ছেলেটি মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসার
প্রতিদান হিসেবে নিষ্ঠুর থাবড়া খেয়ে হিংস্র মানসিক হয়ে গেল। সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হল প্রেম সে আবার করবে কিন্তু ভালবাসবে না। অর্থাত্ সব দেবে কিন্তু মন দেবে না। তারপর তার মন ভেঙে এতে কি পৈচাশিক আনন্দ আছে তার স্বাদ নেবে।
বছর খানেকের ভিতরই সে সুযোগ
এসে গেল। তার বিরহী বিরহী কবিতা, নিজের দুঃখকে কটাক্ষ করে ফেসবুক, ব্লগে লেখা দেখে এক কোমলমতি বালিকা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ল। যেচে তার সাথে প্রায়ই কথা বলতে লাগল। ছেলেটার দুঃখ মেয়েটা ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করতে লাগল। মাঝে মাঝে একটু আধটু ফ্লার্ট করার চেষ্টা করতে লাগল কিন্তু ছেলেটার কোন
সাড়া পেল না। এরপর থেকে দেখা করতে থাকল ছেলেটাকে সান্তনার
বাণী শোনাতে লাগল। একদিন মেয়েটি মুখ ফুটে বলেই ফেলল তার আবেগ ভালবাসার কথা। ছেলেটা বোকার মত করে মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। এভাবে চলতে থাকল ছেলের জায়গায় মেয়ের শেয়ারিং কেয়ারিং প্রেম আর ছেলেটার অবস্থান সেখানে অনেকটা বোবার মত সব কিছুতে সায় দেয়া। হঠাত্ করেই ছেলেটা মেয়েটাকে একদিন ছেড়ে দূরে সরে গেল। ফোনে মেসেজ দিল--
তোমার এত ভালবাসায় আমি অতিষ্ঠ। নিজেকে মুক্ত করে নিলাম!
পরদিন সন্ধ্যায় বসে ছেলেটি ধুম্রশলাকায় চুমু খেতে খেতে ঠোঁটের কোণায় এক চিলতে হাসি নিয়ে পৈচাশিক আনন্দ উপভোগ করতে থাকল। কারণ সে যে দুঃখটা একজনের কাছ থেকে পেয়েছে সেই দুঃখটা আরেকজনকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে। সিগারেট শেষ হতেই সে ফিল্টারটাকে পায়ের তলায় পিষ্ঠ করল। সে যেটা চেয়েছে সেটা তো পেয়েছে এখন তাকে উঠতে হবে অনেক দেরি হয়ে গেছে! ফুল-চকলেট কিনতে হবে, মেয়েটার কাছে ফিরে যেতে হবে, নিজ হাতে তার চোখের পানি মুছে দিতে হবে, তাকে বুকে নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং হ্যাঁ এবার থেকে শুধু প্রেম করলেই চলবে না তাকে ভাল ও বাসতে হবে।
কিন্তু মেয়েটির কাছে পৌঁছে সে দেখল মেয়েটি তার জন্য সে সুযোগ রাখে নি। চলে গেছে না ফেরার দেশে।
...পাবলিক খাওয়ার মত একটা লুতুপুতু গল্প সৃষ্টির বৃথা চেষ্টা করলাম। আসলেই মেয়ে জাতি ছেলেদের সমান কখনই হতে পারবে না। যে কোন বিষয়েই ছেলেদের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হবে। যে ক্লেশ-দুঃখ কে ছেলেরা মেয়েদের কাছ থেকে পেলে সামলে নিতে পারে, মেয়েরা সেটা ছেলেদের কাছ থেকে পেলে তা পারে না!
আচ্ছা, যা তাদের নিজেদের সইবার শক্তি নেই তা কি অন্যদের দেবার অধিকার আছে?