মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আস সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহ পাকের অশেষ দয়ায় ভাল আছেন। এ গোলামও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে ভাল আছি। এ অধম গোলাম আপনাকে আজও একটু বিরক্ত করছি। আমি আশা করি অনিচ্ছাকৃত কোন ভুলত্রুটি হলে আপনি এ অধমকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যপী করোনার আক্রমণ সকল মানুষকে হতবাক করে ফেলেছে। বিশ্বের সকল ক্ষমতাধর ব্যক্তিগনও ভয়ে কম্পমান। ইতিমধ্যেই করোনা কয়েক লক্ষ মানুষের প্রান কেঁড়ে নিয়েছে। আমাদের দেশ থেকেও মন্ত্রী, সচিব, শিল্পপতিসহ অনেক ডাক্তার,নার্স, পুলিশ অকালে ঝরে গেছে । সামনে কি অপেক্ষা করছে তা একমাত্র আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ব্যাপক রোগ বালাই, ক্ষরা, দুর্ভিক্ষ, ঝড় বাদল, যুদ্ধ বিগ্ৰহ, ভূমিকম্প, পঙ্কপালের আক্রমণ ইত্যাদি সবকিছুই আল্লাহ পাকের বাহিনী। মানুষ আল্লাহ পাকের এই বাহিনীর কাছে পরাস্ত হতে বাধ্য। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুহার অনেক কম। এই করোনায় যদি শতকরা একটি লোকও মারা যায় আর ঐ লোকটা যদি আপনি অথবা আমি হই তাহলে কেমন হবে ? ইতিমধ্যেই যারা মারা গেছে তারা কি ভাবতে পারছিল এই করোনা তাদের জীবন কেড়ে নিবে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধাগণ ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, RAB ইত্যাদি। আমি একটা কথা বার বারই বলছি এই করোনা যোদ্ধাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, যথাযথ প্রোটেকশন এবং সরকারি যথাযথ সহায়তা প্রয়োজন যাতে তারা যুদ্ধের ময়দানে থাকতে ভয় না পায়। আপনি তো যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং এখনো করোনার বিরুদ্ধে ভালভাবেই লড়াই করে যাচ্ছেন। আমি দোয়া করি আপনি এই যুদ্ধ সফল হন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার এই খোলা চিঠিটার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। এতে অনিচ্ছাকৃত কোন ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে নিজ দয়াগুনে এই অধমকে ক্ষমা করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,এবার চিঠিতে মোজাদ্দেদ সম্পর্কে কিছু দলিল প্রকাশ করতে চাই। ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল করিম লিখিত "মানব ধর্ম" বইটিতে (৮৮~৯০পৃষ্ঠা) মুজাদ্দিদগনের সংষ্কার কর্ম সম্পর্কে তিনি তিনি লিখেছেন, "হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) আখেরী নবী হওয়া সত্ত্বেও তিনি স্বল্প স্বল্প সংষ্কারের দ্বার আবশ্যক বোধে বন্ধ করেন নাই। কেননা তিনি বলিয়াছেন- 'নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর প্রারম্ভে এমন একজন ব্যাক্তিকে প্রেরণ করিবেন যিনি তাহাদের জন্য তাহাদের ধর্ম সংষ্কার করিবেন।' (আবু দাউদ)
তিনি আরো বলেন," ধর্মে যে সকল কোরআন ও হাদীসের শিক্ষা কালের কবলে পতিত হইয়া বিস্মৃতির সাগরে নিমজ্জিত হইয়া যায় বা যে সকল ভুল-ভ্রান্তি ও কুসংস্কারজনিত রীতিনীতি ধর্মনীতি বলয়া কুখ্যাত হয় তাহা দূরীভূত করা মুজাদ্দিদের কাজ।"
আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল করিম তার " মানব ধর্ম" বইটিতে আরো বলেন, " নবী সূর্যবৎ আর মুজাদ্দিদ ।। ইসলাম গগণের উপর মুসলমানদের কৃৎ পাপরাশির ধুম্রজাল সমুথ্থিত হইয়া যে ঘন কৃষ্ণ মেঘের সৃষ্টি হইয়াছে এবং যাহা ইসলামের তিক্ষ্ণ রাশিমালাকে সম্পূর্ণ আবৃত করিয়া রখিয়াছে মুজাদ্দিদগণ সেই মেঘাবরণ অপসারণ করিয়া ইসলামের জ্যোতিকে পূর্ণ প্রজ্জলিত করিতে আদিষ্ট।"
ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত এ, এফ, এম, আব্দুল আযীয ও সিদ্দিক আহমদ খান লিখিত " হযরত মুজাদ্দিদ আলফেসানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি" বইটিতে ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক লিখেছেন, " প্রতি শতবর্ষ ও সহস্র বছরে আল্লাহ তায়ালা তার দীনকে অনৈসলামিক রীতিনীতি ও কুসংস্কারের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে সঠিকভাবে দুনিয়ার বুকে জিন্দা রাখার জন্য সংস্কারক বা মুজাদ্দিদ পাঠিয়ে থাকেন। এই ধারাবাহিকতায় হিজরী দ্বিতীয় সহস্রের মুজাদ্দিদ হিসেবে আবির্ভূত হন মুজাদ্দিদে আলফেসানী ইমামে রব্বানী শেখ আহমদ সিরহিন্দী (রঃ)।"
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই বইয়ের পঞ্চম পরিচ্ছেদে মুজাদ্দিদ আগমনের হাদিসটি কয়েকবার উপস্থাপনা করা হয়েছে। এই পঞ্চম পরিচ্ছেদে কিছু অংশ এমন, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং তাহার পরে কেহ নবুয়ত প্রাপ্ত হইবেন না। এই জন্য আল্লাহ তায়ালার তরফ হইতে তাহার প্রচারিত শরীয়তকে কিয়ামত পর্যন্ত হেফাজতের ব্যবস্থাদিও যথেষ্ট পরিমাণে করা হয়েছে এবং উম্মতগণকে এই ব্যবস্থাদি সম্পর্কে পূর্ব হইতে অবহিত করাইয়া নিশ্চিন্ত করানো হইয়াছে। এই সম্পর্কে কুরআন মজীদে কতিপয় বিশিষ্ট ব্যবস্থার খবর উল্লেখ আছে এবং কতিপয় বিষয়ের সংবাদ সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক শতাব্দীতে মুজাদ্দিদ হওয়াও এই ব্যবস্থাগুলির অন্যতম। আবু দাউদ শরীফে নিম্নরূপ একটি হাদিস বর্ণিত রহিয়াছে:" নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক শতাব্দীর শেষভাগে এই উম্মতগণের দীনের সংস্কারের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করিয়া থাকেন।"
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, লেখক মুজাদ্দিদ আলফেসানী (রহঃ) এর লেখা পড়ে পড়ে ও তার সমন্ধে লোক মুখে জ্ঞাত হয়ে এ সমস্ত বই লিখেছে। কিন্তু প্রকৃত জীবিত মুজাদ্দিদ আলফেসানী ( রহঃ)কে প্রকাশ করা কি সম্ভব? একজন জীবিত মুজাদ্দিদ পারে আরেক মুজাদ্দিদকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে । তারপরও লেখক তার সম্পর্কে এই বইয়ে যা প্রকাশ করেছে তাও অনেক। তবে সকলে পড়ে পড়ে আসল কথা বুঝতে পারবে না। হাদিসে পরিষ্কার করে বলা আছে মুজাদ্দিদ আল্লাহ তায়ালা পাঠাবেন। এতটুকু চিন্তা করলেই হাদিসটির বাকি অংশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই বুঝা যায়। আল্লাহ পাক যখনই কিছু করেন, যা-ই করেন কোন ব্যাক্তির মাধ্যমে করেন। আল্লাহ পাকের প্রকৃত খবর, পরিচয়, রহস্য, ইচ্ছা তার মনোনীত বান্দার কাছে মজুদ থাকে। এ রকম বান্দা সচরাচর আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেন না। তিনি যখন প্রয়োজন মনে করেন তার কোন বিশেষ কাজ করানোর জন্য এরকম বান্দা সৃষ্টি করেন। তিনি হন যুগের অদ্বিতীয় ব্যাক্তি। সুতরাং আল্লাহ পাকের মনোনীত এরূপ ব্যাক্তির আনুগত্যই নবী ও আল্লাহর আনুগত্য । আর তার বিরোধিতা মানে নবী ও স্বয়ং আল্লাহরই বিরোধিতা করা। আল্লাহ পাকের মনোনীত এরূপ বান্দাকে এড়িয়ে বা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ কারোই নাই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ছাড়া । তিনি জগতবাসীর ইহকাল ও পরকাল দোজাহানের মঙ্গলের জন্য সকলকে আল্লাহ পাকের নির্দেশিত পথে ডাকেন। এরকম ব্যাক্তি হন শেষ নবীর প্রতিনিধি। তারা অতিতেও এসেছে জগতবাসীর হেদায়েতের জন্য, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই উপমহাদেশে বিখ্যাত জৈন পুরী পীর নামে খ্যাত হযরত কারামত আলী (রহঃ) বলেন, " প্রত্যেক দেশেই ধর্মের পূণর্জাগণের জন্য একজন মুজাদ্দিদের জন্ম হয়। হযরত সায়্যিদ আহমদ বেরেলবী (রহঃ) ছিলেন তের'শ শতাব্দীর এরূপ মুজাদ্দিদ এবং ১৪'শ শতাব্দীতে আর একজন শিক্ষকের অভ্যূদয় না হওয়া পর্যন্ত তাহার অনুসরণ করা উচিত"(সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ)। তেমনিভাবে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইলিয়াস (রহঃ) বলেন, "হযরত আব্দুর রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহঃ) এই যুগের কুতুবে এরশাদ ও মুজাদ্দিদ ছিলেন, (মালফুযাত-১৪৭)।" ভারতের হযরত আশরাফ আলী থানবী (রহঃ)কে বলা হয়ে থাকে হাকিমুল উম্মত অর্থাৎ কে নবীর উম্মত আর কে নবীর উম্মত না তার বিচারক তিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে মক্কা ও এর আশপাশের জগতে অনেক পন্ডিত, শিক্ষক, ধর্মগুরু, ইমাম, মহাইমাম, ধর্মীয় কিতাবের বিশ্লেষক, সমাজপতি, রাজা, মহারাজা, কাবা ঘরের ইমাম, গীর্জার ফাদার, সিনাগগের মহাজাযক আরো বহু নামী- দামী, খ্যাতিমান ব্যাক্তিবর্গ উন্মুক্ত আকাশের তারকার মত জ্বল জ্বল করছিল কিন্তু কারো কাছেই পরকালে মুক্তির চাবিকাঠি ছিল না। পরকালে মুক্তির একমাত্র চাবিকাঠি ছিল সমাজের চোখে এতিম, অসহায়, কাঙ্গাল, অশিক্ষিত, নগন্য, হেয়, প্রভাব- প্রতিপত্তি- খ্যাতি- নাম ও যশহীন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কাছে। এটা বিশ্বাস করা কাবা ঘরের ইমাম আবু জাহেল, আবু লাহাব ও অন্যান্য গোত্রীয় সর্দারের কাছে অকল্পনীয়, অভাবনীয়, অচিন্তনীয় ও অসম্ভব ব্যাপার ছিল। তাইতো মক্কার কুলীন, আভিজাত্যের শিখরের উচ্চ বংশীয় মর্যদার ও শতাব্দীর পর শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নবী ইব্রাহীম (আঃ) ও ইসমাইল ( আঃ) এর শ্রেষ্ঠ উম্মতের দাবীদার মক্কাবাসীরা আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করেছিল, " ইয়া আল্লাহ! এটা যদি তোমার পক্ষ থেকে সত্য দীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষন কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর ( সুরা আনফাল)"। অর্থাৎ (মক্কাবাসীর দৃষ্টিতে) যে মোহাম্মদ নিজ বাপের চেহারা দেখতে পায় নাই , যে মোহাম্মদ ছয় বছর বয়সে নিজ মাকে হারিয়েছে, পিতৃ-মাতৃহীন অসহায় এতিম যে মোহাম্মদ আশৃত তার দাদা আব্দুল মোত্তালেবকেও মাত্র বার বছর বয়স যেতে না যেতেই হারিয়ে ফেলে এবং অসচ্ছল চাচা আবু তালেবের আশ্রীত হয়। তার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে চাচার ছেলেদের সাথে মাঠে মাঠে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি চরাতে হয় তাকে। কখনো কখনো চাচার সাথে ব্যাবসা বাণিজ্য করার জন্য সিরিয়া যেতে হয় তাকে। পরে মক্কার ব্যবসায়ী খাদিজার ব্যবসা বাণিজ্য দেখা শোনার চাকরি করতে হয় তাকে। চাচার অসচ্ছলতার কারণে এবং চাচার সম্মতিতে পঁচিশ বছরের টগবগে যুবক মোহাম্মদকে বিয়ে করতে হয় চল্লিশ বছর বয়সের খাদিজাকে যার আগে দুটো বিয়ে হয়েছে এবং এক স্বামীর ঘরে হারেস নামে তারই দু এক বছরের ছোট একটা সন্তান আছে। এসবই মক্কার কৌলীন ও সম্ভ্রান্ত লোকেদের চোখের সামনে ঘটেছে। তাছাড়া দু চার খানা কীতাব পড়া তো দুরের কথা নিজের নামটি পর্যন্ত লিখতে পড়তে পারতেন না যিনি এমন লোকের কথা বিশ্বাস করে তার আনুগত্য করে চলার চেয়ে মরাও যেন তাদের জন্য উত্তম মনে হয়েছিল।। তাইতো তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে, "মাবুদ গো! মোহাম্মদকে মেনে যদি বেহেশত পেতে হয়, তবে এমন বেহেশত আমরা চাইনা এরচেয়ে বরং আকাশ থেকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হয় আমাদের মেরে ফেলো নচেৎ অন্য কোন কঠিন শাস্তি দিয়ে আমাদের ধ্বংস কর। তবুও আমরা মোহাম্মদকে মানতে পারব না।"
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান জগৎ তখনকার জগৎ থেকে সব দিক দিয়ে অনেক অনেক বড়। বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদদের কল্যানে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতির কারণে অনেক বড় জগৎটা আজ অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট, ফেইসবুক, মোবাইল, টেলিভিশন, বিমান, স্যাটলাইট ইত্যাদি পুরো পৃথিবীটাকে আমূল পাল্টিয়ে ফেলেছে। বর্তমান পৃথিবীতে হাজার হাজার বিষয়ে লক্ষ লক্ষ পন্ডিত, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, কবি, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সমাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমরনীতিবিদ ইত্যাদি মনীষী রয়েছে। শত শত রাষ্ট্রের শত শত ক্ষমতাধর মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার ধর্মের লক্ষ লক্ষ ধর্মগুরু, স্ব স্ব ধর্মবিশারদ ও ধর্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনকারীও রয়েছে। কিন্তু পুরো পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ও পরকালে মুক্তির চাবিকাঠি কারো কাছে আছে কি? হ্যাঁ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় প্রশ্নটি করলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়, অকল্পনীয়, অচিন্তনীয়, অসম্ভাব্য হলেও সত্য আপনার এই ক্ষুদ্র দেশেরই অতি নগন্য, অতি দরিদ্র, নিঃস্ব, অসহায়, কাঙ্গাল প্রভাব-প্রতাপ-নাম-খ্যাতি ও যশহীন, বলতে গেলে প্রায় নিরক্ষর এক ব্যাক্তির হাতে আসমান জমিনের মালিক মহান ও পরাক্রমশালী বাদশাহ আল্লাহ পাক বিশ্বের সকল মানুষের পরম আকাঙ্ক্ষার ধন সেই চাবিকাঠি দিয়ে রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা অসহায়, অক্ষম, নগন্য, এই গুরু দায়িত্ব প্রচার, প্রসারে অপারগ। তাইতো আপনার সহোযোগিতার জন্য হাত বাড়ালাম। তিনি নীষ্কম্পকন্ঠে ঘোষণা করেছেন,"সারা বিশ্বে এরকম একজন ব্যক্তিই আছেন। এই ব্যক্তিকে পেতে দেশ দেশান্তর পেরিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন। তিনি আরো অঙ্গীকার করেছেন, জাতিসংঘের আয়োজিত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় সৃষ্টিকর্তা মনোনীত এমন বান্দা না পাওয়া গেলে তাকে সর্ব সম্মুখে তাকে হত্যা করিতে পারিবেন, এতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন আপত্তি করতে পারবে না।" তিনি আরো জানিয়েছেন," আল্লাহ পাকের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য যে ব্যক্তি বা সেই দেশ এগিয়ে আসবে সেই ব্যক্তি কিংবা সেই দেশকে আল্লাহ পাক দুনিয়ার বুকে মার্যদাশীল করবেন"। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আরো জানিয়েছেন, "আমাকে অস্বীকার করার কারণে পৃথিবীতে গযবের চাপ বৃদ্ধি করা হবে।" হে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও মুক্তির জন্য এ অধম গোলামের কথার দিকে দয়া দৃষ্টিপাত করুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আর নয়। আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেললাম। এ জন্য এ অধম গোলাম ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও সুখে থাকুন, আমিন
ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন
সেক্রেটারি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭