আজ থেকে দু’সপ্তাহ আগে ব্লগে আমার প্রথম বছর পূর্ণ হল। ভেবেছিলাম, যেদিন আমার প্রথম বছর পূর্তি হবে সেদিন একটা পোস্ট করবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। খুব ব্যস্ততম সময় কাটিয়েছি কয়েকদিন। গতকাল রাতে ব্লগে ঢুকে দেখি আমার ব্লগের বয়স এক বছর দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। লেখাটার দিকে চোখ পড়লে বুকের ভেতর কেমন যেন একটা অনুভূতি হল। ঠিক ভাল করে বুঝতে পারলাম না। আচ্ছা এই এক বছর দু’সপ্তাহে সামু আমাকে কী দিল? আমি কী দিলাম? পৃথিবী কী পেল আমার থেকে? আচ্ছা আমি কি একটুও পরিবর্তন হয়েছি?
আমার নিজেকে আমি কখন-ই বুঝতে পারিনি। মন খারাপ এর কারণটাও কখনও বলতে পারি না। এই রোগ আমার অনেক পুরোনো। আজ থেকে প্রায় বছরখানেক আগের কথা। একটা পত্রিকায় কাজ শুরু করেছি মাত্র। বাইরের দুনিয়া তখনও অতোটা জানি না। লেখক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার প্রবল চেষ্টা। স্টুডেন্ট লাইফে আমার বন্ধুরা বলতো, অন্য পেশা গ্রহণ করে পাশাপাশি লেখালেখি করতে। কিন্তু আমি চাইতাম লেখালেখিটা পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে। আজ তাই হয়েছে।
পত্রিকায় কাজ করা কারণে আমি ব্লগে খুব কম লিখেছি। সারাদিন পত্রিকায় কাজ করার পর ব্লগে পোস্ট করার জন্য আলাদা একটা লেখা তৈরি করতে বেশ কষ্ট হয়। তারপরও সামান্য কিছু লেখা দিয়েছি। যে কয়টা লেখা দিয়েছি তার বড় অংশ গল্প।
সত্যি কথা বলতে ব্লগটি (সামু) আমার প্রাণ ছিল। ব্লগে যখন ঢুকি খুব ভাল লাগে। প্রথমদিকে তো সারাদিন ব্লগে পড়ে থাকতাম। খুব পড়তাম। ব্লগটি আমার গর্ব। কিছু দিন লেখার পর হঠাৎ একদিন ব্লগে আর ঢুকতে পারি না। তখন পত্রিকার একটি সংবাদ চোখে পড়ল, ‘বন্ধ করে দেয়া হল তরুণদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ সাইট’। শিরনাম কিছুটা এমন ছিল। ডয়চে ভেলেও অনেক বড় প্রতিবেদন করেছিল। অন্যান্য বড় ছোট সমস্ত পত্রিকা নিউজ করল। আমি হতাশ হলাম।সবচেয়ে খারাপ লেগেছিল এটা জেনে যে, ব্লগটিকে পর্ণ সাইটের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
কষ্টটা তখন শেয়ার করার মত কোনো মানুষ ছিল না। নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলাম। এরকিছু দিন পর শায়মা আপুর সঙ্গে কথা হল। তিনি বললেন, ভিপিএন দিয়ে সামুতে আসা যাবে। তখন থেকে আবার সামুতে আসতে শুরু করেছি। রাতে কাজ শেষে যখন সামুতে ঢুকি খুব ভাল লাগে। সারাদিনের ক্লান্তিগুলো যেন ঝড়ে পড়ে।