প্রথমে বলি মেয়েদের সম্পর্কে। কারণ এদের ব্যাপারে গবেষণা, আলোচনা, সমালোচনা একটু
বড়সড়।
হাইস্কুলের মেয়েঃ সাধারণত শিক্ষা জীবনের এসময়টাতেই প্রত্যেকে পাঠ্যবই এর পাশাপাশি মুখবই ও পড়া শুরু করে। এসময়টায় ফেসবুক বলতে অধিকাংশই বুঝে চ্যাটিং। আর বন্ধুত্ত্ব যা দেখেই করুক না কেন। দশটা উঠতি ছেলের সাথে চ্যাট করলে তিনটার
কাছ থেকেই লুলামীর শিকার হবে।
তাছাড়া অপরিপক্ক ছেলেপেলে ভর্তি ফ্রেন্ডলিস্টের কারণে অযৌক্তিক অনবরত ট্যাগের অত্যাচার তো আছেই। এদের শুধুই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে ফেবু জীবন নিয়া জ্বালা যন্ত্রণার বর্নণা দিয়ে স্ট্যাটাস পুস্টাইতে দেখা যায়।
কলেজের মেয়েঃ এরা ফেসবুকে শুধু ভাল ভাল ভার্সিটির সিনিয়র ভাই আর মুখবই এর পাতায়
লেখক টাইপ সেলিব্রিটিদের পিছনে ঘুরঘুর করে। এদের বাদে বাকি সব ছেলেদের আবাল বলে আখ্যায়িত করে।
ভার্সিটি/অনার্স লেভেলের মেয়েঃ এরা এসময় কাউকেই পাত্তা দেয় না। নিজেকেই বিশাল বড় হাম্বড় মনে করে। অনেক সময় ছেলেদের
তো ছেলেদের কোন মেয়েকেও পাত্তা দেয় না। আমার রাজ্যে আমিই রাণী ভাব আরকি!
গ্রাজুয়েট মেয়েঃ ইনারা পূর্বে যতই লুতুপুতু হয়ে থাকুন না কেন, এ সময়ে এসে সচেতন ফেবু সমাজের নাগরিক হয়ে যান। সব ছেলেদের
পাত্তা দেন না, কিন্তু মানুষ চিনতে ইনারা অভিজ্ঞ। বেছে বেছে জিনিয়াস সমবয়সী, সিনিয়র, জুনিয়র সব ছেলেকেই ইনারা পাত্তা দেন। আর ছোট আপু সমাজ
বরাবরই ইনাদের কাছে আহ্লাদিত।
এবার আসি ছেলেদের কথায়...
ছেলে যে বয়সেরই হোক না কেন, যে কোন মতের যে কোন বয়সের মেয়েদের সাথেই এরা ফেসবুকে মানিয়ে নিতে পারে।
এটাকে অনেকে তাদের লুলামী বলে। আসলে নিন্দুকেরা ভুল, এটা ছেলেদের গুণ।