আমরা কি?
-বাঙালী।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা কি?
-তারাও তো বাঙালী।
অতীত থেকে শুরু করি..
বঙ্গভঙ্গ মূলত কাদের আমরা নেখাপড়া শিখে বাবু হয়ে গেছি উঁচু নাক স্বভাবের কারণে হয়?
-পশ্চিমবঙ্গের দাদা বাবুদের।
বঙ্গবঙ্গ রদ কেন করা হয়?
- পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকা উন্নত
হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হওয়ার ফলে ওরাও শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছে.. এই ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে যাওয়া দাদা বাবুদের মায়া কান্নার ফলে। শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় রবী ঠাকুর ও বলেছিলেন, ''পূর্ববঙ্গের মানুষ তো চাষা ভোষা, ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কি দরকার?''
তারা যদি আমাদের বন্ধুই হত তাহলে ৭১ এ এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ''জয় বাঙলা'' স্লোগানে সাড়া দিত। বলত এসো আমরা এক জাতি একদেশ ঐক্যবঙ্গ গড়ে তুলি। তা না বরং এদেশের ট্রেনিং এর জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের
দেশে পতাকার ভিতর পূর্ববঙ্গের
মানচিত্র এঁকে ঢুকতে হয়েছিল এটা বোঝানোর জন্য, আমরা সাথে তোমাদের ও চাইছি না শুধু
নিজেরাই স্বাধীন হতে চাইছি।
আসি বর্তমানে..
অনলাইনে সাইবার তর্কের সময়
পশ্চিমবঙ্গের ছেলেপেলেকে বাংলাদেশকে কাঙ্গালাদেশ
বলে কটুক্তি করতে দেখেছি।
তোদের তো আমরা দেশ ভিক্ষে দিয়েছি নিজেকে মেনশন করা তাদের কমেন্ট পেয়েছি।
তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধর্ষণ করে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কে ৩য় পাক-ভারত যুদ্ধ বলে।
তারা আমাদের কাঠ বাঙ্গাল বলে।
নিজেদের খাঁটি বাঙালী মনে করে।
এদেশে ওদের যারা থাকে তাদের
আমাদের ডাকতে হয় অমুক দা, তমুক দা বলে। তারা এদেশে বড় বড় ব্যাবসায়ী। আর ওদের দেশে আমাদের যারা গেছে তারা এই
বলে গালি খায় যে তারা বাংলাদেশী রিফিউজি।
তিস্তার সুষ্ঠু পানি বন্টনের প্রধান
বাধা, যার হস্তক্ষেপ তিনি একজন
বাঙালী নাম মমতা ব্যানার্জী।
বর্ডারে তারা মানুষ আমরা পাখি।
পশ্চিমবঙ্গের সাথে তথা পুরো ভারতের সাথে বাংলাদেশের ফ্রেন্ডশীপ সম্পর্ক শুনলে আমার হাসি পায়। তাদের সাথে আমাদের হওয়া উচিত্ যে কোন ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ সম্পর্ক।
বঙ্গবন্ধুরও সাথে ইন্দিরা গান্ধীর
সম্পর্ক ছিল নো কম্প্রোমাইজ সম্পর্ক। এজন্য স্বাধীনতার পরপরই তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন, আমার স্বাধীন দেশ থেকে তোমার সেনা প্রত্যাহার করে নাও। তাঁর আন্তর্জাতিক
রাজনীতিতে বন্ধুরা ছিলেন--
যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো, মিশরের আনোয়ার সাদাত, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রো। সবচেয়ে আফসোসের বিষয়
বঙ্গবন্ধু কন্যা তার পিতার সবচেয়ে বড় গুণটিই পায় নি!