মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই তার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না।
সে বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। আমরা এক সাথে পড়লেও একই স্কুল এবং কলেজে ছিলাম না।
শুধু ক্লাসের সময় পর আর আমরা আলাদা হতে পারতাম না।
রাস্থাদিয়ে হাটছি হঠাৎ ছোট্ট করে চিমটা দিয়ে বসত হাতে কিন্তু প্রচন্ড বিরক্তিবোধ হলেও একসাথে চলতাম।
গল্পের বাজে হঠাৎ প্রচন্ড তর্কে জড়িয়ে পড়তাম আর রাগ করতাম তার উপর।
কারণে অকারণে অনেকবার তুতুফেলতো আমার উপর সেই মুহুর্ত্বটিতে প্রচন্ড বিরক্ত আর বির্বতবোধ করতাম।
অনেক অনেক বিরক্তিকর মুহুর্ত্বগুলো আজ প্রিয় মুহুর্ত্বহয়ে দাড়িয়েছে।
এটাই জীবন আর এটাই বোধহয় প্রকৃত বন্ধুত্বের টান।
প্লানহীন ভাবে ঘুরেবেড়ানো তো আমাদের নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাড়িয়েছিলো।
যখন যেটির কথা মনে পড়ছে সাদ্যথাকলে ছুটে চলেছি সেদিকে।
বন্ধুটি যখন জীবনজীবিকার তাগিদে ছুটে গিয়েছিলো সেই দিন থেকে,
বন্ধু আর বন্ধুত্বের টান অনুভব করতে থাকলাম।
আজ অবধি হৃদয়ের ভীতরটায় সেই মুহুর্ত্বগুলোতে ফিরে যেতে মন চায়।
ব্যস্থতার ফাঁকে আবারও খুজে পেয়িছি বন্ধুত্ব ।
আর এই বন্ধু এবং বন্ধুত্ব শব্দ দুটির সাথে যে বন্ধুটি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো
ভীষণ মনে পড়ছে তাঁকে। সেই বন্ধুটিকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে-
হাজার মাইল দূরে থাকিস তুই, বন্ধুর সুখে বা শোকে,
জরা ও ব্যাধিতে হাত ছুঁয়ে বলতে পারি নাই কখনো, ওরে আমি আছি তোর পাশেই!
কিন্তু আমি জানি, আমার প্রানের বন্ধুটিও জানে, বুকের ধুকপুকুনির মতোই আমরা আছি এক আত্মায় আর দুই শরীরে!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৫