somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল কোরআনের আসমান নিয়ে ভ্রা্ন্ত ধারণা রোধ করুন। নাস্তিক ব্যাটার শাস্তি চাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সু প্রিয় পাঠক আজকে আমি ইউটিউবের আরেক নাস্তিক আলেকজেন্ডার সোলালিন নামের (ছদ্মনামধারী কেউ) এর আরেকটি উপহাসের জবাব দিতে প্রস্তুত হয়েছি। এই ব্যাটা নাস্তিক বলছে আল কোরআনের একটি আয়াতেই নাকি প্রমান হয়ে যায়। আল্রা নাই। আল্লা ভুয়া। আর ধর্ম নাকি ক্যান্সার। এ সকল নাস্তিকের ছোট মানুষি আচরন আমাকে ইদানিং খুব মর্মাহত করছে। আপনাদের সুবিধার্থে আমি লিংক টি দিলাম। Click This Link আমি এ জাতীয় নোংরামীর বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ সহ সরকারের গুরুত্বপূন আসনে আসীন ব্যাক্তিদের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো এ জাতীয় নোংরা ধর্ম বিরোধী লাইভ বন্ধ করে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে ধর্মের প্রতি ঘৃনাবোধ সৃষ্টিতে উৎসাহিত না দিয়ে এগুলো প্রতিরোধ করা উচিত। ধর্ম হারিয়ে যাওয়া মানে সমাজ থেকে নীতিবোধ হারিয়ে যাবে। সমাজে অশান্তি অনাচার অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়া।

এই সকল লাইভগুলো আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। ব্যবসা বানিজ্যে মনোযোগ কমে যাচ্ছে। ধমীয় গবেষনা আবার রত হয়ে পড়েছি। এদের এ সকল প্রশ্নের উত্তর খুজতে গবেষনা করে হচ্ছে। ব্যপক সময় নষ্ট হচ্ছে। রাত জাগতে হচ্ছে। ঘুমের পরিমান কমে যাচ্ছে।এ সকল স্বল্প জ্ঞানী নাস্তিকদের জন্যই বোধ হয় ফ্রান্সিস বেকন বলেছিলেন-“ স্বল্প জ্ঞান মানুষকে নাস্তিকতার পথে ঠেলে দেয় আর বেশি জ্ঞান মানুষকে আস্তিক করে”।প্রিয় পাঠক এরা এতটাই হালকা চিন্তার অধিকারী যে এরা আল কোরআনের মতো বিশাল জ্ঞানের অধিকারী একটি কিতাবের বিরুদ্ধে কি করে অট্টহাস করে! বলে কি না একটি আয়াতেই বোঝা যায় আল কোরআন ভুয়া আল্রা ভূয়া। ছিঃ ছিঃ ছিঃ। আয়াতটি সম্পর্কে আমি বলি। আল কোরআন সুরা মূলক আয়াত সংখ্যা ৫ “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” ।আরবী এবং ইংরেজীতেও তুলে ধরলাম।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
And we have, (from of old), adorned the lowest heaven with Lamps, and We have made such (Lamps) (as) missiles to drive away the Evil Ones, and have prepared for them the Penalty of the Blazing Fire.

এখানে হাসির কি আছে! আমি বুঝলাম না। খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় একটি কথা বলা আছে। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য।আল কোরআন বুঝলে তো কোন সমস্যা থাকে না।যার অর্থ দাড়ায় “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরন প্রদীপমালা রেখেছে যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। এমনকি কোন উপকরণ নাই যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? মনুষ্যরুপী শয়তানদের কথা বা ভূলে যাচ্ছেন কোনো? এ গুলো কি পৃথিবীতে আঘাত হানে নাই? এমন বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ফলে ভুমিকম্প সুনামি বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা! আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আল কোরআনের রুপক অর্থ বোঝার ক্ষমতা যদি ওদের থাকতো তবে তো ওরা বুঝবে। এরকম আরেকটি আয়াত আমি তুলে ধরলাম। আমার লেখা পূববতী সংখ্যায় আরেক নাস্তিকের হাসির খোরাক সুরা হা মীম সিজদার একটি ১২ নং আয়াত “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন। আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত।এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। ১২ আয়াতে লক্ষ্য করুন একই কথা বলা হচ্ছে নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দেওয়া হয়েছে সুরক্ষিত করার জন্য। যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ। প্রিয় পাঠক আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! তাহলে হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন প্রিয় পাঠক আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়। আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)



আজ থেকে ৩১০০ বছল পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে ছিলো সদম ও গোমরাহ নগর। তারা উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতি এতটা ব্যাভিচার করতো না। লুত আঃ এই জাতিকে ক্ষ্যান্ত হতে বলে এবং আল্লার পথে আসতে বলে। এই সকল পাপ মুক্ত সুন্দর জীবন ব্যবস্থার কথা বলে। ক তারা সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। লুত (আ.)-এর জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করে দেন পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় এবং সেখানে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।



১৯৬৫ সালে ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানকারী একটি আমেরিকান দল ডেড সির পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক বিরাট কবরস্থান দেখতে পায়, যার মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি কবর আছে। এটা থেকে অনুমান করা হয়, কাছেই কোনো বড় শহর ছিল। কিন্তু আশপাশে এমন কোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ নেই, যার সন্নিকটে এত বড় কবরস্থান হতে পারে। তাই সন্দেহ প্রবল হয়, এটি যে শহরের কবরস্থান ছিল, তা সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে। সাগরের দক্ষিণে যে অঞ্চল রয়েছে, তার চারদিকেও ধ্বংসলীলা দেখা যায়। জমিনের মধ্যে গন্ধক, আলকাতরা, প্রাকৃতিক গ্যাস এত বেশি মজুদ দেখা যায় যে এটি দেখলে মনে হয়, কোনো এক সময় বিদ্যুৎ পতনে বা ভূমিকম্পে গলিত পদার্থ বিস্ফোরণে এখানে এক ‘জাহান্নাম’ তৈরি হয়েছিল।




প্রিয় পাঠক এবার আসি আমরা গ্রহানু কি? আল কোরআনের সেই প্রদীপমালা যা আল্লা আকাশে শয়তানদের শাস্তি দেওয়ার উপকরণ হিসেবে রেখে দিয়েছে। প্রিয় পাঠক, গ্রহানু হলো মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে রয়েছে অতিবিস্তৃত ফাঁকা জায়গা।আর এ ফাঁকা জায়গায় রয়েছে অসংখ্য মহাজাগতিক বস্তু যা গ্রহাণু নামে পরিচিত। (চিত্রে-1 নং এ দেখেন, ছোট ছোট টুকরা পাথরের বিশাল স্তুপ) মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী এগুলোর অবস্থান। এখন পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক গ্রহাণুর কক্ষপথ সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। আর অসংখ্য গ্রহাণুর সমাবেশকে গ্রহাণুপুঞ্জ বলে। বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মাঝে থাকা এই গ্রহাণুগুলো নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে নাসা ‘নিয়ার’ নামক একটি মহাকাশযান প্রেরণ করে। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি মহাকাশযানটি ‘ইরোস’ নামক একটি গ্রহাণুতে নামে। এবং এটিই ছিল গ্রহাণুতে কোনো মহাকাশযানের অবতরণ। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে ৪৬০ ফুট বা এর চেয়ে বড় দুই-তৃতীয়াংশ গ্রহাণু আবিষ্কার করা যায়নি। এসব গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসে আঘাত করলে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে। তাই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাসহ অন্যান্যরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু ঠেকানো। এ লক্ষ্যেই সম্প্রতি একটি মহড়ার আয়োজন করে নাসা। এতে বিজ্ঞানীদের সাড়ে তিন কোটি মাইল দূর থেকে একটি গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ঠেকাতে দেওয়া হয়েছিল। নাসার মহড়ায় গ্রহাণু ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক এমন ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। বিশাল এক গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হেনে মানব সভ্যতা নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আমাদের হাতে তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। যদি বড় কোন গ্রহানু পৃথিবীতে আঘাত হানে তাহলে তা ঠেকানোর কোনো উপায় বর্তমানে আমাদের হাতে নেই বলে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেন এবং এ সংক্রান্ত গবেসণা আরো বাড়িতে দিতে আহ্বান করেন।





প্রিয় পাঠক তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন শয়তানদের শাস্তি দেওয়ার কি উপকরণ আল্লা আকাশে রেখে দিয়েছেন। এ্যাস্টিরয়েড বেল্ট বা গ্রহানুপুঞ্জ সৃষ্টির কারন হলো সেই নির্ধারিত শাস্তি। কিন্তু অবাক হলাম ঐ ব্যাটা নাস্তিক কোথা থেকে হাদীস তুলে নিয়ে এসে কি সব বলছে। পাথরের আকাশ, লোহার আকাশ, পিতলের আকাশ। সত্যিই বুঝলাম না।আমরা যারা মুসলমান তারা জানি রাসুলের মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বৎসার পরে ইমাম বুখারী বা অন্যান্য ইমামেরা হাদীস সংগ্রহ করে। রাসুলের মৃত্যুর প্রায় ২/৩ জেনারেশন পরে হাদীস সংগ্রহ করা হয় তাই হাদীস গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। আর হাদীসের সহী বা সহী নয় এমন সংশয়ের কারনে জটিল বা গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে আমরা হাদীস কে নিয়ে আসি না। আধুনিক স্কলারদের মতে আল কোরআনের সাথে সংগতির্পূন নয় এমন হাদীস নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।তাহলে ঐ ব্যাটা ঐ সব হাদীস পাইলো কই আর পাইলে আলোচনাই বা করে কেনো? সহী কিনা বুঝলো না? আল কোরআনের সাথে কোন মিল নাই, যেহেতু আল কোরানে এ ধরনের আল কোরআনে স্পষ্ট বলছে “ আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন সাত (অসংখ্য) আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এই জন্য যে তোমরা যেন অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ ”। ( ৬৫:১২) অতএব প্রিয় পাঠক একটি পৃথিবীর জন্য একটি আকাশ। আরবী সাহিত্যে সাত শব্দ বহু শব্দে ব্যবহার হয়। সাত মানুষ বলতে অসংখ্য মানুষ। সাত বই বলতে অসংখ্য বই আবার সাত আকাশ বলতে বহু আকাশ বোঝায়। যার অর্থ দাড়ায় বহু আকাশ ও বহু পৃথিবী । এমন হতে পারে আল্লাহ বহু মহাবিশ্ব তৈরী করেছেন। এবং প্রতিটি মহাবিশ্বে অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী।




“এম থিওরি” যেখানে বলা হয় যে আমরা যে মহাকাশ দেখতে পাই, এই মহাকাশের মত আরও অসংখ্য মহাকাশ রয়েছে যা একটি মহাজাগতিক পর্দায় (Cosmic Membrane) ভেসে বেড়াচ্ছে। আরও কিছু হাইপোথিসিস বলে এই মেমব্রেনগুলো নিয়ে ক্লাস্টার রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত বিগ ব্যাং হয়ে চলেছে, যেখানে মহাবিশ্ব তৈরিও হচ্ছে আবার ধ্বংসও হচ্ছে। এটা আসলে খুবই জটিল একটা থিওরি। হতে পারে আল্লাহ্ সাত আসমান বলতে মহাকাশের বাইরে আরও অসংখ্য স্তরকে বুঝিয়েছেন, যার বিস্তৃতি আমরা কল্পনাও করতে পারব না। আবার হতে পারে প্যরালাল ইউনিভার্স এর থেকে নির্দিষ্ট সাতটি। অথবা এমন হতে পারে এই সব প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়েই প্রথম আকাশ। এ বিষয়ে বিজ্ঞান এখনও কিছুই সঠিকভাবে আবিস্কার করতে পারেনি। আর মহাকাশের বাইরের জগত আবিস্কার করা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। কারন মহাজাগতিক সম্প্রসারনের ফলে সব কিছুই এত দ্রুত দূরে সরে যাচ্ছে যে এর শেষ আমরা কোন টেলিস্কোপেও দেখতে পাই না। কিছু কিছু ছায়াপথ আমাদের টেলিস্কোপে ধরা দেওয়ার আগেই পর্যবেক্ষণ সীমার বাইরে চলে যায়। পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাকাশ কেবল ৩০০-৪০০ কোটি আলোকবর্ষ পর্যন্ত।এরপর কি আছে বর্তমান বিজ্ঞান অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। তাহলে আমি বুঝলাম না ব্যাটা নাস্তিকের টেলিস্কোপ এত কিচু একবারে দেখতে পাই?


চিত্র নং -1 । গ্রহানু পৃথিবীর বুকে আঘাতে ছবি।
চিত্র নং-2 । গ্রহানু বেল্ট েএর ছবি অর্সখ্য পাথরের ছবি যেগুলো সৌরজগতে ভাসছে।
চিত্র নং ৩। গ্রহানু গুলো ক্লোজ বড় আকারের ছবি।
চিত্র 4। মঙ্গল গ্রহের পাশে গ্রহানুর ছবি।
চিত্র ৫। লুত আঃ বা ডেড সী এলাকার আঘাতে কল্পিত ছবি।
চিত্র ৬। প্রাচীন সেই ধ্বংশশীল শহর আমুরাহ পথে ঘাটে এখনও গন্ধকের পাথর পাওয়া যায়।
চিত্র 7। প্রাচীন সেই শহরের র্ধ্ংশস্তুপ।
চিত্র ৮। ডেড সী যেখানে আজোবধি কেউ ডুবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
২৯টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×