somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফরাশি শায়েরির মুশায়েরায়

০৮ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ফরাশি দার্শনিক ও কবি জঁ-পিয়ের ফে [Jean-Pierre Faye] ইসায়ি ১৯৬৫তে আগুয়ান [avant garde]দের জুরনাল Tel Quelয়ের গরমের সংখ্যায় দৃপ্তকণ্ঠেই বলেছিলেন : “ফরাশি ভাষার তাবৎ শব্দের মাঝে সবচেয়ে কুশ্রাব্য শব্দটি হল কবিতা [ফরাশি poésie] ।”১ বাক্যটি শুনে আমাদের এ নগরে কাকদের কা-কারবের সাথে কবিরবের অভেদ কল্পনা করে যে একখানা প্রবাদ প্রচলিত আছে তাই মনে পড়ে গেল । আমাদের আজকের মুশায়েরার শামাও তাই জ্বালানো হয়েছে ফরাশি কবি ও তাঁদের কা-কারবের কথা মনে করে ।

ফরাশি ভাষার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন যে নমুনা পাওয়া যায় তা ইসায়ি ৮৪২য়ের । নাম Le serment de Strasbourg । ভাষা প্রাচীন ফরাশি [langue d'oïl]। এটি ফরাশি ভাষাবিকাশের শুরুর দিকের নমুনা । মধ্যযুগে রাজারাজড়াদের কাহিনি সম্বলিত কিছু মহাকাব্যিক রচনা পাওয়া যায় । এক কথায় এদেরকে Les chansons de geste বলে । বাঙলায় এদেরকে “মহিমময়তার গুণবাদ” নামে ডাকা যেতে পারে । এদের মধ্যে Le chanson de Roland সর্বাপেক্ষা পুরাতন বলে মনে হয় । বাঙলায় একে “রোলঁনামা” বলে ডাকা যাবে । এই কাব্যের বিষয়বস্তু মহিমময় সম্রাট শার্লের সাথে মুরদের বিবাদ তথা নাসারাদের প্রথম ধর্মযুদ্ধ । এই কাব্য বারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধ্বে রচিত বলে মনে করা হয় । এর প্রায় শত বৎসর পরে হিস্পানি ও আরাবিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফরাশি ভাষায় প্রচুর চারণকবির দেখা মেলে । মধ্যযুগের কবিদের মধ্যে ফঁসোয়া ভিয়ঁ [François Villon] বেশ নাম করা । মূলত, তাঁর Le grand testamentতে ফরাশি কবিতার ছন্দ Ballade ও Rondeau পূর্ণতা পায় । এছাড়াও Le Roman de Troie, Le roman de la Rose, Le Roman de Fauvel ফরাশি সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রণয়োপাখ্যান ও জওয়ানমরদি ।

সম্ভ্রান্ত সমাজে প্রচলিত এইসব সাহিত্যধারার বাইরে আমজনতার মাঝে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এক ধরনের সাহিত্য জনপ্রিয়তা পায় । এই জনপ্রিয় সাহিত্যধারাকে ডাকা হয় Fabliau নামে । এতে বিভিন্ন পশু-পাখির রূপকের নির্মোকে কবিতিকা রচনা করে তার সাথে একটি নীতিকথা জুড়ে দেওয়া হত । পেশাদার কেচ্ছাদাররা এই ধরনের সাহিত্যধারার বিকাশের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছিলেন । আদতে, ভারত উপমহাদেশের পঞ্চতন্ত্রের গল্পগুলোর অনুকরণে এই সাহিত্যধারাটির উৎপত্তি । মধ্যযুগের জঁ দো লা ফঁতেন [Jean de La Fontaine] বেশ উল্লেখযোগ্য ফরাশি নীতিকবি ।

ফরাশি ভাষার উপর নজরদারি রাখতে এবং তার চর্চা ও বিকাশকে উৎসাহ দান করতে কার্দিনাল রিশোলিয়ো [Cardinal Richelieu] ইসায়ি ১৬৩৫য়ে L’Academie Française [লাকাদেমি ফঁসেজ] গঠন করেন । এরই মধ্যে চারণকবিদের হাতে গড়ে ওঠা এই ফরাশি সাহিত্য বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং পরবর্তীতে যাবতীয় সাহিত্যিক প্রপঞ্চ নির্মাণে ও পরিপুষ্টি সাধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । ফলাফল – সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তিতে ফরাশিদের ঈর্ষণীয় সফলতা । এই পুরস্কার যে বছর থেকে চালু হয় তখন থেকে ইসায়ি ২০১০ পর্যন্ত ষোলো জন ফরাশি কবি ও সাহিত্যিক এই পুরস্কার জিতে নেন । ভাষার ভিত্তিতে সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোবেল পুরস্কার অর্জনে ফরাশিরাই আপাতত প্রথম ।

মধ্যযুগের চারণকবিদের আমলে নিয়ে হাল আমলের ফরাশি কবিদের হিশেবে ধরলে প্রায় চার সহস্রাধিক ফরাশি কবির হদিস পাওয়া যায় । সুতরাং, ফরাশি সাহিত্যের এই বিপুর প্রবাহে না মজে আমি এই কড়চায় কেবল প্রস্থিত শতকের এবং হাল আমলের কবিদের নিয়ে আলোচনায় ব্রতী হব ।

প্রস্থিত শতকের শুরুর দশ-পনেরো বছরে ফরাশি সাহিত্যে প্রতীকবাদ, বাজে প্রতীকবাদ আর ঘনকবাদের ছড়াছড়ি । এই সময়ে গিয়ম আপোলিনের [Guillaume Apollinaire]কে ছাড়িয়ে যাওয়া কবি তেমন চোখে পড়ে না । ফরাশি অঙ্কনশিল্পী রোবের দোলনে [Robert Dolaunay]র কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আপোলিনের কবিতায় অরফীয় ঘনকবাদ চালু করেন । মৃত্যুর পরে প্রকাশিত তাঁর Calligrammes এই ধরনের কবিতার সঙ্কলন । কাব্যোচিত চিন্তা ও দৃশ্যকল্পের দ্বারা তাড়িত হয়ে লেখা তাঁর Alcools আধুনিকতার বিবেচনাযোগ্য । এই কাব্যগ্রন্থের পয়লা দীর্ঘ কবিতা Zoneয়ের কয়েক ছত্র এমন :
“লোহিত চুলের তৈরি এ যেন এক আলোকবর্তিকা হাওয়া যাকে নেভায় না
নিদারুণ দুঃখভারাক্রান্ত কোনও মায়ের এ যেন মালিন্যে ভরা নীললোহিত সন্তান
সমস্ত আরাধনায় ভারাক্রান্ত হয়ে থাকা এ যেন সেই গাছ
এ যেন সম্মান আর পরকালের দ্বিগুণ ফাঁসিকাষ্ঠ
এ যেন ষড়শাখান্বিত তারকা
এ যেন সেই ঈশ্বর যিনি শুক্রবারে মরেন, রবিবারে পুনরুজ্জীবিত হন
এ যেন সেই ইসা যিনি বৈমানিকের চেয়েও উত্তমরূপে স্বর্গে আরোহণ করেন
উর্ধ্বে আরোহণের সমস্ত দিগ্ বিজয়ী অর্জন এখনও তিনি তাঁর কবজায় রেখেছেন”২

এই আমলের আরেক খ্যাতনামা কবি পল ক্লদেল [Paul Claudel] । তাঁর একটি বিখ্যাত কবিতা Tristesse de l’eau [জলের ম্লানিমা]র বয়ান এইরূপ :
‘‘আকাশ থেকে ঝরে অথবা আমার আঁখিপল্লব বাষ্পাকুল করে তোলে, একই তো সে অশ্রুবিন্দু ।
ভেবো না যেন তোমার বিষণ্নতা জীমূতরাশিকে অভিশাপ দিচ্ছে অথবা সে অঝোর ধারাপাতের অবগুণ্ঠন । শ্ শ্ শ্ । আঁখি মুদো, শোনো! বারি ঝরে ।
এই বিরক্তিকর একটানা শোরগোল কৈফিয়তের জন্য যথেষ্ট নয় ।
এ যেন এক শোকার্তের ক্লান্তি যে নিজেই বহন করে এর কারণ, এ যেন ভালোবাসার কষ্টস্বীকার, এ যেন কঠোর পরিশ্রম । আকাশগুলি মাটির উপরেই কাঁদে যারা তাকে গর্ভবতী করে । এবং মোটের উপর, এটা তো শরৎকাল নয় এবং ভবিষ্যেতের ফলের পতন যাদের বীজের পুষ্টি সাধন করে যে শীতের মেঘ থেকে অশ্রুবিন্দু টেনে আনে । ব্যথা-বেদনা তো গরমকালই আর জীবনের ফুলের মাঝে মৃতের প্রস্ফুটনেও আছে ।’’৩

‘‘La Lampe d’Aladin’’ বা ‘‘আলাদিনের চেরাগ’’ কবিতার বইখানা লিখে ফরাশি সাহিত্যে বিস্ময়করভাবেই জঁ ককতো [Jean Cocteau]র আবির্ভাব ঘটে এই আমলেই ।

প্রস্থিত শতকের দ্বিতীয়-তৃতীয় দশকের ফরাশি কবিরা আয়াসলব্ধ কবিতার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চেয়েছেন । এই আমলের ফরাশি বিদ্বজ্জনদের মধ্যে আফরিকার সেকেলে, বনবিহারী, বাতুল ও মরমী জীবনধারণের প্রতি মুগ্ধতা জন্মে । এই প্রবণতাকে ‘কাফরিপ্রীতি’ নাম দেওয়া যেতে পারে । ঘনকবাদী কবি ব্লেজ কঁধার [Blaise Cendrars]য়ের সঙ্গৃহীত আফরিকার গল্পসঙ্কলন Anthologie nègre এই আমলে প্রেরণাদায়ক হয় । সামসময়িক রোমানীয়-ফরাশি আগুয়ান কবি থিসতঁ জারা [Tristan Tzara] সাহিত্যে দাদাবাদ প্রচারে ব্রতী হন । ইলিয়টের Wastelandয়ের মতো ফরাশি সাহিত্যে বিবেচনা করা হয় তাঁর L’Homme approximatifকে । দাদাবাদী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেকেলে ভাষার প্রয়োগস্বরূপ আফরিকীয় ভাষার অনুনাদই পাওয়া যায় তাঁর কবিতায় । তাঁর শুরুর দিকের একটি কবিতা হল Le Géant Blanc Lépreux du paysage বা দৃশ্যপটের শাদা কুষ্ঠরোগাক্রান্ত দৈত্য । এই কবিতার কয়েক ছত্র :
‘‘কারণ তার নফসের উপর অনেক টেরাবাঁকা আর অনেক অনেক র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্
এখানে পাঠকটি কাঁদতে শুরু করে সে কাঁদতে আরম্ভ করে
কাঁদতে শুরু করে তার পর কান্নার মাঝে বাঁশি বাজে যা নিজে নিজেই
বহু গুনে বাড়তে থাকে – যেন প্রবালসমূহ
পাঠকটি মরে যেতে চায় অথবা সম্ভবত নাচতে চায় এবং কাঁদতে
আরম্ভ করে
সে তো পাতলা ফালতু নোংরা সে তো আমার পঙ্ ক্তিগুলো বোঝে না সে কাঁদে
সে যে কানা
তার নফসের উপর অনেক টেরাবাঁকা আর অনেক অনেক র্ র্ র্ র্ র্ র্ র্
ঙ্ বাজ বাজ বাজ দেখো পানির তলে টায়রাটি যা খুলে গেছে
সোনার শৈবালে
হোজঁধাক থাক
ঙ্ ফুনদা ঙ্ বাবাবা ঙ্ ফুনদা তাতা ঙ্ বাবাবা’’৪

দাদাবাদের পথে হাঁটতে হাঁটতে অঁদরে ভোতঁ [André Breton]র হাতে ফরাশি সাহিত্যে পরাবাস্তববাদের ইশতিহার [Manifeste du surrealisme] রচিত হয় । মূলত, ভোতঁ, লুই আরাগঁ [Louis Aragon] ও ফিলিপ সুপো [Philippe Soupault] এই তিনে মিলে Littérature নামে একখানা সাহিত্যপত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন ইসায়ি ১৯১৯ হতে । ফ্রয়েডের অবচেতন মনের ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অঁদরে ভোতঁ অনায়াসে হয়ে ওঠা সাহিত্যের পথে পা বাড়ান । ধীরে ধীরে অন্যান্য কবিরাও পরাবাস্তববাদের পতাকাতলে জড়ো হন । এরা হলেন – জর্জ্ বাতাই [Georges Bataille], ক্লদ কাউঁ [Claud Cahun], মালকোল্ ম্ দো শাজাল [Malcolm de Chazal], রোবের দেসনো [Robert Desnos], পর এলুয়ার [Paul Eluard], মিশেল লেইরি [Michel Leiris], বঁজামঁ পেরে [Benjamin Péret], জাঁক ফেবের [Jacques Prévert], লেও পোল্ ড্ সেদার সেঙ্ঘর [Léopold Sédar Senghor] প্রমুখ । পল এলুয়ারের L’Amour la poésie সঙ্কলনের একখানা কবিতা La Terre est bleue comme une orange [পৃথিবী যেন সান্তারার মতো নীল] :
‘‘পৃথিবী যেন সান্তারার মতো নীল
কখনওই ভুলচুক শব্দগুলি মিথ্যে বলে না
তারা আর আপনাকে দেয় না গান গাইতে
মজনু আর ভালোবাসাকে
চুম্বনের ব্যাপারে রাজি হতে
সে তার মুখ মিত্রতার
সমস্ত গোপনতা সমস্ত হাসি
আর কোন পোশাকগুলি আসক্তির
এটা বিশ্বাস করতে যে, সে পুরোই নগ্ন

ভিমরলিগুলি প্রস্ফুটিত হচ্ছে শবুজ হয়ে
ঘাড়ের চারদিকে সুবহে সাদিক ভর করে
যেন এক বাতায়নের কণ্ঠাবরণ
পাখাগুলি ঢেকে রাখে পত্রপল্লবকে
তোমার আছে সমস্ত সৌর উল্লাস
সব কটা সূর্য যেন পৃথিবীর উপর ভর করা
তোমার সৌন্দর্য যেন সমস্ত পথের পরে’’৫

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেও ফরাশি কবিতায় পরাবাস্তববাদের আযোজন চলে । গিজেল ফাসিনো [Gisèle Prassinos], দোরা মার [Dora Maar] – এদের মতো মহিলা কবিরাও এর দ্বারা আক্রান্ত হন । La sauterelle arthritique [গেটে বাতে আক্রান্ত ঘাসফড়িঙ] বইখানা লিখে চোদ্দ বছর বয়সেই গিজেল ফাসিনো এলুয়ার, ভোতঁর মতো পরাবাস্তববাদীদের নজর কাড়েন । রোনে শার [René Char]য়ের মতো বালক কবিরাও ধীরে ধীরে এই দলে ভিড় জমান ।

ফঁসের বাইরে বিভিন্ন ফরাশি উপনিবেশ থেকেও কবিরা ফরাশি সাহিত্যের জন্য উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেন । আলজাজায়ির, মাগরেব বা মরক্কো, হাইতি, মার্তিনিক থেকে শক্তিশালী কবি-সাহিত্যিকরা ধীরে ধীরে ফরাশি সাহিত্যের মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ত হন । মিশরের জোইস মানসুর [Joyce Mansour], এদমঁ জাবেস [Edmond Jabès]; লুবনানের অঁদরে শেদিদ [Andrée Chedid]; আলজাজায়িরের মোহাম্মেদ দিব [Mohammed Dib]; হাইতির রোনে দোপেসথো [René Depestre]; মার্তিনিকের এমে সেজের [Aimé Césaire], সুজান সেজের [Suzanne Césaire] – এদের নাম করা যায় ।

এমে সেজের, লেওঁ-গোঁথঁ দামা [Léon-Gontran Damas] আর সেঙ্ঘর – এই তিনে মিলে L’Étudiant Noir নামে একখানা সাহিত্যজুরনাল বের করেন । সেজেরের ভাষাতেই প্রথম négritude শব্দটি পাওয়া যায় । উপনিবেশের শাসক-শোষিতের সম্পর্ককে তিনি গভীরতর দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেন । Cahier du retour au pays natal [স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের খেরোখাতা]য়ে তিনি পরাবাস্তবাদকেই অপূর্ব দক্ষতায় বাজিয়ে দেখেছেন । লেওঁ-গোথঁ দামার একটি কবিতা Solde [বিক্রেয় পণ্য]য়ের কয়েক ছত্র :



‘‘নিজের কাছেই শরম লাগে
তাদের জুতোজাতা দেখলে
তাদের ধোঁয়াখাওয়া দেখলে
তাদের উরচ্ছদ দেখলে
তাদের আলগা কলার দেখলে
তাদের এক চোখে চশমা দেখলে
তাদের সিলিন্ডার আকারের টুপি দেখলে’’৬

পরাবাস্তববাদী ও মরমীবাদী কবি রোনে দমাল [René Daumal]য়ের অধিকাংশ লেখালেখি তাঁর মৃত্যুর আগেও অজ্ঞাত ছিল । Le Grand Jeu নামে তিনি একখানা সাহিত্যজুরনাল প্রকাশ করতেন । তিনি নিজে নিজেই সংস্কৃতম্ শিখেছিলেন এবং বৌদ্ধদের ত্রিপিটক ফরাশিতে অনুবাদ করেছিলেন । সত্যের সন্ধান করতে করতে তিনি প্রাচ্যের ধর্মসমূহের প্রতি আকৃষ্ট হযে পড়েন এবং এ বিষয়ে তিনি অনেক কড়চাও রচনা করেন । Poésie noire, poésie blanche [সিয়া শায়েরি, সফেদ শায়েরি] তাঁর অনন্য কাব্যগ্রন্থ ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের ফরাশি তরুণ কবিদের মধ্যে মিশেল দোগুই [Michel Deguy] বেশ প্রভাবশালী । বিখ্যাত ফরাশি সাহিত্যজুরনাল Po&sie তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন । বাজে উপনিবেশবাদী সাহিত্যিক বাহাস নির্মাণে মাগরেবি কবি মোহাম্মেদ দিব, মউলুদ মাম্মেরি [Mouloud Mammeri], মউলুদ ফেরায়ুন [Mouloud Feraoun] এবং কেত্ ব্ ইয়েসিন [Kateb Yacine] ‘‘বায়ান্নর প্রজন্ম’’ নামে সাহিত্যসঙ্ঘ গঠন করেন ।

প্রস্থিত শতকের তৃতীয় দশকের প্রায় শেষের দিকে ফরাশি কবিরা পরাবাস্তববাদী ইশতিহার লঙ্ঘন করতে শুরু করেন এবং অঁদরে ভোতঁর থেকেও তাঁরা ক্রমাগত বিছিন্ন হন । ইসায়ি ১৯৬৬ তে ভোতঁ মারা যান । এরই মধ্যে ইসায়ি ১৯৬০য়ে রেমঁ কুনো [Raymond Queneau], ফঁসোয়া লো লিয়োঁনে [François Le Lionnais] OuLiPo নামে সাহিত্যসঙ্ঘ গঠন করেন । ফরাশি Ouvroir de Littérature Potentielle [অবিকশিত সাহিত্যের কারবাই]য়ের সঙ্ক্ষেপ হল OuLiPo বা উলিপো । নতুন সাহিত্যভাষা, ভাষার শব্দসম্ভার নিয়ে নাড়াচাড়াই এই দলের সাহিত্যিকদের মাঝে দৃষ্ট হয় । ইসায়ি ১৯৪৭য়ে রেমঁ কুনো Exercices de Style নামে একখানা গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করেন । এই গ্রন্থে একই গল্পের কাহিনি তিনি ৯৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচে বলেন । আঙ্গিক এবং ভাষার শব্দসম্ভারের সীমাহীন সমাবেশ সম্ভব এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিতে । ফরাশি ভাষার জন্য তার স্বরধ্বনি ‘e’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু, ইসায়ি ১৯৬৯য়ে জর্জ্ পেরে [Georges Perec] La Disparition নামে একটি পুরো উপন্যাস লিখেন স্বরধ্বনি eকে পুরোই বাদ দিয়ে । এই তরিকাকে উলিপো দলের সদস্যরা Lipogramme নাম দেন । উলিপোর অনন্য প্রবণতার মাঝে নাম করা যায় পুরো পাঠে মাত্র একই রকমের একটি স্বরধ্বনির ব্যবহার ওরফে একস্বরধ্বনিত্ব বা Monovocalisme এবং একাত্মন বা Palindrome ।

অদরে ভোতঁর মৃত্যুর পর ইভ বোনফয় [Yves Bonnefoy], অঁদরে দিউ বুশে [André du Bouchet], জাক দুপঁ [Jacques Dupin], ফিলিপ জাকোতে [Phillipe Jaccottet] এরা L’Ephémère নামে একখানা সাহিত্যজুরনাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং একে ঘিরেই এঁদের সাহিত্য আড্ডা চলে । ফরাশি সাহিত্যে এই আমলে অনেক প্রতিভাময় কবির দেখা মেলে । এঁদেরই একজন ইভ বোনফয় । ফরাশি ভাষায় শেক্সপিয়রের বেশ কিছু তরজমা করেন তিনি । অঁদরে দিউ বুশে আঙরেজি কবি শেক্সপিয়র,গেরার্ ড্ হপকিন্ স্ [Gerard Hopkins]; ডয়েশ কবি ফ্রিডরিশ হোয়েডালিন [Friedrich Hölderlin]; রুশ কবি ওসিপ মানজিল্শ্তাম [ О́сип Мандельшта́м], বরিস পাসচিরনাক [Бори́с Пастерна́к] – এদের তরজমাকার । তাঁর একখানা মশহুর শায়েরি Pierre ou eau [পাষাণ নতুবা সলিল] :
‘‘ …চোখের সামনে
অন্তরের
আঁকড়ে ধরা
যেন মূহুর্তেক পাষাণ
নতুবা সলিল
…ভুলে যাওয়া
অন্তরে
যেখানে
পাষাণ
মূহুর্তেক নতুবা সলিল

আটকে গেছে
…এবং জড়সড়
অন্তরের পেছনে
পাহাড়ের হৃৎপিণ্ড হবে পাথর
নতুবা পানি ।’’৭

ফরাশি দেশের বাইরে ফরাশি উপনিবেশের বেশ কিছু কবির প্রতিপত্তির দেখা মেলে এই আমলে । তখন ফরাশি সাহিত্যে উপনিবেশিতদের কণ্ঠস্বর স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত হয় । বাজে উপনিবেশী লেখকদের মধ্যে তুনিসের আবদেল ওয়াহহাব মেদেব [Abdelwahab Meddeb], লুবনানের সালাত স্তেতিয়ে [Salah Stétié], কেবেকের গাসতঁ মিরঁ [Gaston Miron]র নাম করা যায় । বাজে উপনিবেশবাদী নতুন দর্শন নির্মাণে এবং সে অনুসারে সাহিত্য নির্মানে মার্তিনিক কবি এদুয়ার গ্লিসঁ [Édouard Glissant]র Le Discours antillais বইখানা গুরুত্ববহ । এই কেতাবে তিনি négritude মতবাদের নয়া দাখিলা হাজির করেছেন ।

প্রস্থিত শতকের সপ্তম ও অষ্টম দশকের কবিরা আগের দশকের কবিদের (যেমন – রোনে শার, ইভ বোনফয়, ফিলিপ জাকোতে বাগেরা বাগেরা) আশেপাশে ভিড় জমাতে থাকেন এবং তাঁদের কাছ থেকে নিজেদের কাব্যচর্চার রশদ সঙ্গ্রহ করতে থাকেন । এই আমলের ফরাশি কবিতায় মহিলা কবিদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ পরিলক্ষিত হয় এবং উল্লেখযোগ্য সঙ্খ্যায় তাঁরা প্রতিনিধেত্ব করেন । এদের মাঝে আন-মারি আলবিয়াশ [Anne-Marie Albiach], মারি-ক্লের বঁকুয়ার [Marie-Clair Bancquart], সিলভিয়া বারঁ সুপেরভিল [Silvia Baron Supervielle], মার্তিন ভোদা [Matine Broda], নিকোল ভোসার [Nicole Brossard], দানিয়েল কোলোবের [Danielle Collobert], মারি এতিয়েন [Marie Étienne], মিশেল ঘঁগ [Michelle Grangaud], ভেনুস খুরি-ঘাতা [Venus Khury-Ghata], আনি লো ভুঁ [Annie Le Brun], জাকলিন রিসে [Jacqueline Risset] বেশ নাম করা । এরা প্রায় সকলেই আমেরিকার বাজে আধুনিক L=A=N=G=U=A=G=E কবিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত । মিশেল ঘঁগো উলিপোর সাথে সংশ্লিষ্ট হন এবং তিনি তাঁর কবিতায় Anagramme নিয়ে পরীক্ষা চালান । লুবনানের কবি ও রাবি খুরি-ঘাতা লুবনানি আরাবি আর ফরাশি মিশিয়ে দোআঁশলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন । এই দোআঁশলা ভাষাকে Franbanais বলে । এই ভাষা লুবনানের বইরুতের জনজীবনে বেশ জনপ্রিয় । জাকলিন রিসে দান্তের Inferno, Purgatorio এবং Paradisoর ফরাশি তরজমাকার হিশেবেই পরিচিত ।

এতসব মহিলা কবি বাদেও এই আমলে দোমিনিক ফুরকাদ [Dominique Fourcade], অঁমানুয়েল ওকুয়ার [Emmanuel Hocquard], আবদেললাতিফ লায়াবি [Abdellatif Laâbi], জাক রুবো [Jacque roubaurd], হাবিব তেঙ্ঘুর [Habib Tengour] স্বনামধন্য । মোস্তফা নিসাবুরির সাথে আবদেললাতিফ লায়াবি সাহিত্যজুরনাল Souffles প্রতিষ্ঠা করেন । আলজাজায়িরের কবি হাবিব তেঙ্ঘুর মাগরেবি কবিদের মধ্যে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের অধিকারী । বাজে উপনিবেশী পরিস্থিতি আর উপনিবেশিতদের অস্তিত্ব বিষয়ে লেখালেখিতেই তিনি মশগুল । ফরাশি কবিতার প্রথাগত কাব্যধর্মিতার বাইরে নতুন বর্ণনারীতি ও কাব্যভাষা নির্মাণে তিনি সচেষ্ট । আরেক প্রতিভাবান কবি জাক রুবো উলিপো দলভুক্ত হয়ে কবিতায় গণিত ও পরিগণকের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করেছেন বেশ । এ ছাড়াও তিনি নিজেকে মধ্যযুগের ফরাশি সাহিত্য, প্রাচীন নিহোঙ্গো কবিতা, আঙরেজি কবিতার বোদ্ধা হিশেবেই আমাদের কাছে পরিচয় করিয়েছেন । অবশ্য তিনি নিজেকে গণিত ও কবিতার একীভূত করনেওয়ালা হিশেবেই পরিচয় দেন । তাঁর একখানা মশহুর শায়েরি Il pleut [বৃষ্টি হচ্ছে] :
‘‘— আমি ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না
— তুমি ইমান এনেছ যে বৃষ্টি হচ্ছে আর দেখালে যে বৃষ্টি হচ্ছে না?
— হুঁ ।
আমি ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু আমি জানি যে আমার ভুল হচ্ছে,
— তুমি এটা জানলে কি করে?
— এটা কোনও প্রশ্ন নয় । প্রশ্ন হল : আমি ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে,
কিন্তু, আমার ভুল হচ্ছে ।
— কে বলল যে তোমার ভুল হচ্ছে?
— আমি ।
— কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে যদি এটাতে ইমান আনায় তোমার ভুল হচ্ছে
যদি তুমি জান যে বৃষ্টি হচ্ছে এটাতে ইমান আনায় তোমার ভুল হচ্ছে
তুমি কি করে ইমান আনতে পারলে যে বৃষ্টি হচ্ছে?
আমাকে সোজাসুজি জওয়াব দাও ।
— এখন কি বৃষ্টি হচ্ছে?
— না
— তুমি দেখলে!
— আমি দেখলাম যে বৃষ্টি হচ্ছে না । কিন্তু, আমি দেখলাম না কি করে তুমি বলতে পারলে যে তুমি ইমান এনেছ যে বৃষ্টি হচ্ছে
আর কি করে তুমি পারলে
একই সাথে বলতে যে এই ইমান ভুলে ভরা । আমি এই কথায় ইমান আনতে
পারছি না ।
— আমি ইমান এনেছি যে এখন বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমি ইমান এনেছি আর এই যে আমি জানি যে বৃষ্টি হচ্ছে না
— ভালো ।
— যদি আমি ইমান আনি যে যাতে আমি ইমান এনেছি তাতে আমি ইমান আনি, আমি তাতেই ইমান এনছি
— ভালো
— কোনও লোকই তা ইমানে আনে আর একই সময়ে তা ইমানে আনে না ।
— কোনটা সেটা? কোনটা সেটা না?
— যাই হোক সেটা : এই যে বৃষ্টি হচ্ছে, উদাহরণস্বরূপ
— আচ্ছা ।
— যদি আমি ইমান আনি যে আমি ভুলবশত ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে,
অন্যভাবে সে বলল, যদি আমি ইমান আনি যে বৃষ্টি হচেছ—যদিও সে জানে না
এটা যে এটা কোনও ব্যাপারই না যে এখন বৃষ্টি হচ্ছে
এটা বুঝায় যে আমি ইমান এনেছি যে আমি ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে
এবং একই সময়ে এটা কোনও ব্যাপারই না যে বৃষ্টি হচ্ছে
এবং এটা আরও বুঝায় যে আমি আরও ইমান এনেছি যে বৃষ্টি হচ্ছে
এবং এটা হচ্ছে
না । কিন্তু, দেওয়া আছে যে কেউ কখনও একই সময়ে ইমান আনতে পারে না যে,
যদি এখন বৃষ্টি হত আবার যদি হত না । এটা গরমুমকিন যে আমি
ইমান এনেছি যে আমি ইমান এনেছি যে এখন বৃষ্টি হচ্ছে
— সবই জানা আছে যে এখন বৃষ্টি হচ্ছে না
— আশলেই ।
— আর যদিও আমি ইমান এনেছি
— তুমি কিসে ইমান এনেছ?
যে কোনও মূল্যেই বৃষ্টি হচ্ছে ।’’৮

হাল আমলের ফরাশি কবি ও তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক জঁ-মিশেল মলপোয়া [Jean-Michel Maulpoix] তাঁর সুদীর্ঘ La poésie française depuis 1950 কড়চায় আধুনিক ফরাশি কবিদের নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন : ‘‘…ভাষা মানেই যেন ফাঁদ, চিত্রকলা যেন ছলচাতুরি আর বিষয় সেখানে যেন এক প্রলোভন… ’’৯। অষ্টম দশকের কবি অঁমানুয়েল ওকুয়ার থেকে হাল আমলের কবি দেরিদাতনয় পিয়ের আলফেরি [Pierre Alféri] এ বিশ্বাস লালন করেই অবিরত কবিতাচর্চায় মনোনিবেশী । অঁমানুয়েল ওকুয়ার কবিতায় modernité negative [নাস্তিবাচক আধুনিকতা]য়ের কথা বলেন । মিশেল দোগুই এবং জাঁক রুবো ইসায়ি ১৯৮০তে Vingt poètes américanais [আমেরিকার বিশজন কবি] নামে আমেরিকার কবিদের একখানা সঙ্কলন বের করেন যা অতলান্তিক মহাসাগরের দুই পারের সমমনা কবিদের ব্যাপারে জানতে পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করেছিল । এই আমলের কবিদের মাঝে পিয়ের আলফেরি, ওলিভিয়ের কাদিয়ো [Oliviert Cadiot], মিশেল উয়েলবেক [Michel Houellebecq], জঁ-মিশেল মলপোয়া, পাসকাল মোনিয়ের [Pascalle Monnier], খিসতোফ তারকোস [Christophe Tarkos] স্বতন্ত্র কাব্যধারার অধিকারী । ফরাশি দেশের বাইরে ফরাশি ভাষাভাষী কবিদের মাঝে তুনিসের তাহের বেকরি [Tahar Bekri], আমিনা সাইদ [Amina Saïd]ও এঁদের ভাবধারার সাথে সম্পৃক্ত । তাহের বেকরি ফরাশি ও আরাবি দুই ভাষাতেই সাহিত্যসাধনায় সব্যসাচী ।

ফরাশিরা সাহিত্যের মিরমুনশি । সাহিত্যের বড়ো বড়ো যত ভাব, বড়ো বড়ো যত প্রপঞ্চ, বড়ো বড়ো যত চিত্রকল্প, মানুষের যত সুখ-দুঃখের বায়না – সবই তো দিয়ে গেছেন তাঁরা । তাঁদের সেসব কীর্তির কথা মনে করে আজকের মুশায়েরার শামাও প্রজ্জ্বলিত ছিল দীর্ঘক্ষণ । যাবার কালে তাই ফরাশি কায়দায় বিদায় জানিয়ে যাই – Rendez-vous en autre mucha3era, 7abiby!!!












দোহাই




১. Le mot "poésie" est le mot le plus laid de la langue française.
২. C'est la torche aux cheveux roux que n'éteint pas le vent
C'est le fils pâle et vermeil de la douloureuse mère
C'est l'arbre toujours touffu de toutes les prières
C'est la double potence de l'honneur et de l'éternité
C'est l'étoile à six branches
C'est Dieu qui meurt le vendredi et ressuscite le dimanche
C'est le Christ qui monte au ciel mieux que les aviateurs
Il détient le record du monde pour la hauteur
৩. Du ciel choit ou de la paupière déborde une larme identique.
Ne pense point de ta mélancolie accuser la nuée, ni ce voile de l’averse obscure. Ferme les yeux, écoute! la pluie tombe.
Ni la monotonie de ce bruit assidu ne suffit à l’explication.
C’est l’ennui d’un deuil qui porte en lui-même sa cause, c’est l’embesognement de l’amour, c’est la peine dans le travail. Les cieux pleurent sur la terre qu’ils fécondent. Et ce n’est point surtout l’automne et la chute future du fruit dont elles nourrissent la graine qui tire ces larmes de la nue hivernale. La douleur est l’été et dans la fleur de la vie l’épanouissement de la mort.
৪.
car il y a des zigzags sur son âme et beaucoup de rrrrrrrrrrrrrr
ici le lecteur commence à crier il commence à crier
commence à crier puis dans ce cri il y a des flûtes qui se
multiplient – des corails
le lecteur veut mourir peut-être ou danser et commence à
crier
il est mince idiot sale il ne comprend pas mes vers il crie
il est borgne
il y a des zigzags sur son âme et beaucoup derrrrrrr
nbaze baze baze regardez la tiare sousmarine qui se dénoue
en algues d’or
hozondrac trac
nfoùnda nbabàba nfoùnda tata nbabàba
৫. La terre est bleue comme une orange
Jamais une erreur les mots ne mentent pas
Ils ne vous donnent plus à chanter
Au tour des baisers de s’entendre
Les fous et les amours
Elle sa bouche d’alliance
Tous les secrets tous les sourires
Et quels vêtements d’indulgence
À la croire toute nue.

Les guêpes fleurissent vert
L’aube se passe autour du cou
Un collier de fenêtres
Des ailes couvrent les feuilles
Tu as toutes les joies solaires
Tout le soleil sur la terre
Sur les chemins de ta beauté.
৬. J’ai l’impression d’être ridicule
dans leurs souliers
dans leur smoking
dans leur plastron
dans leur faux-col
dans leur monocle
dans leur melon
৭. . . . en avant
du centre
serré
comme pierre un instant
ou eau.
...l’oubli
au centre

pierre
un instant ou eau
a été serrée.
... et immobile
après le centre.
. . . le cœur de la montagne sera pierre
ou eau.
৮. — Je crois qu’il pleut, mais il ne pleut pas.
— Tu crois qu’il pleut et tu affirmes qu’il ne pleut pas?
— Oui.
Je crois qu’il pleut mais je sais que je me trompe.
— Comment le sais-tu?
— Là n’est pas la question. La question est : je crois qu’il pleut,
Mais j’ai tort.
— Qui dit que tu as tort?
— Moi.
— Mais si tu as tort de croire qu’il pleut,
Si tu sais que tu as tort de croire qu’il pleut
Comment peux-tu croire qu’il pleut?
Réponds-moi sincèrement.
— Il pleut
— Non.
— Tu vois !
— Je vois qu’il ne pleut pas. Mais je ne vois pas comment tu peux
Dire que tu crois qu’il pleut
Et comment tu peux
Dire en même temps que cette croyance est erronée. Je ne peux
Pas le croire.
— Je crois que je crois qu’il pleut et que je sais qu’il ne pleut pas.
— Bien.
— Si je crois que je crois ce que je crois, je le crois.
— Bien.
— Personne ne croit que et en même temps que ne pas.
— Que quoi? que ne pas quoi?
— N’importe quoi : qu’il pleut, par exemple.
— Bon.
— Si je crois que je crois à tort qu’il pleut,
Autrement dit si je crois qu’il pleut bien que ce ne soit pas le cas qu’il pleut,
Il s’ensuit que je crois que je crois qu’il pleut
Et au même moment que ce n’est pas le cas qu’il pleut
Et il s’ensuit alors que je crois simultanément qu’il pleut
Et qu’il ne pleut
Pas. Mais puisque personne n’a jamais cru en même temps qu’il pleuvait et qu’il
ne pleuvait pas, il est impossible que je croie que je crois qu’il pleut
Tout en sachant qu’il ne pleut pas.
— En effet.
— Et pourtant je le crois.
— Tu crois quoi?
De toute façon, il pleut.
৯. … la langue est un piège, que l’image est une tromperie, que le sujet est une leurre…
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×