somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলো রাষ্ট্র সংস্কার করি

১৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বেশ কিছুদিন যাবত জনৈক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষকের পত্র পত্রিকায় এবং বিভিন্ন আলোচনা সভায় গণসার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত আলোচনা করছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও আমি তার এই বিষয় নিয়ে গণসার্বভৌমত্ব নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি লিখবো লিখবো ভেবেও লেখা হয়ে উঠে নাই। গণসার্বভৌমত্ব বলতে আমারও কিছু নিজস্ব ধ্যান ধারনা রয়েছে। আসলে এই গনসার্বভৌমত্ব শব্দটি নিয়ে প্রথম বিশ্বে আালোচনা করেন জ্য র্জ্যাক রুশো। ফরাসি বিপ্লবের মহান নায়ক সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতার প্রবক্তা জ্যা জ্যাক রুশো রাষ্ট্র চিন্তার ইতিহাসে এক উজ্জল নক্ষত্র। অষ্টাদশ শতাব্দির এক গৌরবময় লগ্নে অথচ হতাশাজনক পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের চিন্তারাজ্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন ইউরোপের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিবাদী সমাজচেতনার পৃষ্ঠপোষক। রুশোর গণ-সার্বভৌমত্বের অর্থ টি অন্যরকম একটি দর্শন দাড় করায়। রুশোর মতে গণ-সার্বভৌমত্বের মূল কথা হল জনগণের কন্ঠস্বরই হল ঈশ্বরের কন্ঠস্বর। গণসার্বভৌমত্ব নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। গণ-সার্বভৌমত্ব এমন একটি ধারণা যেখানে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে। এর অর্থ হলো, জনগণই রাষ্ট্রের ক্ষমতার উৎস এবং তারা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। রুশো তাঁর "সামাজিক চুক্তি" (The Social Contract) গ্রন্থে এই ধারণা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। গণসার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপক্ষে অনেকের মতামত রয়েচে। আর্ন্তুজাতিক ভাবেও গণসার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অনেকে লিখেছেন। গণসার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রিয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধাচারী হয়ে উঠে বলে অনেক লেখক অভিমত প্রকাশ করেছেন। টমাস হব্স সামাজিক চুক্তি তত্ত্বের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তিনি রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে ব্যক্তির অধিকারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। জন অস্টিন ছিলেন আইন বিশ্লেষণের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, যিনি সার্বভৌমত্বকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা হিসেবে চিহ্নিত করে।
তবে আমাদের দেশের জন্য এই গণ-সার্বভৌমত্ব বিষয়টি কতটুকু মূল্যায়ন পায় বা আমরা কতটুকু মূল্যায়িত করতে পারি? কতটুকু প্রয়োজনীয়তা সেটিও একটি প্রশ্ন দাড় করায়। আমাদের দেশের রাষ্ট্রিয় কাঠামোতে গণ সার্বভৌমত্ব আমরা ১০০% গ্রহণ কি করতে পারি? কিংবা গণসার্বভৌমত্বকে বেশি মুল্যায়িত করে রাস্ট্রিয় কাঠামো কি সার্বভৌমত্ব নিয়ে কি টিকে থাকতে পারে? কারন ১০০% সার্বভৌমত্ব বেশিরভাগ সময় গণভোটের আয়োজনে বাধ্য করে। তাতে সকল ক্ষেত্রে গনমানুষের সিদ্ধান্ত জনপ্রতিনিধির কতৃত্বকে খাটো করে। রাস্ট্রের নিজস্ব সার্বভৌমত্ব লংঘিত বা অবমূল্যায়িত হতে পারে। সংখ্যালঘু বিষয়টি অবমুল্যায়িত হতে পারে যেমন ধরুন ৯০% মুসলিম ১০% হিন্দু এর দেশে গনভোট ৯০% মুসলিমের পক্ষে থাকয় অবশ্যই লংখ্যালঘু বিষয়টি অবমূল্যায়িত হবে। শুধু হিন্দু মুসলিম নয় সকল ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু নিস্পেষিত হবে। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রিয় সার্বভৌমত্ব গুরুত্বপূর্ন ভুমীকা রাখে। তাই রাষ্ট্রিয় সাবভৌমত্ব ও গণসার্বভৌমত্ব ব্যালেন্স করে চলা উচিত বলে রাষ্ট্রচিন্তাবিদগন অভিমত দিয়েছেন। অনেক লেখকের অভিমত গণসার্বভৌমত্ব অনেক ক্ষেত্রে গনমানুষ দ্বারা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর হতে পারে। গণসার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব দুটি ভিন্ন ধারণা,যা রাষ্ট্রের ক্ষমতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের সাথে সম্পর্কিত। গণ সার্বভৌমত্ব বলতে বোঝায় জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা, যেখানে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতার উৎস জনগণ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব বলতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়, যা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে অন্য কোনো শক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত। সুতরাং গণ সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের প্রধান্য দিলে সেটি বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কারন ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় রাশিয়ার তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক সময়ে শ্রমিকদের প্রধান্য দেয়ায় দেশে পুজিপতিদের অধঃপতন ফলে সমাজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমাজ থেকে উচ্ছেদ হলা। তাই আমার মতে আমাদের মতো ক্ষুদ্র দেশে গণসার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ব্যালেন্স করেই নতুন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু করতে পারলে অবশ্যই ভালো। কিন্তু সেটি দেশের গন মানুষের সমর্থনের পেক্ষিতেই সম্ভব্।

তিনি পত্র-পত্রিকায় এবং আলোচনা সভাগেুলোতে বলেন-জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে পূর্ণ রূপ দিয়ে গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে। কারন গণ আর দল এক কথা নয়। গণ-সার্বভৌমত্ব মানে রাজনৈতিক দলের সার্বভৌম ক্ষমতা নয়। এই ধারণা আমাদের সমাজে রয়েছে বলেই আমরা এমন এক সংবিধান বানিয়ে রেখেছি, যেখানে সাংবিধানিকভাবে একজন ফ্যাসিস্টের হাতেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র কায়েমের অধিক আমাদের কিছু দিতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থান সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধেও পরিচালিত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলের কোনো নেতৃত্ব ছিল না। ছিলো গণ মানুষের নেতৃত্ব। পুরনো সংবিধান সংরক্ষণ ও হেফাজতের শপথ নিয়েও তাঁরা সংবিধান সংস্কার করতে চাচ্ছেন। এটা স্ববিরোধিতা। এর আইনি কোনো ভিত্তি নাই। অবৈধ ভিত্তির ওপর একটা সরকার চলতে পারে না। সরকারকে পরিষ্কার ঘোষণা দিতে যে,আমরা জনগণের অভ্যুত্থানের দ্বারা নির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার। তাহলে গন অভ্ভুত্থানের বিপ্লবী সরকার গঠন না করে কেনো পূর্বের সংবিধান বহাল রেখে সরকার গঠিত হলো ?

তার বক্তব্য গঠনমূলক ছিলো কিন্তু আমার দ্বীমত হলো গণঅদ্ভুত্থানের পর দেশের যে অবস্থা বিদ্যমান ছিলো তাতে কি বিপ্লবী সরকার গঠন করা কি আদৌ সম্ভবপর ছিলো? যদি বিপ্লবী সরকার গঠন হতো তাহলে বাংলাদেশের বৃহৎ দলগুলো দ্বারা প্রতিবিপ্লব সংগঠিত হতো এবং বিপ্লবীরা লাঞ্চিত হতেন। কারন গণঅদ্ভ।ুত্থানে বৃহৎগুলোরও অংশগ্রহন ইনডাইরেক্টলি ছিলো। সুতরাং কোনভাবেই ঐ মুহুত্বে বিপ্লবী সরকার গঠন কোনভাবেই সম্ভবপর ছিলো না। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লবের ভয় দ্বারা একটি ভয়াবহ পরিবেশ বিপ্লবী সরকার গঠন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলো তৎকালীন বিপ্লবীগন বলেই আমি মনে করি। তাই পুরনো সংবিধান সংরক্ষণ ও হেফাজতের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়েছিলো। এবং বিপ্লবীদের এই সিদ্ধান্তে কোন ভূল ছিলো না। পরবর্তীতে বিপ্লবীগণ যে দল গঠন করেছিলো তারা তাদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংযোজিত করেছিলেন “সেকেন্ড রিপাবলিক” ধারনা। কিন্তু সেটিও বিপ্লবীরা প্রকাশ করতে পারে নাই। আগামীতে যে পারবে না সেটিও ঠিক নয়। রাষ্ট্র নিয়ে কোন তাত্ত্বিক আলোচনা বা নতুন কোন সাংবিধানিক দিক নির্দেশনা তারা দিতে পারে নাই। একটি কথা আমাদের ভাবতে হবে যে গণঅভ্ভুত্থানের সময় শুধুমাত্র ছাত্ররাই অংশগ্রহণ করে নাই বরং বৃহৎ দলগুলোর কর্মীবৃন্দও এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলো। সুতরাং দেশে অস্থিতীশীল অবস্থা যেনো সৃষ্টি না করে সেই দিকে দৃষ্টি দিয়েই তারা এই তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে সরে আসে (যদিও এটি আমার ধারনা)।

এখন প্রশ্ন হলো ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ কি? বিপ্লবীরা তাদের দলের পক্ষ থেকে যে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারনা আমাদের দিয়েছিলেন সেই সেকেন্ড রিপাবলিক কি? "সেকেন্ড রিপাবলিক" একটি জটিল রাজনৈতিক ধারণা যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি সেই সময়কে চিহ্নিত করে যখন একটি দেশ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা শাসন কাঠামো গ্রহণ করে, যা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। এই পরিবর্তনটি কোনো দেশে গণতান্ত্রিক শাসন, বিপ্লব, অথবা কোনো রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘটতে পারে। সেকেন্ড রিপাবলিক বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র সাধারণত একটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ব্যবহৃত একটি শব্দবন্ধ। সেকেন্ড রিপাবলিক বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের ধারণাটি বিভিন্ন দেশ ও সময়ে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ হয়েছে। ইতিপুর্বে ফ্রান্সে প্রথম সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনাটির উদ্ভব হয়। ১৭৯২ সালে যখন ফরাসি বিপ্লবের পর রাজতন্ত্র উৎখাত করা হয়।সেকেন্ড রিপাবলিকের সময়কাল খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল, তবে এটি ফ্রান্সের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। পরবর্তীতে সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনা ১৮১৩ সালে আরো উন্নত চিন্তা সহকারে ভেনিজুয়েলার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যখন সিমন বলিভার নেতৃত্বে স্পেনের উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু হয়।

সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনা আমরা ইরানের সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমেও জানতে পারি ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লব এবং তার পরবর্তী ঘটনাগুলির আলোকে। ইরানে শাহ মোহাম্মদ রেজা পহলভির রাজতন্ত্রের পতনের পর, আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি নেতৃত্বে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি অনেকেই "সেকেন্ড রিপাবলিক" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি নেতৃত্বে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি অনেকেই "সেকেন্ড রিপাবলিক" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

ইরানের সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনা একটি উন্নত ধারনা। আমাদের দেশের বা অণ্যান্য প্রধানমন্ত্রি শাষিত রাষ্ট্রব্যবস্থার মতো হলেও অনেকাংশে ভিন্ন। একটি আধ্যাতিক নেতা দ্বারা পরিচালিত। সেখানে সরকার ব্যাবস্থা দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রধানমন্ত্রী শাষিত রাষ্ট্রব্যবস্থার সরকারের মতো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যাক্তি হলেন রাষ্ট্রের আধ্যাতিক নেতা আর সরকার পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রির মতো ক্ষমতা সম্পন্ন গণতান্ত্রিক ভোট দ্বারা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দ্বারা। ইরানের সরকার ব্যবস্থাটি সত্যিই অদ্ভুদ ও চমকপ্রদ। আধ্যাতিক নেতার আন্ডারে থাকে পুলিশ বাহিনী সেনাবাহিনী যারা দেশের ধর্ম সংক্রান্ত আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যবহত। আবার প্রধানমন্ত্রির ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারের প্রেসিডন্টের আন্ডারেও সেনাবাহিনী রয়েছে। ইরানের সেকেন্ড রিপাবলিকের ধারণা মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দ্বারা ব্যবহার করা হয় ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লব এবং তার পরবর্তী ঘটনাগুলির আলোকে।

এবার আমরা আমাদের দেশের বিপ্লবীদের দলের পক্ষ থেকে যে সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনা দেওয়া হয়েছিলো সে বিষয়ে আলোকপাত করবো। জাতীয় নাগরিক পার্টি দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা সেকেন্ড রিপাবলিক ধারনাটি আমাদের দিয়েছিলেন। তা তারা আর প্রকাশ্যে আলোচনা করেন নাই বা এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেন নাই। তাই আমরা বলতে পারি না সেকেন্ড রিপাবলিক সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কর্মকান্ড কোন পথে এগুচ্ছে! অথবা তাদের উদ্ভাবিত নতুন বন্দোবস্ত বা সংবিধান সংস্কার বা গন মানুষের অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করতে তারা উদ্দেগী হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি হয়তো তাদের থমকে দিয়েছিলো।
আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন গণ-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে যদি আপনি ১০০% আপোষহীন থাকা যায় তাহলে রাষ্ট্রিয় কাঠোমো কি শক্তিশালী করা সম্ভব? রাষ্ট্রিয় সার্বভৌমত্ব কি উপক্ষিত হয় না। সুতরাং গণ-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন না হয়ে সুন্দর একটি রাষ্ট্রিয় ব্যাবস্থা গঠন করা দরকার যা গনমানুষের কল্যান ও রাষ্ট্রের উভয়ের কল্যানের মাধ্যমে নতুন বন্দোবস্থ গড়ে তুলতে পারলেই দেশ জাতি সার্থক হবে।

(যারা না বুঝে গণ সার্বভৌমত্ব নিয়ে বেশি বডর বডর করে তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই লেখা। কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দ্বারা বিপ্লবী সরকার গঠনের ফাদে পা না দেওয়াই বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হোক। ভারত বিমাতা দেশে অস্থিতিশীলতােই চাই। পরবর্তীতে আল্লাহ আমাদের সহায় হবে। ইনশাল্লাহ। )
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×