somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচারপতি কে এম সেবহান ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জাহাঙ্গীর আলম আকাশ ॥ বিচারপতি কাজী মেহবুব সোবহান। যিনি কে এম সোবহান নামে সমধিক পরিচিত। স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, যুদ্ধাপরাধ ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনের এক মহান নেতা। সংগ্রামী, আপোষহীন, স্বাধীন এক মানুষ ছিলেন তিনি। সৎ, সাহসী মহান মানবতাবাদী নেতার নাম বিচারপতি কে এম সোবহান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন তিনি। সততা ও নীতির কাছে তিনি ছিলেন সর্বদাই বিজয়ী। তাইতো দুর্নীতির শিরোমণি, স্বৈরাচার এরশাদ আমলে তিনি বিচারপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। কিন্তু সমাজে, রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে তিনি পিছপা হননি কখনও।
২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই মানুষটি চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর ট্রমা ভিক্টিমস বা বিআরসিটিতে আমি তখন চিকিৎসারত। র‌্যাবের নির্যাতনের ফলে আমার যে শারীরীরক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছিল তা পুলিয়ে নিতেই এই চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। বিআরসিটি কার্যালয়ে সন্ধ্যায় খবর এলো বিচারপতি সেবহান মারা গেছেন। প্রত্যেহ বিকেলে তিনি রমনা পার্কে হাঁটতে যেতেন। সেদিনও তিনি প্রতিদিনের ন্যায় রমনা পার্কে গিয়েছিলেন হাঁটতে। হঠাৎ তিনি অসুস্থ্যবোধ করেন। এরপরই তাঁকে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। সংবাদ সম্পাদক বজলুর রহমান, কলামিষ্ট মোনায়েম সরকার, প্রাক্তন স্পীকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দীন সরকারসহ আরও অনেকে বিকেলে হ্টাতেন একইসাথে। হাঁটা শেষে সবাই মিলে জমাতেন মজার আড্ডা। প্রিয় বজলুর রহমানও আজ আর বেঁচে নেই। শ্রদ্ধেয় বজলু ভাইও বিচারপতি সেবহানের পথ ধরে দু'মাস পর ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চলে গেছেন অনন্তকালের জন্য। হয়ত রমনা পার্কের সেই হাঁটা আর আড্ডাও জমে না আগের মতো। বিচারপতি সোবহানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি জীবনভর জনগণের পক্ষে, দেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ এক অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধাপরাধীবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম সাহসী সংগঠক ছিলেন তিনি।
বিচারপতি সোবহানের মৃত্যুর পর সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এই মহৎপ্রাণ মানুষটি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালে ব্যারিস্টার এট 'ল' ডিগ্রিপ্র্প্তা হন লিনকনস ইন থেকে। ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন ১৯৫৬ সালে। একই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন ১৯৭১ সালে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর নিরাপদ কারাগারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহযোগি জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় তৎকালিন বিচারপতি সায়েম-জেনারেল জিয়া সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। সেই কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল বিচারপতি সোবহানকে। যদিও সেই সরকার তদন্ত কমিশনকে কাজ করতে দেয়নি। কারণ সরকার ভালো করেই জানতো যে, বিচারপতি সোনবহানের মতো দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ এবং সৎ মানুষ ঠিকই চার নেতা খুনের আসল রহস্য বের করে আনতেন। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট কলামিষ্ট মোনায়েম সরকার লিখেছেন, ৃসরকার জানত, তদন্ত কমিশনকে কাজ করতে দিলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। বিচারপতি কে এম সোবহান এমন ধাতুতে গড়া যে, সামরিক সরকারের রক্তচক্ষুও তাকে সত্যের পথ থেকে একচুল নড়াতে পারবে না। কাজেই আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশন বাতিল না করে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য এর কার্যকারিতা বাধাগ্রন্ত করে রাখা হয়েছিল। জনাব সোবহান এমন একটি দায়িত্ব পেয়েও সরকারের অসহযোগিতায় কাজ করতে না পারায় সারাজীবন মনোবেদনায় ভুগেছেন এবং এই কষ্টের কথা বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী মহলে বারবার প্রকাশ করে গেছেন।“
বিচারপতি সোবহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা সিটি ল কলেজের খন্ডকালিন শিক্ষক ছিলেন ১৯৫৬-১৯৭১ সাল পর্যন্ত। তিনি সিটি ল কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন একজন। ১৯৮০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে। এরপর ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রাগ ও বার্লিনে ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ১৯৮২ সালের ১ জুনে তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের দ্বিতীয় জনক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জরুরিভিত্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনেন। এবং একই বছরের ১৫ জুন আপিল বিভাগের বিচারপতির পদ থেকে অপসারণ করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯০ সালে ইতালীর রোমে স্থায়ী পিপলস ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সদস্য হিসেবে ভূপাল গ্যাস মামলার রায় প্রদান করেন। একই ট্রাইব্যুনালের সদস্য হয়ে তিনি বিচার করেন ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে এজেন্ট এবং গ্যাস প্রয়োগের।
বিশিষ্ট মানবাধিকার নেতা অজয় রায় লিখেছেন, "বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতাসীন হন তখন অনেকেই এরশাদ আমলে তাঁর (বিচারপতি সোবহান) ওপর যে অবিচার করা হয়েছে তা তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো এবং তাঁকে পুনর্বহাল করা। কিন্তু বিচারপতি সোবহান সুহৃদদের সেই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।" বিচারপতি সোবহান জীবনে কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত কিংবা ব্যক্তিগত কোন আবদার নিয়ে কারও কাছে নিজের আত্মমর্যাদা বিলীন হতে দেননি। শ্রদ্ধেয় অজয় রায়ের লেখা তারই প্রমাণ দেয়। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ভুটান রিফিউজি সংকট তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক পিপলস তদন্ত কমিশনের সদস্য, কম্বোডিয়া ও নেপালের সংবিধান প্রণয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিটিসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ছিলেন। শ্রীলংকা, নেপাল ও পাকিস্তানের বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ছিলেন বিচারপতি সোবহান। কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অধীনে আইন ও বিচার বিষয়ক কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। তিনি ১৯৯৭ সালে ভিয়েতনাম আইন ও বিচার বিভাগের স্বল্পকালীন পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছিলেন। বিচারপতি সোবহান ছিলেন মৌলবাদবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনী পরিষদের সহ-সভাপতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণ আদালতের অন্যতম একজন বিচারক ছিলেন তিনি। সেই আদালত গোলাম আজমসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আদেশ দিয়েছিল। এজন্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে তথাকথিত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল। বিচারপতি সোবহান ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস বা বিআইএইচআর'র চেয়ারম্যান। বিআইএইচআরের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি হিসেবে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে ২০০১ সালে। ২০০১ এর ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট গোটা দেশজুড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও সেই হত্যা-নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দলীয় ক্যডারদের হাতে কিশোরী মহিমা গণধর্ষণের কারণে আত্মহননের ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আমি তখন দৈনিক সংবাদ এর রাজশাহীস্থ স্টাফ রিপোর্টার। ঢাকা থেকে সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা ছুটে গিয়েছিলেন মহিমাদের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ায়। সেই দলের অন্যতম ছিলেন বিচারপতি সোবহান। বিচারপতি কে এম সোবহান শুধু একজন মানবতাবাদী মানুষই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নারী স্বাধীনতা ও নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসেনানী। যেখানেই নারী নির্যাতন সেখানেই বিচারপতি সোবহান শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মশাল জ্বালিয়ে দিতেন। সিরাগঞ্জের পূর্ণিমা শীল, রাজশাহীর মহিমা কিংবা শিউলী, রজুফার ওপর নির্যাতনকারি দুর্বৃত্তদের বিপক্ষে তার দীপ্ত ও দৃঢ় অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে। বাংলাদেশের নারী স্বাধীনতা ও নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রধান সংগঠন মহিলা পরিষদের আন্দোলন-সংগ্রামের সাহসী সংগ্রামী যোদ্ধা ছিলেন বিচারপতি সোবহান। বয়স তাঁকে কখনও দাবায়ে রাখতে পারেনি। বয়সে স্পষ্ট প্রৌঢ়ত্বের ছাপ পড়েছিল বটে কিন্তু মন-মানসিকতায় তিনি ছিলেন চির সবুজ, চির নবীন। আর এই তারণ্যকে আমৃত্যু কাজে লাগিয়েছেন নারী নির্যাতনবিরোধী কর্মকান্ডে সোচ্চার থেকে। রোদ, বৃষ্টি, শীত উপেক্ষা করে তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে পথ থেকে পথে ছুটি বেড়িয়েছেন নারীমুক্তি, নারী স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন রাখার লক্ষ্যে।
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহীর পুঠিয়ায় কিশোরী মহিমাকে গণধর্ষণ করে তৎকালীন জোট সরকারের ক্যাডারবাহিনী। এতে লজ্জা-অপমানে আত্মহননের পথ বেছে নেয় মহিমা। এরপর ঢাকা থেকে সম্মিলিত সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ছুটে যায় রাজশাহীর প্রত্যন্ত অঞ্চল পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে। সেই কমিটির অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সোবহান। রাজশাহীর পুঠিয়াতেই শিউলী নামে আরেক কিশোরী ছাত্রদল ক্যডার হারুনের লালসার শিকার হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস (বিআইএইচআর) এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি কে এম সোবহান শিউলিদের বাড়িতে ছুটে যান তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জানান। এটি ২০০২র অক্টোবর মাসের ঘটনা। একই দিনে শিউলিদের বাড়ি থেকে রাজশাহী শহরে ফেরার পথে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম আকাশ বিএনপি সমর্থকদের হামলার শিকার হন। সাংবাদিক আকাশই বিচারপতি সোবহান ও বিআইএইচআরের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব আকরাম হোসেন চৌধুরীকে শিউলিদের বাড়িতে যেতে সহায়তা করেছিলেন।
বিচারপতি সোবহান ছোট-বড় সকলকেই আপনি বলে সম্বোধন করতেন। মানবাধিকারের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন করায় বিআইএইচআরের পক্ষ থেকে আমাকে সংবধনা প্রদান করা হয় ২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি কে এম সোবহান। সেদিন তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানবাধিকার ব্যক্তিত্বদের ইংরেজীতে বলেছিলেন যে, "অ্যারেস্ট অর বিটেন বাই দ্য র‌্যাব মিনস ইনড অব দ্য হোল থিংকস ইনড অব হোল লাইফ। বিকজ দে আর নট সাবজেক্ট টু দ্য ল ইন দ্য কান্ট্রি, উই হোপ হি উইল কনটিনিউ টু ওয়ার্ক।" এরপর তিনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন, "আপনি একা নন, আমরা আছি আপনার সাথে। আপনার কোন ভয় নাই।" এর ঠিক এক মাস পরেই বিচারপতি সোবহান এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। মাত্র তিন বছরেই আমরা কি বিচারপতি কে এম সোবহানকে ভুলতে বসেছি?
মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিচারপতি সোবহান দেশের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য লড়ে গেছেন। বাংলাদেশে তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। বিচারপতি সোবহানের জীবনদর্শন আমাদের প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় আদর্শ। তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বিচারপতি সোবহানের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
লেখক:-মানবাধিকারবিষয়ক অনলাইন সংবাদপত্র ইউরো বাংলা'র সম্পাদক, [email protected]
http://www.eurobangla.org/
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×