ভারতীয় টিভি চ্যানেলের রিপোর্টের জেরেই বরখাস্ত হওয়া বাংলাদেশী আম্পায়ার নাদির শাহ কলকাতায় বসে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে। এখানে সেই সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুনিয়ায় বিতর্কের ঝড় তুলে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন কলকাতা শহরের বুকেই। অনেক কষ্টে রাজি করানো গেল সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য। তিনি- বাংলাদেশী আম্পায়ার নাদির শাহ। স্টিং অপারেশনের জেরে, ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে আপাতত ক্রিকেট দুনিয়া থেকে বহিষ্কৃত। বাইপাসের ধারে গভীর রাতে মোটরবাইক চেপে হাজির হলেন আনন্দবাজারের দুই রিপোর্টার সাক্ষাৎকারের জন্য।
প্রশ্ন: এত রাতে বিদেশের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনার নিরাপত্তা তো যে কোন মুহূর্তে বিঘ্নিত হতে পারে?
নাদির শাহ: শুনুন, আমি ডরপোক নই। এই পৃথিবীতে কাউকে ভয় পাই না।
প্রশ্ন: ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের পর আপনি তো গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।
নাদির: বুঝলাম। কিন্তু অভিযোগটা কি প্রমাণ হয়েছে? প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু দোষী নই। আইন তো সেটাই বলছে।
প্রশ্ন: টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, আপনি বুকি সাজা সাংবাদিকের সামনে বসে বলছেন, অর্থের বিনিময়ে যে কোন ম্যাচ গড়াপেটা করতে প্রস্তুত। এও বলেছেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এ অনেক ম্যাচ গড়াপেটা হয়। যেখানে পাকিস্তানের নাসির জামশেদের মতো ক্রিকেটার জড়িয়ে।
নাদির: পুরোটাই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
প্রশ্ন: একটু খুলে বলুন।
নাদির: জুলাইয়ের মাঝামাঝি একদিন আমার এজেন্টকে জনৈক আমের ফোন করে বলে, শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লীগে আম্পায়ারিং করার জন্য দিল্লিতে ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার পর ওরাই আমাকে গড়াপেটার প্রস্তাব দেয়। তখন ব্যাপারটা না বুঝে কথা বলে গিয়েছি। ওদের মতলবটা বুঝতে পারিনি। আর জামশেদের কথাটা বলেছিলাম কাগজে ও রকম অভিযোগ বেরিয়েছে বলে। সেদিন বিকালেই ঢাকা ফিরেছি। পরদিন বুঝতে পারি ওরা আমাকে ফাঁসিয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি ৪০টা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়েছেন। এত অভিজ্ঞ। তারপরও ফাঁদে পা দিলেন কিভাবে?
নাদির: পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়েছিলাম।
প্রশ্ন: যখন স্টিং অপারেশনের ফুটেজ সমপ্রচার হচ্ছে, তখন কোথায় ছিলেন?
নাদির: সাউথ সিটিতে বসে বরফি দেখছিলাম। হঠাৎ ঢাকার এক বন্ধুর ফোনে খবরটা জানতে পারি।
প্রশ্ন: কেঁপে গিয়েছিলেন?
নাদির: কেন? আমি তো নির্দোষ। এই তো বাইকে করে কথা বলতে এসেছি। গাড়িও নেই। ক্রিকেট জুয়ায় থাকলে গাড়িটা অন্তত আমার থাকতো।
প্রশ্ন: এই ঘটনার পর আম্পায়ারদের গায়ে কি দাগ পড়ে গেল?
নাদির: আপনাদের আজহার, জাদেজার নামেও অভিযোগ রয়েছে। তাতে ভারতের ক্রিকেট কলুষিত হয়েছে?
প্রশ্ন: আপনি ব্যবস্থা নেবেন?
নাদির: দেশে ফিরে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
প্রশ্ন: আপনার এজেন্টের নামটা কী?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই বাইকে উঠে রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন নাদির।
সূত্র:এখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




