ইসমাঈল সিরাজী : কয়েক মাস যাবৎ জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলেও হঠাৎ করে রাজপথে নেমেছে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। সরকারের জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে,সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা পুনস্থাপন, যুদ্ধাপরাধী বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে জামায়াতের আটককৃত শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে হার্ডলাইনে জামায়াত ও শিবির।
১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী জামায়াতের গণতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দলটিকে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন না করলে নিবন্ধন বাতিল করা হবে নির্বাচন কমিশন থেকে এমন বক্তব্যর পর জামায়াতের অস্তিত্ব নিয়ে টানাপোড়ন চলছে।
জামায়াতের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমান জালিম সরকার বাংলাদেশ থেকে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
এমতাবস্থায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা অনেক ধৈর্য্ ধারণ করেছে। কিন্তু এখন দলটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে যখন টানাহেচড়া চলছে, তখন তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে বলে দাবি করেছেন অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।
সম্প্রতি পল্টন-মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা দেয়ায় পুলিশ ও জামায়াত-শিবির নেতাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। শুধু রাজধানী ঢাকায় তাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি সারা বাংলাদেশে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সূত্র জানায়, সরকারের এ ৪৬ মাসে জামায়াত শিবিরের ১৮ হাজার নেতাদের গ্রেফতার করেছে, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছেন ১ হাজার ৬’শ । ১০ জন জামায়াত নেতাকে খুন করেছে। সারা দেশে জামায়াতকে কোনো মিছিল বা সমাবেশসহ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার পুলিশকে দিয়ে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারি কায়দায় দেশ শাসন করছে।
জামায়াতের একটি সূত্র টাইমস ওয়ার্ল্ডকে জানায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। অতীতে এবং বর্তমানে জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে। তারপরও কেন সরকার জামায়াতকে কোনো ধরণের সভা-সমাবেশ, মিটিংমিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কার্যালয় এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ১৮ মাস যাবৎ অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ রেখেছে সরকারের পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে বিএনপি ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা বললেও এখন পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেনি
বিএনপির নেতারা।
অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড জামায়াতের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি দিতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা দলের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
সূত্র; টাইমস ওয়ার্ল্ড

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




