কিশোরস্বপ্ন!
-কিশোরস্বপ্ন একটি আকাশের নাম।
যার রঙিন প্রচ্ছদে শিশু-কিশোরদের 'স্বপ্নগুলো ' ডানা মেলে উড়ো-উড়ি করে।
বাঙলা সাহিত্যের তারকারা যেখানে আলো ছড়ায় অনবরত।
সাহিত্যের সাদা মেঘমালা উড়ে উড়ে স্বপ্ন দেখায়,কিশোরদের এগিয়ে যাওয়ার ঈঙ্গিত দিয়ে।
কিশোরস্বপ্ন!
-আমাদের আলোর মিনার!
-আমাদের স্বপ্নীল ভবিষ্যত!
-আমাদের চিন্তা-চেতনার মুখাপত্র!
-এতদিন যার প্রতিক্ষায় আমরা রাত-দিন হিসেব করতাম,আসমানে তারা গুণতাম।
-এতদিন আমাদের স্বপ্নগুলো মাথার 'করোটির' ভেতর উড়ো-উড়ি করতো।
বাস্তব-পৃথিবীতে 'জন্ম' নেয়ার জন্য শুধু ছটফট করত!
-আমাদের অন্তরে সাহিত্যের 'বীজ' কলমের পানিতে ভিজতো।কিন্তু সেগুলো বপনের জন্য 'কিশোরস্বপ্ন' নেই।
-আমাদের স্বপ্নগুলো বিক্ষিপ্ত অবস্থা ছুটোছুটি করতো।কিন্তু সেগুলোকে পরিচর্যা করার জন্য 'কিশোরস্বপ্ন' নেই।
-'কিশোরস্বপ্ন' আমাদের চিন্তা-চেতনা স্বাধিনতা-মানবতার একটি সৃষ্টিশীল-সৃজনশীল কানন।
কিশোরস্বপ্ন
-শিশু-কিশোর সাহিত্য উদ্যানে 'গন্ধরাজ' হয়ে আমাদেরকে প্রথমে সুবাসিত করতো আদিব হুজুরের পুষ্প।কিন্তু অ নে ক দিন পর্যন্ত 'পুষ্প' আর বাগানে ফোটছে না,সুবাস দিচ্ছে না।তাই আমরা পুষ্পাবাস বঞ্চিত।
-তবে এবার কিশোর স্বপ্ন এসেছে অনেকগুলো 'গন্ধরাজ' হয়ে, অনেক অনেক সুবাস নিয়ে।সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।সচ্ছ এবংসু-সাহিত্যের সুবাস!
'কিশোরস্বপ্ন' নিয়ে আমাদের একরাশ ভালোবাসা, বুকভরা বড় আশা।
আশাকরি 'কিশোরস্বপ্ন' আমাদেরকে অ নে ক অ নে ক দিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখাবে এগিয়ে যাওয়ার পথে।
-'কিশোরস্বপ্ন' কানন।যেখানে বড়-ছোট সবাই 'কিশোর'!!!
সাহিত্যিক শরীফ মুহাম্মাদ তো বলেই ফেলেছেন,
"এই নতুন কিশোর কাগজটি আমাদেরকে বাচ্চা বানিয়ে দিয়েছে! একব্যাগ অপেক্ষা নিয়ে আমরা রাস্তা দাড়িয়ে আছি।"
কিশোরস্বপ্নের কারিগরে যিনি রয়েছেন,তিনি আর কেউ নন,আমাদের-ই অনেকের শ্রদ্ধাভাজন,কারো আস্থাভাজন,বড়দের প্রিয়ভাজন, শিশু-কিশোরদের প্রিয় লেখক, সাহিত্যিক ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী!
যিনি অনেক বইয়ের সফল অনুবাদক।দক্ষ লেখক।অভিজ্ঞ সাহিত্যিক।
- তাঁর মমতাময় হাতের নিপুন ছোঁয়ায় আমাদের মাঝে স্বপনের আলো ছড়ায় 'কিশোরস্বপ্ন'!
- কিশোরস্বপ্নের প্রথম সংখ্যাটি এসেছিল ডিসেম্বরে। বিজয়ের মাসে।বিজয়ের বার্তা নিয়ে।
-কিশোরস্বপ্ন! ঝকঝকে প্রচ্ছদ,তকতকে পাতা,নরম নরম মসৃণ লেখা,চোখধাঁধানো প্রচ্ছদ শিশু-বুড়ো সবার মন কেড়ে নেবে,হৃদয় স্পর্শ করবে 'কিশোরস্বপ্ন'।
কিশোরস্বপ্নের জানুয়ারী সংখ্যার সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত,
শুরুতেই মনকাড়া প্রচ্ছদ।
কয়েক পাতা পরে 'সম্পাদকীয়'।
যা অন্তরের গভীর মমতা আর বেদনার কালি দিয়ে লেখা।যেখানে পনের সালের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বিষাদের কথা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে লেখা।
পড়ে দেখতে পারেন,অনেক ভালো লাগবে!!!
-কথাসাহিত্যিক যাইনুল আবেদিনের "সোনার হরফে লেখা" ইতিহাসের গল্পটি পড়লে নববি ভালোভাসার ঢেউ আপনার চোখে-মুখে ঝাপটা দিবে।সবুজ গম্বুজের ছায়া আপনাকে উদ্বেলিত করবে।
-সাহিত্যিক,সম্পাদক শরিফ মুহাম্মাদের "এখনো পরান পুড়ে" শিরোনামের স্মৃতিচারণ মূলক লেখা পড়লে,নিজেকে আবিষ্কার করবেন, আপনার চোখের পাতা ভেজা ভেজা।হারিয়ে যাবেন আপনার কৈশরের দূরন্তময় জীবনে।যে জীবনের দুঃখও আনন্দ!!!
প্রতিটি শব্দ যেন মায়া-মমতায় ভরা!
মাতৃভালোবাসায় কাতর।
-'সেই ছোট মুহাম্মাদ' নামের ঐতিহাসিক গল্পটি পড়লে আপনি কল্পনার জগতে হারিয়ে যাবেন।ভাববেন কেমন ছিল আমাদের হারিয়ে যাওয়া 'আন্দালুস'!
-নাঈমুল হকের "স্বপ্নের কিশোর" পড়লে আপনার অন্তরে জেগে উঠবে 'বীরত্বের' স্পৃহা!
-ইয়াহইয়া ইউসুফের অনবদ্য ঝরঝরে অনুবাদ "শোন হে আরব ব-দ্বীপ!" পড়লে হারিয়ে যাবেন আপনি ইতিহাসের গভীর বনে!!!
-যোবায়ের হোসাইনের "নীল নদ..." নিয়ে টুকরো লেখা পড়লে আপনারো ইচ্ছে করবে মিসরের নীল-নদের নীল পানিতে সাঁতার কাটতে!
অবশ্যই আগে সাঁতার শিখে নিতে হবে কিন্তু!!!
-এছাড়া আরো অনেক লেখকের লিখিত গল্প,ছড়া-কবিতা,অনুবাদ ইত্যাদি সুবাস ছড়াচ্ছে 'কিশোরস্বপ্নে'র পাতায় পাতায়।
সময়ের স্বল্পতায় বিস্তারিত লেখা গেল না।
-দো'আ করি,
কিশোরস্বপ্ন যেন আমাদের মাঝে অ নে ক দিন বেঁচে থাকে।অন্তত বুড়ো হয়ে মরা আগ পর্যন্ত।।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭