বাচ্চাটা ছেলেটাক্র এভাবে পেটানো কোনভাবেই সমর্থন করিনা। এভাবে গরুর মত পেটানোতে ছেলেটার বাবা মায়ের অভিযোগ আছে কি নেই তাতে আমার কিছু আসে যায়না। এটা জঘন্যরকমের অন্যায়। শিক্ষকরা অবশ্যই শাসন করবেন তবে সেটা নিশ্চয়ই এরকম জানোয়ারের কায়দায় নয়।
সন্তান মরে যাক, তারপরও মা-বাবাকে এই উছিলায় বেহেস্ত যাওয়া লাগবেই!
কওমী জঙ্গীরা এমন মা বাবার সন্তানদেরই খুঁজছে, আর এমন মা-বাবাই সন্তানের কুরবানি দিয়ে দিবে হুজুরের পিটানো আঘাতের স্থানে বেহেস্তের আশায়!
মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট শিশুটি খুবই ভয়াবহ অপরাধ করেছে। যেনতেন অপরাধ নয়, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ! ছেলের সঙ্গে মাদ্রাসায় দেখা করতে যান শিশুটির বাবা-মা। তারা ফিরে যাওয়ার সময় শিশুটিও তাদের সঙ্গে বাড়ি যেতে বায়না ধরে। এমনকি সে মায়ের পেছন পেছন ছুটেও যায় কিছুটা পথ। এর চেয়ে গুরুতর অপরাধ আর কী হতে পারে? তাইতো এই অপরাধের শাস্তি দিয়েছে, এতে আপনারা রেগে যাওয়ার কি আছে! জানেন না, মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেদের বাড়ি যেতে বায়না ধরতে নেই, তাদের মা-বাবা নেই! তাদের কাছে শুধুই হুজুর আছে, এবং তাদের শরীর আছে যে শরীর হুজুরের মার খেয়ে বেহেস্তে যাওয়ার জন্য!
আমাদের দেশে মোল্লা মৌলভীরা যতই খারাপ হোক ও যতই খারাপ কাজ করুক। কিছুই বলা যাবে না, কিছু কইলেই আপনে কাফের আর না হয় দোযখী অথবা নাস্তিক! কারণ হুজুররা সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বড়(নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক) বলে মনে করে আমাদের অন্ধত্ব ধার্মিকরা!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১০