somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এবং সর্বশক্তিমান-সর্বজ্ঞানীর জগৎ-পর্ব ৪

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে উল্লেখ করেছেন “এই যে জড়িয়ি পেচিয়ে থাকা আতিক্ষুদ্র বাড়তি মাত্রাগুলো এদের সম্পর্কে এম তত্ত্ব কি বলছে? এ তত্ত্ব মতে এসব বাড়তি মাত্রা চাইলেই ইচ্ছামতো বেঁকে পেচিয়ে থাকতে পারে না। বরং এ তত্ত্বে অর্ন্তবতী জগতের এসব মাত্রাসমূহের প্যাচ নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু গানিতিক সুত্র মেনে। অর্ন্তবতী জগতের আকার আকৃতিই বিভিন্ন ভৌত ধ্রুবক, যেমন ইলেক্ট্রনের চার্জ ও মৌলিক কনিকাসমূহের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদির মান নিয়ন্ত্রন করে। এখানে ‘প্রকাশ্য নিয়ম’ বলতে চারটি মৌলিক বল এবং প্রকৃতির অন্যান্য চলক যেমন কোনো মৌলিক কনিকার ভর, আধান ইত্যাদির নিয়মগুলো বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু আরো মৌলিকতর নিয়ম হচ্ছে এম তত্ত্বের নিজস্ব নিয়মগুলো, যাদের থেকে প্রকাশ্য নিয়মসমূহ উদ্ভব। এম তত্ত্বের নিয়ম সমূহ থেকে তাই বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ্য নিয়ম সম্বলিত বিভিন্ন মহাবিশ্বের উদ্ভব হওয়ার সুযোগ থাকে। স্রেফ প্রতিটার স্রেফ প্রতিটার নিজস্ব অর্ন্তবতী জগত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পেচিয়ে থাকে। এম তত্ত্বের এমন সব সমাধান আছে যেখানে অর্ন্তবতী জগতের প্যাচ বহু উপায়ে (আনুমানিক ১০ ‘৫০০) হতে পারে। অথাৎ এ তত্ত্ব মতে ১০ ‘৫০০ সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্ব সম্ভব যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নিয়মাবলী আছে।”

১০ ‘৫০০ সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্ব সম্ভব যাদের আলাদা নিয়মাবলী রয়েছে বলে ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এম তত্ত্বের দৃষ্টিকোন থেকে বলেছেন। কিন্তু এখন আমাদের প্রশ্ন আছে এই অসংখ্য মহাবিশ্ব আছে এটা আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে নতুন কথা হলেও আল কোরআনের ভাষায় ১৪০০ বছরের পুরানো কথা। আল কোরআনে উল্লেখ আছে “ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়াছেন সপ্ত আকাশ এবং অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের মধ্যে নামিয়া আসে তাহার নির্দেশ: যাহাতে তোমরা বুঝিতে পারো যে আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করিয়া আছেন” (৬৫:১২) । “সপ্ত আকাশ এবং অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী” বলতে (আকাশ ও পৃথিবী মিলেই একটি মহাবিশ্ব) সাতটি মহাবিশ্ব (যদিও আরবী সাহিত্যে সাত বলতে বহু বোঝানো হয়) যা বহু বিশ্বের ধারনা দেয়। এ সকল আয়াত থেকে আমরা নি:সন্দেহে উপলদ্ধি করছি আলকোরআন আমাদের নিশ্চিত ভাবেই বহু মহাবিশ্বের ধারনা দিচ্ছে শুধু তাই নয় এবং সেখানেও আল্লাহর নির্দেশ নির্দেশিত হয় বলতে তারও একটি বিধান বা বিধি বা সুত্র আছে সেই মহাবিশ্ব সেই সুত্র অনুসারে চলে। বিধি বিধান বা সুত্র তার বা তিনি নির্ধারন করেছেন সেটাও তিনি বলছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিটি মহাবিশ্বের জন্য কি আপনা আপনি নিয়ম সৃষ্টি হচ্ছে নাকি কোন সত্ত্বাকে এই সকল নিয়ম নির্ধারন করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের যেতে হবে সেলুলার অটোমেশন এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়ে।

১৯৪৭ সালের দিকে জন ভন নিউম্যান (১৯৩০-১৯৫৭) এমন এক ধরনের যন্ত্রের কথা চিন্তা করলেন যা নিজেই নিজের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারবেন। এরকম একটি যন্ত্রকে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে একটি কক্ষে ছেড়ে দিলে নিজের মতো আরেকটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। তখন ঐ দুটি যন্ত্র পৃথকভাবে আরো চারটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। আর এভাবেই বাড়তে থাকবে। এধরনের যন্ত্রকে এখন ভন নিউম্যান মেশিন বলা হয়। ভন নিউম্যানের সেই নিজ প্রতিলিপি নির্মানকারী যন্ত্রেও সেলুলার মডেলই ছিলো সেলুলার অটোমেটা বা কোষীয় স্বয়ংচল যন্ত্র বা সি.এ। একটা একমাত্রিক কোষীয় স্থান বা সেলুলার স্পেস হচ্ছে এক রেখায় সারিবদ্ধ কোষ। একটি দ্বিমাত্রিক সিএ ধারাবাহিক পরিবর্তনে ত্রিমাত্রিক আকৃতি সৃষ্টি করে। এই দ্বিমাত্রিক সিএ এর ত্রিমাত্রিক রুপায়ন মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সিএ গুলো যেমন সরল কিছু নিয়ম দ্বারা পরিচালিত আমাদের মহাবিশ্বটাও ঠিক এমন। আমাদের মহাবিশ্বটা এরুপ হাইপার ডাইমেনশনাল সেলুলার স্পেসে অবস্থিত কিনা তা বোঝা যায় “জীবনের গেম” নামক সি এর কোষগুলোর পরিবর্তন এবং বিভাজনের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনে একটি কলাম প্রকাশিত হয়। সেই কলামে জন কনওয়ে দ্বিমাত্রিক সিএ এর নামকরন করেন “গেম অফ লাইফ” বা জীবনের খেলা। গেম অফ লাইফের বিভিন্ন নিয়মসমূহের অসংখ্য সেটের সাথে মহাবিশ্বের সাদৃশ্যময়তা রয়েছে। যেমন গেম অফ লাইফের এক সেট সরলতম বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে। গেম অফ লাইফ বা জীবনের খেলার আপনাকে নির্ধারন করে দিতে হচ্ছে আপনি কোন সেটটি চাইছেন। আপনি যে সেটটি চাইছেন গেম অফ লাইফে ঠিক সেই সেটটি আপনার সামনে প্রকাশ ঘটবে। গেম অফ লাইফ যদি আপনার দেওয়া নির্ধারিত সেটটিই প্রকাশ ঘটায় তাহলে অসংখ্য মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বা সুত্র অথবা মহাবিশ্বটা কেমন হবে তা নির্ধারনের দায়িত্ব পালন করলো কে? আর আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল, বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) এই আয়াতে বিধান বা বিধি বা সুত্র তার এবং তিনিই এটা নির্ধারন করেছেন বলা হচ্ছে। আল্লাই যে এ সুত্র নির্ধারনের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য ব্যাক্ষা তা একটু বিবেক খাটালেই বোঝা যায়। একবার গভীওে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন কে এই নিয়ম বা বিধান কে নাযিল করলো? এই মহাবিশ্ব কি করে এত সুন্দর নিয়মের অধীন হয়ে এবং ফাইন টিউনিং এর সামঞ্জস্যতা রেখে এই প্রানী জগতের বিকাশে ভূমীকা রাখতে পারলো! নি:সন্দেহে অতি জাগতিক এটি শক্তির হস্তক্ষেপ এখানে বিদ্যমান। এই প্রশ্নের উত্তরে স্বয়ং ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে বলছেন “ কনওয়ের জীবনের খেলা থেকে দেখা যাচ্ছে যে একেবারে সরলতম এক সেট জটিল সব বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে যেটা বুদ্ধিমান জীবনের সমতুল্য। নিশ্চয় এধরনের বৈশিষ্ট সমৃদ্ধ এমন অনেক সেট নিয়ম সম্ভব। প্রশ্ন আসে আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কিভাবে নির্ধারিত হলো? কনওয়ের মহাবিশ্বের মতো আমাদের মহাবিশ্বের বিবর্তনও একটা নির্দীষ্ট অবস্থা থেকে এসব নিয়ম মেনেই ঘটে। কনওয়ের জগতে আমরাই হচ্ছি সৃষ্টিকর্তা। যারা ঐ মহাবিশ্বের আদি অবস্থায় ব্স্তুমূহের অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ধারন করে দিচ্ছি।” ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর যখন কনওয়ের জীবনের খেলা সৃষ্টিকর্তা হতে পারলে অবশ্যই এই মহাবিশ্বের খেলায় একটি সত্ত্বা বিরাজিত রয়েছেন একটি চেতনা জাগ্রত রয়েছেন যিনি সকল মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারন করে দেন।

আধুনিক পর্দাথবিজ্ঞানীগণ বিশেষ করে স্ফিতিতত্ত্ব নিয়ে যারা গবেষনা কবছেন তারা ইদানিং বুঝতে পারছেন বিগব্যাংগ মহাবিশ্বের মূল কারন নয়। বিগব্যাংগের পূর্বে কিছু একটা ঘটেছিলো! ইদানিং ষ্ট্রিং তাত্ত্বিকেরা এম তত্ত্বেও মেলবন্ধনে গানিতিক ভাবে দেখিয়েছেন ইনফ্লেশন যখন শুরু হয় তখন অসংখ্য ভ্যাকুয়া ষ্টেট এর উদ্ভব ঘটতে পারে এবং সেই অসংখ্য ভ্যাকুয়া ষ্টেট অসংখ্য বিগব্যাংগ এর জন্ম দিতে পারে। কোয়ান্টাম দোদুল্যময়তার কারনে অসংখ্য ভ্যাকুয়াম স্তরের উদ্ভব ঘটে। সেই ভ্যাকুয়াম স্তরের ফ্লাকচুয়েশনের কারনে অসংখ্য মহাবিশ্বের উদ্ভব। তিনি কম্পিউটার থ্রিডি’ও মাধ্যামে দেখিয়েছেন কিভাবে বুদবুদসম মহাবিশ্বগুলো একের সাথে অন্যের সম্পৃক্ত থাকে। পদার্থবিজ্ঞানী আনেদ্র লিন্ডে তার গবেষনায় দেখিয়েছেন কেওট্রিক ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য সম্প্রসারিত বুদবুদ আবার প্রতিটি সম্প্রসারিত বুদবুদ উতপত্তি ঘটাই অসংখ্য বিগব্যাং এবং প্রতিটি বিগব্য্গাং থেকে উৎপত্তি হয়েছে অসংখ্য মহাবিশ্ব। এবং এমনই একটি পকেট মহাবিশ্বে আমরা বসবাস করছি। অথচ আমরা বুঝতে পারছি না আমাদের মতো অসংখ্য মহাবিশ্বের অস্তিত্বের। আমাদের কাছে অজ্ঞাত থাকার কারন আমরা তাদের সীমারেখার বাইরে অবস্থান করছে। বিশাল এক অমনির্ভাস এর একটি অঙ্গ হিসেবে আমরা শুধুমাত্র আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্বটিই কেবল বুঝতে পারছি।


(পদার্থবিজ্ঞানী আনেদ্র লিন্ডে তার গবেষনায় দেখিয়েছেন কিভাবে ক্লেওটিক ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত অসংখ্য বুদবুদের উদ্ভব ঘটে, সেই সম্প্রসারিত বুদবুদ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বিগব্যাংগ আর সেই অসংখ্য বিগব্যাাংগ জন্ম দিয়েছে অসংখ্য মহাবিশ্বের।)
পাঠক চিত্রটির দিকে তাকিয়ে দেখুন একটি প্যাটানের উপর মহাবিশ্বগুলো সাজানো। এই মহাবিশ্বগুলোর প্যাটার্ন এমন না হয়ে অন্যরকম হতে পারতো? কিন্তু এমন হলো কেনো? (যদিও আন্দ্রে লিন্ডের ক্লেওটিক ইনফ্লেশনই আনুমানিক একটি বিষয় মাত্র। তবে যথেষ্ট গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে বিজ্ঞানমহলে) মহাবিশ্বগুলো সাজানোর উপর আমাদের মহাবিশ্বের ঘটনার গতিময়তা অথবা মহাবিশ্বের ঘটমান কালের পর্যাপ্ততা কিছুমাত্র ডিপেন্ড করে নাতো?

লক্ষ্য করুন আমি প্রবন্ধটির শুরুতেই স্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর গ্রান্ড ডিজাইন বইয়ের কতিপয় অংশ তুলে ধরেছিলাম-“ অর্ন্ত বতী জগতের বক্তব্য দিয়ে। প্রিয় পাঠক অর্ন্ত বতী জগত ৭ মাত্রার একটি জগত যা আমাদের ৩ মাত্রার মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রিত করে। অর্ন্তবতী জগতের এসব মাত্রাসমূহের প্যাচ নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু গানিতিক সুত্র মেনে। অর্ন্তবতী জগতের আকার আকৃতিই বিভিন্ন ভৌত ধ্রুবক, যেমন ইলেক্ট্রনের চার্জ ও মৌলিক কনিকাসমূহের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদির মান নিয়ন্ত্রন করে।” ষ্ট্রিং তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় এই অর্ন্তবতী জগৎ। ৭ মাত্রার অর্ন্তবতী জগতের পেচানো আকার আকৃতিই ত্রিমাতিক জগতের বিভিন্ন বিষয়বস্তু নির্ধারন করে’ এটি এম তত্ত্বে গানিতিক ভাবে দেখানো হয়েছে। এই তত্ত্ব আমাদের বলছে আমরা যদিও এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলোকে দেখাতে পাচ্ছি না বা কোন পরীক্ষার দ্বারা এদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেও পারছি না, কিন্তু আমাদের স্ট্রিং থিয়োরির গনিত বলছে যে তারা আছে। অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রাগুলো স্থানের খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে এমনভাবে আছে যে তাই আমরা তাদেরকে দেখতে পারছিনা। আমাদের মহাবিশ্বকে আমরা ঠিক ত্রিমাত্রিক অবস্থায় দেখি এবং বাকী ৭ মাত্রা খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে অর্ন্তবর্তী জগৎ হয়ে আছে। মহাবিশ্বগুলো কেমন হবে, তা নির্ভর করে স্ট্রিং তত্ত্বের অতিরিক্ত মাত্রাগুলো কিভাবে পেঁচিয়ে আছে তার উপর। আমরা আগেই জেনেছি স্ট্রিং তত্ত্বের অতিরিক্ত মাত্রাগুলো চাইলেই ইচ্ছেমত জড়িয়ে পেঁচিয়ে থাকতে পারে না। এই প্যাঁচের আকৃতিই প্রকৃতির দৃশ্যমান নিয়ম গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে দৃশ্যমান নিয়ম বলতে, মৌলিক চারটি বল ও তাদের পরস্পরের সাথে মিথস্ক্রিয়ার ধরন, মৌলিক কণিকা যেমন, কোয়ার্ক বা নিউট্রিনোর ভর, আধান ইত্যাদির কথা বোঝানো হচ্ছে । এভাবে স্ট্রিং তত্ত্বের নিজস্ব নিয়মগুলো থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মত প্রাকৃতিক নিয়মযুক্ত, বিভিন্ন ধরনের মহাবিশ্ব উদ্ভব হতে পারে। শুধুমাত্র প্রতিটি মহাবিশ্বের অর্ন্তবতী জগতকে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে পেঁচিয়ে থাকতে হবে। অর্ন্তবতী জগৎ তার নিজস্ব স্টাইলে পেচিয়ে থাকার কারনে তার নিয়ম উদ্ভুত হয়। কিন্ত আমাদের এই মহাবিশ্বের অর্ন্তবর্তী জগতের প্যাচ কেনো এমন হলো? আমরা কি ভাবতে পারিনা এই পেচিয়ে থাাকার নিয়মটি কোন এক অদৃশ্য হাতের দ্বারা নির্ধারন করে দেওয়া বিষয় একটি বিষয়। যদি তা নাই হয় তাহলে এক একটি মহাবিশ্ব একেক রকম নিয়ম কেনো হয়? কে নির্ধারন করে এই নিয়ম? তবে কি স্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর মতো আমাদের বলতে হয়- ‘প্রশ্ন আসে আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কিভাবে নির্ধারিত হলো?’ যদি কনওয়ের গেম অফ লাইফ খেলাতে সৃষ্টিকর্তা হতে পারেন তিনি যিনি গেমটি খেলেন। আর এই মহাবিশ্বের খেলায় এই মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারনে নিশ্চয় একটি সত্ত্বা বিরাজিত রয়েছেন একটি চেতনা জাগ্রত রয়েছেন যিনি সকল মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারন করে দেন অদৃশ্যের আড়াল থেকেই।

“তিনিই সপ্ত আকাশকে সুসমঞ্জস ভাবে বিন্যস্ত করে সৃষ্টি করেছেন! মমতাবানের সৃজন ক্রিয়ায় তুমি লেশমাত্র ত্রুটি খুঁজে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখ! কোনো ত্রুটির সন্ধান পাচ্ছ কি? বারবার তাকিয়ে দেখ! প্রতিবার তোমার দৃষ্টি তোমার উপরই নিপতিত হবে—হতবিহ্বল হয়ে, পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত হয়ে।” ৬৭:৩-৪

পর্ব- 3

পর্ব-2

পর্ব-1
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×