somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট খোলা চিঠি ১৩

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আস্ সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণীতে ভাল আছেন। এ অধম গোলামও মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণীতে ভাল আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে এ গোলাম বার বারই বিরক্ত করছি। কিন্তু যা বলতে চাই তা প্রান খুলে বলতে পারছিনা। একটু একান্ত সাক্ষাৎ ছাড়া মনের ব্যথাটা বুঝাই কি করে। আমার অন্তরের ব্যথাটা মূলত আপনার নিজের জন্য, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী সকল মানুষের জন্য। আমার মত এত ক্ষুদ্র, নগন্য ও গুরুত্বহীন মানুষের এত বিশাল যন্ত্রনা, না পারছি কইতে, না পারছি সইতে। যাইহোক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছের কোন লোক এবং তাকে যারা ভালবাসেন তারা যদি দয়া করে অন্তত খোলা চিঠিগুলো পৌঁছাতে পারেন তবে কৃতজ্ঞ থাকব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান হিসেবে দেশের প্রায় সকল কৃতিত্ব আপনারই । তদ্রুপ, দেশের সকল অপকর্মের জন্য মানুষ আপনারই সমালোচনা করবে। তাই যাতে কেউ অপকর্ম করে আপনার ঘাড়ে দোষ না ফেলার সুযোগ পায় সে দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখা দরকার। করোনাকে উদ্দেশ্য করে যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেছে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের ব্যাপারে কঠোর হোন। RAB, পুলিশসহ আরো যারা রিজেন্ট হাসপাতাল ও অন্যান্য দুষ্টচক্রদের অপকর্ম অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে খুঁজে বের করেছে তাদের পুরুষ্কৃত করা ও উৎসাহ দেয়া দরকার। তাতে তারা আরো দুঃসাহসিক অভিযান চালাতে প্রেরণা পাবে।আর তাদের ছোট খাট ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখা উচিত । RAB এর ভ্রাম্যমান আদালতের মত আরো নির্ভরযোগ্য কিছু ভ্রমান্য আদালত বানান দরকার । এদের নকল ওষুধ, নকল কসমেটিক, ভেজাল পণ্য, নকল টাকা, জাল সনদ ইত্যাদি দূর করার দায়িত্ব দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আরো বিস্তৃত করুন। প্রয়োজনবোধে পুরানো জেল খানার জায়গায় আধুনিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-খ বিশতলা ভবন তৈরি করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেয়াদবি মাফ করবেন। এ অধম গোলাম আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০০৮ সালের, ২৯ ডিসেম্বরের ইলেকশনে কি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল যার কারণে আওয়ামী লীগ অকল্পনীয় অভাবনীয় ও অচিন্তনীয় বিজয় লাভ করেছিল? কেন ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার নৌকায় পাল তুলে অনেক কঠিন কঠিন কাজ করেছে চলছে কোন বাঁধা বিঘ্ন ছাড়াই? এ দুটো প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরী। এ দুটো প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর জানলে, নৌকার সামনে আর কোন কঠিন বিপদ আছে কিনা এই তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে সহজে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ভবিষ্যতের কোন কিছুই জানি না। ভবিষ্যত জানেন একমাত্র আল্লাহ। তবে যে ক্ষমতাবান নৌকার পালে হাওয়া লাগিয়ে দিতে পারে তিনি কিন্তু নৌকাকে আবার কঠিন উজানেও ফেলতে পারে। আমি কঠিন দুর্যোগের ঘন কুয়াশা দেখতে পাচ্ছি। আমি যা দেখছি তা শত ভাগ সত্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের ক্ষমতাই কি বেশি? নাকি একমাত্র আল্লাহ পাকের ক্ষমতাই বেশি? দুনিয়ার সকল মানুষ আল্লাহ পাকের ক্ষমতার কথা ভুলে গেছে। আল্লাহ পাক আবার জগতের মানুষকে তার ক্ষমতা ও দয়ার প্রমাণ দেখাতে চান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানুষ কিতাব পড়ে কিংবা শোনা কথার ওপর অনুমানের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের সঠিক বিশ্বাসী, বা মুসলমান মনে করে। আল্লাহ পাক তাদেরকে মুসলমান বা ঈমানদার হিসেবে গ্ৰহণ করলেন কিনা তা খতিয়ে দেখে না। অর্থাৎ মানুষ আল্লাহকে কোন তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র কিতাবের ওপর শুনা কথার ওপর নির্ভরশীল হয়ে ধর্ম পালন করে। এটাই বর্তমানে সকল ধর্ম পালনের রেওয়াজ বা বংশানুক্রমিক ধর্ম পালন রীতিনীতি। ধর্ম পালনের এ রকম রেওয়াজ আগেও ছিল। এ রকম শুধুমাত্র অর্জিত জ্ঞান, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার নির্ভর করে ধর্মগ্ৰন্থ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করলে ধর্মগুরুদের মধ্যে মত পার্থক্য হবেই। কারণ, অর্জিত জ্ঞান, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা এক একজনের এক রকম। এই ফাঁকে শয়তান অতি সহজে প্রবেশ করে এবং ধর্মকে লন্ড ভন্ড করে দেয় যা বর্তমানে বিদ্যমান। এমন কোন ধার্মিক নাই যে বলতে পারে একমাত্র আমার মত বা বিশ্বাস সঠিক। আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই পরকালে আমাকে নাযাত দিবেন। যদি সে সাইদী কিংবা জাকির নায়েক অথবা আরো বড় কোন বুজুর্গ, পীর, মোহতামীম অথবা যে কোন ব্যাক্তি হউক বর্তমান পৃথিবীতে আসমানের নীচে এবং জমিনের ওপরে এমন দাবি করার কেউই নেই একমাত্র একজন ছাড়া। আল্লাহ পাকের ওলী বা মোজাদ্দেদকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নাই। তারা মহাক্ষমতাশালী আল্লাহ পাকের বন্ধু বা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহ পাকেরও প্রতিনিধি। তাদের সাথে থাকে স্বয়ং আল্লাহ পাকের দয়া ও নিবিড় সম্পর্ক। ১৩০০ সালে সিলেটের রাজা ছিল গৌর গোবিন্দ। সে ছিল ঘোর মুসলীম বিরোধী। কোন এক ঘটনার কারণে বঙ্গদেশের গভর্নর শামস্ আল-দীন ফিরোজ শাহ সিকান্দার গাজীকে সিলেট বিজয়ের জন্য পাঠালেন। কিন্তু সিকান্দার গাজীর বাহিনী গৌর গোবিন্দের কাছে পরাজিত হলো। অথচ আল্লাহ পাকের ওলী হযরত শাহজালাল ( রহঃ) এর বাহিনীর কাছে আল্লাহ পাকের কুদরতে তুখোড়, অস্ত্রে সুসজ্জিত ও প্রশিক্ষত গৌর গোবিন্দের বাহিনী পরাজিত হলো। ভারতে যখন হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি ( রহঃ) ইসলাম প্রচারে আসেন তখন সেখানকার রাজা ছিল পৃথ্বীরাজ। রাজা পৃথ্বীরাজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ)এর সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে নাই। ফলে হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) অন্তরে ব্যথা পেয়েছিলেন। এদিকে বাদশাহ ঘোরি যিনি রাজা পৃথ্বীরাজের সাথে যুদ্ধে হেরেছিলেন । তিনি পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার নেশায় বিভোর । তিনি এক রাতে স্বপ্নে দেখেন , হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তাকে ভারত আক্রমনের জন্য তাগিদ দিতেছেন। ঘোরি বেশি দেরি না পৃথ্বীরাজের ভারত আক্রমণ করলেন এবং তাকে পরাজিত করলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পারস্যের বাদশাহ খসরু পারভেজকে দূত মারফতে ইসলামের দাওয়াত গ্রহন করার জন্য পত্র প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু বাদশাহ খসরু পারভেজ ক্রোধে ও ক্ষোভে দূতের সামনেই পত্র খানা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। দূত ফিরে এসে নবী করিম (সঃ)কে এই খবর বলার পরে তিনি অত্যন্ত ব্যথা পেলেন এবং বললেন," আল্লাহ পাক খসরু পারভেজের রাজ্যও টুকরা টুকরা করে ফেলবেন। সত্যই পরবর্তীতে আল্লাহ পাক খসরু পারভেজের রাজ্যও টুকরা টুকরা করে ফেলেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো ভাল করে জানেন হযরত মূসা (আঃ) ও ফেরাউনের (রামেসিস ২) এর ঘটনা। হযরত মূসা (আঃ) নবী হওয়ার পূর্বে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের একজন লোককে ঘুষি মেরে খুন করেছিলেন। ফেরাউনের হাত থেকে বাঁচার জন্য রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পালিয়েছিলেন। কিন্তু নবী হওয়ার পরে আল্লাহর নির্দেশে ফেরাউনকে ধর্মের দাওয়াত দিতে গেলেন। প্রতাপশালী, প্রভাবশালী, প্রচন্ড ক্ষমতাধর ফেরাউন কি এক অসহায়, হতদরিদ্র প্রজা, খুনী, ভিন গোত্রের মূসার কথা গ্রাহ্য করতে পারে? সকলের পূজ্য, মান্যবর, জনপ্রিয়, জনদরদী ফেরাউন কি প্রভাবহীন ও শক্তিহীন এক মূসার কথা বিশ্বাস করতে পারে? কিন্তু মূসা তো এক মহাশক্তি ও মহাপ্রাতাপশালী প্রভুর পক্ষ থেকে ফেরাউনকে বার বার সতর্ক করেছিল। এক ক্ষুদ্র, নগণ্য মূসার কথাই যে সত্য হয়ে যাবে এটা ফেরাউন কখনোই ভাবতে পারে নাই। তার সকল সভাষদ , ধর্মগুরু, দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন সত্ত্বেও তাকে পানিতে ডুবে মরতে হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একই পরিনতি হয়েছিলো উদ্বত ও দাম্ভিক বাদশাহ নমরুদের। হযরত ইব্রাহীম ( আঃ) ছিলেন তার দেশের এক ধর্ম যাজকের সন্তান। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধর্মের জয়গান পুরোহিত, ঠাকুরেরা ও বাদশাহ নমরুদ সবাই একসুরে ভালভাবেই গেয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ধর্মের মালিকের কাছে পছন্দ হচ্ছিল না তাদের সেই জয়গান। তাই ধর্মের মালিক তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা করলেন। এ কাজের জন্য তিনি হযরত ইব্রাহীম ( আঃ)কে নবী মনোনীত করলেন । কিন্তু প্রথমেই সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল তারই আপন পিতা। মহান আল্লাহ পাক হযরত ইব্রাহীম ( আঃ)কে যে জ্ঞান, যুক্তি, হেকমত দিয়েছিলেন তার সম্মুখে দাঁড়ানোর মত কেউই ছিল না। আস্তে আস্তে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)এর খবর পৌঁছল বাদশাহ নমরুদের কানে । অহংকারী, পরাক্রমশালী, স্বেচ্ছাচারী নমরুদ শেষ পর্যন্ত হযরত ইব্রাহীম ( আঃ)কে আগুনে পুড়ে মারার সিদ্ধান্ত নিল। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার সহায় ছিলেন। আগুনে পুড়িয়েও তাকে মারা সম্ভাব হলো না। চল্লিশ দিন পর্যন্ত আগুনের কুপে পোড়াল তাকে। কিন্তু হযরত ইব্রাহীম (আঃ)এর এক খোদা তাকে আগুন থেকে রক্ষা করলেন। আর বাদশাহ নমরুদের পরিনতি হলো অভিশপ্ত মৃত্যু। তাকে তার সভাষদ, ধন-সম্পদ, রাজ্যশক্তি, জনগণ কেউই বাঁচাতে পারল না। এত বড় প্রতাপশালী, প্রভাবশালী, শক্তিশালী, জনপ্রিয়, জনদরদী, যুগ যুগ ধরে রাজ্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত স্বেচ্ছাচারী নমরুদের অভিশপ্ত মৃত্যু কেন হলো? এ পরিনতি একমাত্র কারণ, আল্লাহ পাকের এক মনোনীত, আদিষ্ট বান্দা হযরত ইব্রাহীম( আঃ)এর কথা সে অস্বীকার ও অবিশ্বাস করেছিল। যতদিন এ দুনিয়া থাকবে ততদিন জগতের মানুষের কাছে নমরুদ ঘৃণিত, ধিকৃত ও নিন্দিত হয়ে থাকবে। আর পরকালে অনন্তকাল কঠিন শাস্তির স্বাদ পেতে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জগতবাসীর সমস্ত মানুষ সেই মহাপ্রতাপশলী, মহাদয়ালু, মহাদয়াবান ও মহাক্ষমতাশালী সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গেছে। পৃথিবীর সমস্ত মানুষও যদি তার বিরুদ্ধে অর্থাৎ তার মনোনীত দাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় আর এক আল্লাহ যদি তার পক্ষে থাকে তাহলে তাহলে সমীকরণ কী হবে? অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর মনোনীত দাস বিজয়ী হবে। পৃথিবীবাসীর ইতিহাস থেকে রাজা গৌর গোবিন্দ, রাজা পৃথ্বী রাজ, বাদশাহ খসরু পারভেজ, ফেরাউন, নমরুদ প্রভৃতি কিছু ব্যক্তিদের কিছু কথা আপনাকে স্মরণ করানোর জন্য এখানে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরলাম। সেই সর্বশক্তিমান, সদাজাগ্রত ও সদা সর্বত্র বিরাজমান আল্লাহ পাকের বর্তমান এক দাসের কথা বলার জন্য এতসব বলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সত্যিকার অর্থেই আমি আপনার মঙ্গলকামী একজন নগন্য নাগরিক। কিন্তু আমি অত্যন্ত নিরুপায়। আমি এ দেশের উর্ধ্ব আকাশে তর্জণ গর্জণের শব্দ সুস্পষ্টভাবে শুনতে পাচ্ছি। হয়তোবা খুব শীঘ্রই আকাশ ভেঙ্গে পড়বে। এমন কেউ নেই তা রোধ করতে পারে। একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকই এই মহাবিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন। তবে এ দেশে আল্লাহ পাকের মনোনীত বর্তমান প্রিয় দাসকে অবহেলা, অবজ্ঞা, অসম্মান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, এড়িয়ে, অবিশ্বাস ও অস্বীকার করে নয়। তার কথা শুনে, তাকে যথাযথ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভক্তি করেই এই মহাবিপদ এড়ানো সম্ভব। আল্লাহ পাক তার পাক পবিত্র কোরআনে করিমে বলেছেন, " মিথ্যাবাদীর জন্য আল্লাহর অভিশাপ।" আমি সেই আল্লাহকে ভয় করি এবং মিথ্যা থেকে দূরে থাকি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি পরম শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভক্তি রেখে অতি বিনয়ের সাথে আমি পরিষ্কারভাবে বলছি- সামনে কঠিন বিপদ। বিপদের আকার আকৃতি ধরন কেমন হবে তা আমি জানিনা। গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে এই নগণ্য দাসের কথার দিকে মনোযোগী হন। অতিতের রাজা বাদশাহদের মত আল্লাহ পাকের নৈকট্যপ্রাপ্ত দাসের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা, অসম্মান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না এবং আল্লাহ পাকের কঠিন গজব ডেকে আনবেন না। সময় খুব বেশি নাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ পাক যাকে কোন ওলী বা মোজাদ্দেদের দায়িত্ব দান করেন নাই এমন ব্যক্তি কোন দিন মুজাদ্দিদ বা ওলী হওয়ার দাবি করতে পারে না। যদি কেউ কখনো এমন দাবি করে তাহলে অবশ্যই ধরা পড়ে যাবে। কারণ, আল্লাহ পাকের সাথে তার সম্পর্কের কোন বিবরণ দিতে পারবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দারা তো রাজত্ব চান না। তারা চান ধনী, গরিব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ও ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মহাকল্যান অর্থাৎ চিরস্থায়ী জগতের নিশ্চিত মুক্তি। তারা জগতের সকল মানুষকে একই সমান দেখেন। সকল মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্ট জীব। সকলের খাওয়া, পরা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা তিনিই করেছেন। তিনিই শিশু, কৈশর, বাল্য, যৌবন, বার্ধক্য ও মরণ সৃষ্টি করেছেন। সকল প্রকার সুখ, শান্তি ও স্বচ্ছলতাও তারই হাতে। কাজেই তিনি দুনিয়ার রাজত্ব কিংবা বাদশাহীয়াতের প্রতি প্রলুদ্ধ হন না। তার লক্ষ্য একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিজে একজন ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা। সকল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপনি সোচ্চার। আপনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাকের ওপরও দৃঢ় বিশ্বাসী। আপনি সকল ধর্মীয় রীতিনীতি যথাযথভাবে পালনও করে থাকেন। সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহই আপনার দেশে একজন মনোনীত দাসের অভ্যূদয় ঘটিয়েছেন। আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে এ দেশ থেকে সারা বিশ্ববাসী মানুষের মাঝে তার দয়া, ক্ষমা ও ভালবাসার হাত প্রসারিত করবেন। সারা জগতবাসী আল্লাহ পাকের এই অফুরন্ত নেয়ামত ও রহমত নেয়ার জন্য এ দেশে ছুটে আসবে। এ দেশে আল্লাহ পাকের প্রিয় দাসের কদর না হলে এই নেয়ামত অন্য দেশে নিয়ে যাবেন এবং খুব কঠিন অবস্থায় ফেলে দেবেন এ দেশকে। আমি আগেই বলেছি যে দেশ ও যে ব্যাক্তির মাধ্যমে এ সত্য প্রষ্ফুটিত হবে আল্লাহ পাক সে দেশ ও ব্যাক্তির মর্যদা বৃদ্ধি করে দিবেন। সুতরাং অনুগ্রহ করে এ দাসের দিকে মনোনিবেশ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজকের মত এখানেই শেষ করতে চাই। এই খোলা চিঠিতে অনিচ্ছাকৃত কোন ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে মেহেরবানী করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দোয়া করি আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, এবং শান্তিতে থাকুন, আমিন

ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন
সেক্রেটারি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০২
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×