গতকাল সাভারের একটা হট নিউজ ছিল মরা গরু নিয়ে। যে লোকটা মরা গরু বিক্রি করেছে সে নাকি এর আগে খাসীর মাংসের সাথে কুকুরের মাংস মিক্সড করে বিক্রি করত। এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এটা অবস্যই বাংলাদেশ, আর এদেশের মানুষেরা অপরকে ঠকাতে পারল খুব খুশি হয়। মাছ আলা ঠকাচ্ছে ফল আলাকে, ফল আলা ফরমালিন দিয়ে ঠকাচ্ছে দুধ আলাকে, দুধ আলা পানি দিয়ে ঠকাচ্ছে চাল আলাকে, আর সে চালে পাথর বা অন্য চাল মিশিয়ে বিক্রি করছে। ইন্টারনেট প্রভাইডাররা স্পিড কমিয়ে দিয়ে ঠকাচ্ছে। ১০০% খাঁটি একটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঠকানোটা যে নিজেকে ঠকানো তা ওরা বুঝতেও পারছে না। আপনার ফ্যামেলি যে সেই ভেজাল মাছ/ফল/দুধ খাবে না তার গেরান্টি কিসের?
খেতে গেলেন মিষ্টি সেটা আপনার ভেজাল দুধদিয়েই বানানো!!
যাই হোক এইসব ঠকানো আমরা মেনে নিয়েছি। স্বাধীন দেশ, আমরা সবাই স্বাধীন। যার যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে।
এখন আমি সে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি, আপনি যদি দুধে পানি দেন। সেটা ভেজাল হলেও আমি কিন্তু হালাল জিনিষই খাচ্ছি। দুধ কিন্তু হারাম হয়ে যাচ্ছে না। পানি মেশানো আছে জেনেও আমরা অনায়াসে তা খেতে পারব।
কিন্তু কুকুরের মাংশ, মরা গরুর মাংসটা হা রা ম। সেটা কেউ মাংস খাওয়ার সময় বুঝতে পারলে নির্ঘাত বমি করে দিবে। একটা মানুষ কি রকমের সাইকো হলে, এরকম করতে পার! দিন শেষে এইসব লোকই রেইপ করে/ খুন খারাবি করে। একজন সুস্থ মস্তিকের মানুষ কখনো মরা গরু বা কুকুরের মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারবে না।
ওজনে কম দেন, ফরমালিন দেন এটা তো মানুষ মেনে নিয়েছে। এর চেয়ে আর নিচে নেমেন না। এদের ঘৃণা করতেও ঘৃণা লাগে।
অপরিচিত দোকান থেকে মাংস কেনা, যে কোন হোটেলে খাওয়া বাদ দেওয়াই উচিৎ। একজনের টা ফাঁস হয়েছে এই শহরের বুকে আরও কতশত যে সাইকো রয়েছে কে জানে! আর ভাল্লাগেনা!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



