বর্তমান সময়ে জামায়াত যে ধরণের রাজনীতি করছে, সেটিকে অনেকেই “ধরি মাছ না ছুঁই পানি” ধরনের অবস্থান বলে মনে করছেন। অর্থাৎ, তারা এমন এক রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছে যেখানে তারা সরাসরি কোনো পক্ষের বিরোধিতা করছে না, আবার পুরোপুরি কোনো পক্ষের সাথেও নিজেদের সম্পৃক্ত করছে না। এই অবস্থান অনেকটা “সব দিকেই সম্পর্ক ভালো রাখা, কিন্তু কারও সঙ্গে পুরোপুরি একাত্ম না হওয়া” ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতার কৌশল।
জামায়াত একদিকে চায় ইসলামপন্থী ও ধর্মভিত্তিক ভোটব্যাংক ধরে রাখতে, যাতে তাদের ঐতিহ্যগত সমর্থক শ্রেণি বিচ্ছিন্ন না হয়। অন্যদিকে, তারা চায় মূলধারার রাজনীতির সাথেও দূরত্ব কমাতে, যাতে ভবিষ্যতে ক্ষমতার সমীকরণে নিজেদের জায়গা তৈরি করা যায়। এই দ্বৈত অবস্থানের কারণেই তাদের রাজনীতি আজ অনেকের কাছে “অস্পষ্ট” বা “দ্ব্যর্থপূর্ণ” বলে মনে হয়।
তাদের বক্তব্য, অবস্থান এবং কর্মসূচিগুলো লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, জামায়াত এখন খুব হিসাব করে কথা বলছে যেন কেউ বেশি খুশিও না হয়, আবার কেউ বিরক্তও না হয়। তারা এখন সমালোচনা বা সংঘাতে না গিয়ে “সমঝোতামূলক রাজনীতি”র পথ ধরেছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় এমন দ্ব্যর্থতা বা ভারসাম্য বজায় রাখার রাজনীতি কি আদৌ দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে?
যে রাজনীতি নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারে না, তা শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থাও হারায়। তাই “সব দিকেই ভালো থাকা”র এই কৌশল হয়তো অস্থায়ীভাবে সুবিধা দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটা রাজনৈতিক পরিচয়কে অস্পষ্ট করে দিতে পারে যা কোনো দল বা আদর্শের জন্যই কাম্য নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




