হাবিজাবি না বইলা উদাসীর কমেন্ট থেকে শুরু করি
উদাসীর কমেন্ট
@দূরের পাখির কাছে একটা কুশ্চেন, এমন অনেক পার্টিক্যাল বা কনডেনসেন্ট আছে যেগুলো আমরা ডিটেক্ট করতে পারি না, এমনকি অনেক সাবএটমিক পার্টিক্যাল আর কিছু মৌলিক পদার্থ আমাদের তাদের ডিকে চ্যানেল এবং ডটার এলিমেন্ট দিয়ে ডিটেক্ট করতে হয়, তাহলে কি করবো আমরা ? এগুলোকে বিশ্বাস করা কি ছেড়ে দিবো?
স্টেরাইল নিউট্রিনো একটা হাইপো, কিন্তু বিশ্বাস এখন দানা বাধছে কারন নিউট্রিনোর গতি তাহলে কি আমরা কি করবো?
ঈশ্বর যে এতগুলো ডাইমেশনের ইউনিভার্স অথবা মাল্টিভার্স বানিয়েছে তাকে ডিটেক্ট করতে আমাদের যদি লক্ষ কোটি বছর অপেক্ষা করার পর যদি সত্যি জানতে পারি তিনি আছেন তাহলে এর জন্য কে দায় নেবে?
আপনি কিভাবে জানেন যে আপনি সত্য?
আমি আপনার সাথে খোদা বিষয়ক তর্কে কথা বলতে চাই! একটা আলাদা পোস্ট দেন। আমি আগামী দুদিন ফ্রি আছি! এখানা খোদা বলতে ইসলাম বা অন্য কিছু না।
এখানে ঈশ্বর আর বিজ্ঞান এ দুটোর মধ্যে তর্ক হবে! আপনি কি আলাদা পোস্ট দেবেন?
আমার প্রথম জবাব
ঈশ্বর আর বিজ্ঞান এই দুই বিষয়ের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হওয়ার আগে ঈশ্বরের সংজ্ঞা ঠিক করতে হয় । বিজ্ঞানের সংজ্ঞা আদ্যিকাল থেকে এখন পর্যন্ত একই রকম আছে । ঈশ্বরের সংজ্ঞাই গিরগিটির মত দিনকে দিন রঙ পাল্টাতে পাল্টাতে এখন একটা অর্থহীন হাট্টিমাটিমটিমে পরিণত হয়েছে । এই পর্যায়ে গিয়ে বিজ্ঞানের বলার আর কিছু নাই ।
বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনকার তুলনায় অনেক কম থাকার সময়ে ঈশ্বর নানান কিছুর ব্যাখ্যা ছিলেন । একেক কাজের জন্য একেক ঈশ্বর । দিন রাত কিভাবে হয় আমরা জানিনা । অতএব দিনের জন্য একটা দেবতা রাতের জন্য একটা দেবতা । বৃষ্টি কেন কিভাবে হয় আমরা জানি না । অতএব বৃষ্টির জন্য একটা দেবতা ঝড়ের জন্য একটা । কালক্রমে সবগুলোকে ব্লেন্ডারে ঘুটা দিয়ে আসলো একেশ্বরী ঈশ্বর । তিনি একলাই একশ । তিনিই বৃষ্টি নামান, তিনিই ঝড় পাঠান । তার কাছে চাইলেই বৃষ্টি নামবে তার কাছে আবেদন করলেই ঝড় থামবে ।
যখন আমরা বৃষ্টির বিজ্ঞান, দিনরাতের বিজ্ঞান, ঝড় সহ্য করার ক্ষমতাওয়ালা বাড়িঘরের প্রকৌশল এবং ঝড়ের বিজ্ঞান আয়ত্ব করলাম তখন ঈশ্বর হয়ে গেলেন প্রাকৃতিক নিয়মে নাক না গলানো ঈশ্বর । তিনি এখনো বৃষ্টির মালিক ঝড়ের মালিক । তিনি এখনো বৃষ্টি না দিয়ে পাপীদের শাস্তি দেন । কিন্তু পাপীরা যদি বৃষ্টির পূর্বাভাস বের করে ফেলে জলাধার বানিয়ে বৃষ্টিছাড়াই শস্য ফলানোর প্রকৌশল আয়ত্ব করে ফেলেন তখন তিনি কিছু বলেন না । আবার যখন পাপীদের প্রকৌশলে কোন ভুলের কারণে ঝামেলা হয় তখন আবার এর মধ্যে তিনাকে খুঁঝে পান ঈশ্বরের ভক্তরা । তিনি এখনো তার নাম মিলে মাঝে মাঝে ঝড় থামান বটে । কিন্তু শক্তপোক্ত ঘরে যারা বাস করে তাদের গুপ্তকেশটাও নাড়াতে পারেন না ।
অতএব ঈশ্বরের বিচরণ এখন এবং তখন সবসময়ই বিজ্ঞানের উঠানের ঠিক বাইরের জায়গায় । এখন আমরা জানি না এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো , প্রথম প্রাণ কিভাবে এলো । এইজন্য ঈশ্বর এখন মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, প্রথম প্রাণের সৃষ্টিকর্তা । কিন্তু ভিতরের নিয়ম কানুন ঘাটান না বা ঘাটানোর প্রয়োজন বোধ করেন না বা ঘাটানোর সাহস করেন না ।
সাব এটমিক পার্টিকেল যেগুলো ডিটেক্ট করা যায় না , সেগুলার যদি তত্বীয় প্রয়োজন না থাকে এবং ডিটেক্ট করা না যায় তাহলে সেগুলাতে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিতে সমস্যা কিসে ?
যেইসব এলিমেন্ট ডটার এলিমেন্ট এবং ডিকে চ্যানেল (আমি যদ্দুর বুঝলাম, কয়টা পার্টিকেল পাওয়া গেলো+ ডটার এলিমেন্টের ভর সংখ্যা এই দুইয়ের যোগফল দিয়ে মাদার পার্টিকেল) সেটা ঠিক এখানে প্রাসঙ্গিক না । কারণ এটা একটা নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা । ভরের সংরক্ষণ সূত্রানুসারে ।
লক্ষ লক্ষ বছর যদি লাগে ঈশ্বর ডিটেক্ট করতে, তাহলে তার বেচা বিক্রিও লক্ষ লক্ষ বছর পর শুরু করলেই হয় । আমাদের নাস্তিকদের দাবী এইখানেই । তুমি এখন যদি দেখাতে না পারতেছে বা ডটার এলিমেন্ট আর ডিকে চ্যানেলের মত পরোক্ষ কিন্তু নিশ্চিত কোন পদ্ধতি দিয়েও দেখাতে না পারো, তাইলে উটকো প্যারামিটার যোগ করার দরকার কি ? তুমি করলেও আমি সেইটারে নিয়া হাসাহাসি না করবো কেনো ?
**
আমিও ব্যস্ত, আপনিও ব্যস্ত । অতএব জোরাজুরি করবো না । আমি প্রতিদিন অন্তত একবার চেক করবো এই পোস্ট । মাঝে মাঝে দুএকদিন দেরীও হইতে পারে প্রতিমন্তব্যে ।