা মজা আছে । বুঝেন ভালো । তাকে আমার অনেকটা আয়েশার মতই মনে হয় । তয় কুলে পুলা থাকা সত্বেও আয়েশার মত তার শাড়ীতে বাচ্চা পুলাপানের মুতের গন্ধ নাই । একদিন হাফিয ভাইয়ের বাড়ীতে গিয়া , দেখি উনি নাই । আসলে থাকার সম্ভাবনা কম জাইনাই গেছিলাম । ভিতরের ঘরে গিয়া দেখি খাটে কাইত হৈয়া বাচ্চারে বুকের দুধ খাওয়াইতেছেন । ফাইযলামি কৈরা বলি সব কি বাচ্চাই খাইব নাকি ? আর মাইনষে কি উপাস দিবো ? শিরিন ভাবী বলেন, আর মাইনষে খাইতে না চাইলে আমি কি করমু । মনে হয় হাফিয ভাইয়ের কথা কৈলেন । তাও আমার একটু সাহস বাড়ে ।

অঞ্চল জুইড়া মিডেলিস্টে যাওনের হিড়িক শুরু হৈছে অনেক আগেই । আমাগো পরিবারে মুরোদ নাই বৈলা বড় ভাইয়ের বাইরে কাউরে পাঠানো যায় নাই । বড় ভাই তাও যে দুইবার গেছিলেন তাও কেবল তিন মাসের লাইগা । এখন বিভিন্ন খাতে আমার হাতে একটু ট্যাকা আসা শুরু করলে , মেঝ ভাইরে ছৌদি পাঠানোর ব্যবস্থা করার চিন্তা আসে মাথায় । যদিও টুকটাক কর্জ আবার করতে হয় , তারপরও সেইগুলা মাইনা নিয়া মেঝ ভাইরে পাঠাইয়া দেই । ছয় মাসের মইধ্যে মেঝ ভাই বড় ভাইরেও নিয়া যান । আমার ঘরে লুকজন কমতে থাকে । ছুড ভাইডিরে দোকানে বসাইয়া দেওনের পরে আমার হাতে অবসর সময় জমতে থাকে । এরই মইধ্যে মুবাইল ফুন চৈলা আইসছে গেরামের মাইনষের হাতে হাতে । মাইঝা ভাই ছৌদি যাওনের মাস ছয়েক পরে আমিও একখান খরিদ কইরলাম । ঘরে ঘরে মুবাইল থাকাতে বাকীর ট্যাকার জৈন্য এখন আমার বাড়ীতে বাড়ীতে যাওন লাগে হয় না আগের মত অত বেশি । পরথম পরথম একটু ঝামেলা হৈলেও অল্পদিনের মইধ্যেই নাম্বার ছেইব করা , মিছকল দেয়া, অপরিচিত নাম্বারে ফুন কৈরা মাইয়ামানুষ হৈলে খাজুইরা আলাপ করার মত প্রাথমিক জিনিসগুলা শিখা ফালাই ।

শিরিন ভাবীর সাথে মুবাইলে আলাপ আমার জৈমা উঠে । উনার দাম্পত্য জীবনের খুটিনাটি টুকটাকও আমি জানা শুরু করি । হাফিয ভাইয়ের সাথে কাইজ্যা বা মিলমিশের খবর, কুথায় গেল না গেল এইসব হাবিজাবি নিয়া অনেক কথা হয় । পিচ্চির শইল খারাপ করলে আমারে খবর দেন ডাকতরের কাছে নিয়া যাওয়ার জন্য । হাফিয ভাই ব্যস্ত মানুষ , অত সময় নাই উনার । আমি সাহায্য করাতে উনি উল্টা খুশিই হন । উনি না থাকনের সময়েই আমি বেশিরভাগ সময় যাওয়া শুরু করি । শিরিন ভাবীর সাথে এখন মশকরাও করা হয় বেশি । কখনো গিয়া উনার পাশে শুইয়া থাকি । পরথম পরথম একটু গাঁইগুই করলেও এখন তেমন কিছু কন না । কিন্তু এর বেশি যাইতে আমার সাহস হয় কম । আস্তে আস্তে দুইজনের রাইটের কাজকারবার নিয়া আলাপ হৈতে আরম্ভ করলে আমার সাহস বাড়ে একটু । আন্জা কৈরা ধরা একটু দুধে হাত দেওয়াতে আপত্তি করেন না ভাবী ।

এর মইধ্যে হঠাৎ দেশ জুইড়া বোমা ফাটা শুরু করে । নানান জায়গায় । এমন সব দলের নাম আইসতে থাকে যাগো কথা জীবনে কখনো শুনি নাই । মোন্তাজির আইসা একদিন শরিয়ত দলের খালি রসিদ সবগুলা লৈয়া যাই । ওরে জিগাই , এই অরাজকতার খবর কিছু জানে নাকি । মোন্তাজির খোলাসা কৈরা কিছু কয় না । খালি কয় আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করনের কাম অত সোজা না । অনেক নাম নিয়া অনেকে তাগো নিজেগো মত কাম কৈরা যাইতাছে । পদ্ধতি একেকজনের একেকরকম হৈলেও সবার মূল উদ্দেশ্য এক । তয় গোপনীয়তা এখন নাকি খুব দরকার । কাম গুছাইয়া আননের আগে পুরাপরি প্রকাশ পাইলে সমস্যা আছে । আমারে বলে পরের নির্দেশ না পাওন পইর্যন্ত শরিয়ত পার্টির কথা আর কাউরে না কৈতে । আলুচনাও করনের দরকার নাই । এইগুলা ঠিক হৈতাছে না বলাতে মোন্তাজির খেইপা যায় । ঠিক বেঠিক অত তাড়াতাড়ি বলনের কি হৈল । বেদাতি আইন দিয়া বিচার চালাইলে সেই বিচার আল্লার মোমিন বান্দা কখনো মাইনা নিতে পারে না । তোর ইমান দুর্বল বৈলা তুই সরাসরি প্রতিরোধ করতাছস না ঠিকাছে । কিন্তু যারা নিজের জীবন কুরবানি কৈরা বেদাতি আদালতের প্রতিবাদ করতাছে তাগো কামরে ভুল কৈলে নিজের ইমান নিয়া টানাটানি লাগবো । আমাগো বড়বড় সাথীরা পেপারে পত্রিকায় এইগুলা জানেনা বৈলা কৈতাছে কিল্লাইগা জিগাই মোন্তাজিররে । মোন্তাজির কয় এইগুলা উপরের লুকজন ঠিক করতাছে কখন কিভাবে কারে সমর্থন করতে হৈব । সবকিছু গুছগাছ হওনের আগ পইর্যন্ত মুখে তালা মাইরা থাকতে কয় আমারে । মুখেতো আমি এমনিতেও তালা মাইরা আছি । নিজের জীবনরে গুছগাছ করতে করতেই আমার অবস্তা কেরাসিন । মোন্তাজিররে সেই কথা কই না । ওরে বলি আইচ্ছা ঠিকাছে । এরপর মোন্তাজির আসেনা অনেকদিন । একটা ফুন নাম্বার দিয়া গেছিল । পরেরদিন ফুন কৈরাই দেখি ঐটা নাকি বন্ধ । ওর খোঁজ পাওন যায় না আর । দেশ জুইড়া শুরু হওয়া ঘটনা নিয়া আমার সন্দেহ কাটে না । সাধারণ মাইনষের উপর হামলা মাইনা নিতে আমার কষ্ট হয় । আবার আল্লার আইন প্রতিষ্ঠার লাইগা সংগ্রাম করা ইমানদারদের উপর রাগ করতেও কষ্ট হয় । ভাগ্য ভালো আমার ফিল্ডে গিয়া কাম করন লাগতাছে না আমার । দুনিয়াদারির মায়া এখনো কাটে নাই আমার । শিরিন ভাবীর লগে মশকরা করার মজা এখনো কাটে নাই ।

একদিন দুপুরে হাফিয ভাইয় বাড়ীতে গিয়া শিরিন ভাবীর পাশে শুইয়া টুকটাক কথা কৈতাছি । শিরিন ভাবী কয় মিজাজ একটু খারাপ আছে । তোমার ভাইর লগে কাইজ্যা করছি কাইল রাতে । ঘটনা কি জিগাই আমি । ঘটনা তেমন কিছু না । কাইল রাইতে শুইয়া আছিলাম । ঘুম প্রায় আইসা যায় এরকম অবস্থা । তোমার ভাই আইসা শুরু করল খোঁচানি । আমি কই আইজকা থাক । হেয় শুনল না । ওমা পরে কাপড় খুইলা দুই মিনিটের মইধ্যেই শেষ । মিজাজ গেলো চেইতা । দিলাম আইচ্ছমত বোকা । কৈলাম আইজকা থাইক শুনলা না । খোঁচাইয়া তুললা , অথচ আমার শুরু হৈতে না হৈতেই তোমার শেষ । এইরকম হৈলে খোঁচাইলা কিল্লাইগা । মনের মইধ্যে কু-ডাক শুরু হৈয়া যায় আমার । খালেদার কথা মনে হয় । একটু পিছাইয়া আমি উইঠা যাই বিছানা থাইকা । আত্নবিশ্বাসের অবস্থা এমনিতেই বারোটা আমার । আবার ঝাড়ি খাওনের মত অবস্থা নাই । ভাবীরে মিজাজ ঠান্ডা করতে বৈলা আমি বাইর হৈয়া যাই ।
এইখানে গুতা দিয়া হুদাহুদি শিং না ভাঙনের কাম ।

মুবাইলে রাশেদা আপারে ফুন কৈরা তার সাথে খাজুইরা আলাপ করি , সেই ভালো । রাশেদা আপা আমার লতায়পাতায় চাচাত বৈন । জামাই শিপে কাম করত । মাস ছয়েক আগে কি একটা দুর্ঘটনায় মারা যান । ছুড একটা মাইয়া নিয়া এখন বাপের বাড়ীতেই আলাদা একটা ছুড ঘরে থাকেন । তার কাছ থাইকা ফুনে শইল্যের বিভিন্ন না জানা ব্যাপার স্যাপার শিখি আমি ।
--------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৭
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
১৬টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×