somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খেজুরের রস; সে যেন এক বিভীষিকা!!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি: ঢাকা-টাইমস
এক, দুই, তিন, সে অনেক বছর আগের কথা যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি; আমি তখন রস খাদক ছিলাম, যাকে বলে 'খেজুরের রস'। আমি এতটা'ই রস খাদক ছিলাম যে আমি আমার বড় আম্মার কাছে বকা খেতাম নিয়মিত - "এত রস খাই কেন, বেশি রস খেলে পেটে কৃমি হবে, কুমির হবে", ইত্যাদি বলতেন। ( ছোট সময়ে আমি আমার বড় চাচিকে বড় আম্মা বলে ডাকতাম; এখন অবশ্য চাচি ডাকি ) সে সময় আমাদের বাড়িতে ৩৫ টির মত খেজুর গাছ ছিল: রস জ্বাল দেয়া, গুড় বানানো এসব দায়িত্ব উনার উপরেই ন্যস্ত ছিল, সে জন্য ভোর থেকে আমি উনার পিছনেই ঘুর ঘুর করতাম। গাছ থেকে নামানোর পর ঠান্ডা রস, চুলায় দেয়ার পর গরম রস, একটু জ্বাল দেয়ার পর চৌরস, এবং গুড় বানোর সময় গুড় খেতাম; ধাপে ধাপে এবং কিছুক্ষণ পর পর খেতাম। হাঁড়ি থেকে রস ঢালার সময় যে ছাকনি ব্যবহার করা হতো তাতে কিছু রসের ফেনা জমা হতো আমি তা হাত দিয়ে চেটে চেটে খেতাম, হাঁড়ির নিচে যে অল্প কিছু রস বাকি থাকতো হাঁড়ি উপুর তা ফুটায় ফুটায় খেতাম। এসব দেখে আমার আম্মা মানে আমার আসল মা আমাকে মাইর দিতেন - ছি! ছি! জ্যাক তুমি এসব কি খাচ্ছো, রসের মধ্যে পাখিতে হাগু করে, ছাকনিতে পোকা থাকে, হাঁড়ির তলায় ময়লা থাকে, আমি কেন এসব আজেবাজে রস খাচ্ছি এসব বলে আমাকে শাসাতেন। কিন্তু আমি এসব শাসন বারণ কিছুই মানতাম না সুযোগ পেলেই রস খেতাম, দিনে যখন গাছে হাঁড়ি থাকতো না তখন যে ফোঁটা ফোঁটা রস পরতো সেখানে জিব্বাহ পেতে রাখতাম, হা করে থাকতাম, হাত পেতে রাখাতম এবং হাত থেকে তা চেটে চেটে খেতাম, এসব করতে গিয়ে পুরা শরীর রসে ভিজে যেতো চুল আঠালো হয়ে যেতো, কাপড় চোপড় নষ্ট হতো, শরীর নোংরা হয়ে যেতো; এসবের কারণে প্রতিদিনই আব্বা, আম্মার বকা ঝকা শুনতে হতো, মাঝে মাঝে পিটুনি পরতো। কিন্তু আমাকে থামায় কে; আমার রস খাওয়া চাই, রস যে আমাকে খেতেই হবে, যে করেই হোউক। B-)


ছবি: একুশে টিভি
সন্ধার পর আমরা কয়েকজন মিলে গাছে উঠে চুরি করে রস খেতাম, পাট খড়ি দিয়ে হাঁড়ি থেকে চুমুক দিয়ে খেতাম, ৪/৫ জন বন্ধু মিলে নিজেদের গাছেই রস চুরি করে খেতাম। তিন দিন গাছ কাটতো আর তিন দিন বিরতি দিতো, উক্ত বিরতির সময় গাছ থেকে টক রস রের হতো আমি নিচে হাড়ি বসিয়ে রাখতাম এবং সে টক রস খেতাম =p~ । আরো আনেক কিছুই করতাম সব লিখতে গেলে পোস্ট বড় হয়ে যাবে। এত কিছু বলার উদ্দ্যেশ্য হলো, আমি ছিলাম এক বি-শা-ল রস খাদক তা আপনাদের বুঝানো।


ছবি: কুমিল্লা ডট কম।

******* যে কারণে আমার খেজুরের রস খাওয়া চিরতরে বন্ধ হয়ে গেলো!! *****
একবার শীতের পিঠা উৎসবে আমাদের বাড়িতে আত্নীয় স্বজনের সমাগম হলো: মামাতো, ফুফাতো ভাই-বোনরা সব একসাথে হলাম সে কি আনন্দ!! আনন্দ আরও বেড়ে গেলো যখন আমরা কয়েকজন কাজিন মিলে বুদ্ধি করলাম আজ সন্ধায় পাট খড়ি দিয়ে গাছে উঠে চুরি করে রস খাবো, চুরি করে রস খাওয়াতে যে কত্ত মজা.. হাঃ হাঃ :D


ছবি: লাইভটিভি২৪

যেই বলা সেই কাজ, সন্ধায় আমরা কয়েকজন চুপি চুপি গেলাম বাগানে, হাতে পাট খড়ি নিয়ে চুরি করে রস খেতে। ( নিজেদের গাছ অথচ 'চুরি' বলছি এজন্য যে, যেহেতু ছোট ছিলাম তাই আমাদের গাছে উঠা ছিল একদম নিষেধ, যদি হাত পা ভাঙ্গি তাই, যে কারণে চুরি করেই গাছে উঠতাম রস খেতে। সেই বয়সে আমি যে এত বড় বড় গাছে উঠতে পারতাম তা আমার আব্বা, আম্মা জানতেন না, আমি কখনোই তাদের সামনে গাছে উঠিনি বা আমাকে উঠতে দেয় নি। ) সেদিন প্রচুর পরিমাণে রস খেলাম, যাকে বলে একদম পেট পুরে। রস খাওয়ার পর বাড়িতে এসে সবাই টিউবওয়েল পারে গেলাম হাত-পা ধুঁতে, কাজিনরা হাত-পা ধুচ্ছিল আর আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার সিরিয়ালের অপেক্ষায়। হঠাৎ আমার কেমন জানি গা ঝিম ঝিম করা শুরু করলো, পেট মোচড়ে উঠলো, সহ্য করতে না পেরে গল গল করে বমি শুরু করে দিলাম, পুরো পেট খালি হয়ে গলো। বমি করার সময় নাকে কেমন যেন একটা উৎকট গন্ধ আসছিলো। কোন মতে হাত-পা ধুঁয়ে ঘড়ে ঢুকলাম এবং রাতের খাবারের পর আবার বমি করলাম, খেজুরের রসের কথা মনে হলেই তখন কেমন যেন একটা বিতৃষ্ণা লাগা শুরু হলো X((

পরদিন সকালে- কাক ডাকা ভোরে কাজিনরা সব উঠে হই চৈ শুরু করে দিলো রস পারবে রস পারবে বলে, গাছি ( যে লোক খেজুরের গাছ কেটে রস বের করে ) সব গাছ থেকে রস নামিয়ে বাড়ির উঠানে জড়ো করতে থাকলো আর সব কাজিনরা সেখানে ভিড় করতে থাকলো হাতে গ্লাস নিয়ে, রস খাবে তাই। সবাই বেশ উৎফুল্ল ছিল রস খাবে বলে, কিন্তু সেখানে আমি নেই, আমি দিব্যি শুয়ে আছি; রসের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ হলো না সেদিন। রসের কথা মনে হলেই যেন আবার বমি চলে আসে এমন একটা অবস্থা। রসের হাঁড়ির চারপাশে সবাই; অথচ সেখানে আমি নেই, বিষয়টি ছিল এক অ-কল্পনীয় ব্যাপার যেখানে সবার আগে থাকার কথা ছিল আমার; অথচ আমি'ই সেখানে নেই। অনেকের ভিড়েও বিষয়টি আমার বড় আম্মা বা চাচি খেয়াল করলেন, তিনি'ই আমাকে প্রথমে জ্যাক জ্যাক বলে ডাকতে শুরু করলেন "জ্যাক কোথায় তুমি, রস শেষ হয়ে গেলো, কোথায় তুমি, জ্যাক তাড়াতড়ি আসো, কাউকে তিনি বললেন, জ্যাক কোথায় গেছে ওকে যে দেখছি না, ওকে ডাকো কি হলো আজ ওর, ও কি আজ রস খাওয়া ভুলে গেছে, নাকি বাড়িতে আত্নীয় স্বজন দেখে লজ্জা পাইছে, ইত্যাদি বলে" -তার কন্ঠস্বর যেন এখনো আমার কানে বাজে। আমার কোন এক কাজিন আমার বিছানার কাছে এসে আমাকে ডাকতে লাগলো, রস খাবো কি না, আমি বললাম না আজকে আমি রস খাবো না, সেদিন আমি রস খেলাম'ই না।


তার পরের দিন সকালে- একই কাহিনি, সবাই রসের কাছে যায়, রস খায় কিন্তু আমি রসের ধারে কাছে নেই, রসের কথা মনে হলেই যেন আমার নাকে বমি করার সময় সেই উৎকট গন্ধ চলে আসে। পরের দিনও আমি রস খাইনি বলে সবাই ভেবেছিল আমি হয়তো রাগ করে রস খাচ্ছি না, হয়তো রস খাওয়া নিয়ে কারো সাথে আমার অভিমান হয়েছে; তাই আমার চাচি আমার জন্য এক গ্লাস রস রেখে দিয়েছিলেন পরে খাবো বলে, সেদিন দুপুরে চাচি উক্ত রস আমাকে খেতে দিলে আমি অল্প একটু চুমুক দিয়েছিলাম রসে কিন্তু আর খেতে পরিনি, চাচিকে বললাম নাহ রস ভালো লাগছে না আমার, আমি খাবো না। তিনি বললেন- "ছেলের অভিমান দেখো, আম্মা একটু রাগ করছে তাই রস খাওয়াই ছেড়ে দিতে হবে" উনার কথা বলার মাঝেই আমি আবার বমি করা শুরু করলাম নাকে আবার সেই উৎকট গন্ধ। আব্বা, আম্মা ভাবলেন পেটে কৃমি হয়েছে হয়তো তাই সেদিন রাতে কৃমির ওষুধ খাওয়লেন এবং বললেন- "আগামী তিন দিন রস খাওয়া চলবে না, রস খেলে কৃমির ওষুধ কাজ করবে না"। তিন দিন পরেও আমি রস খেতে পারলাম না বা রসের প্রতি অনিহা রয়েই গেলো। তারও কিছুদিন পরে আমি নিজেই এক গ্লাস রস নিয়ে একটু চুমুক দিলাম দেখি খেতে পরি কি না, কিন্তু না!! আবার সেই একই কাহিনি, একটু রসে চুমুক দিলেই নাকে সেই উৎকট গন্ধ এবং আবার বমি |-) । তারপর থেকে আমি রস খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম, বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ালো খেজুরের রসের গন্ধ শুকলেই আমার বমি চলে আসে, আমি আর সে ঋতুতে এক চুমুক'ও রস খেতে পারলাম না।

পরের শীত ঋতুতে আমার রসের প্রতি কোন আগ্রহ'ই থাকলো না, বয়স বারার সাথে সাথে বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন জয়গায় যতবার আমি কাঁচা খেজুরের রস খেতে গিয়েছি তত বারই বমি করেছি। একসময়ের আমার এত পছন্দের একটা পানীয় 'খেজুরের রস' সময়ের পরিক্রমায় তা যেন হয়ে উঠলো এক বিভীষিকার নাম।

সেই যে আমার রস খাওয়া বন্ধ হয়েছে আর কোনদিন রস খেতে পারি নি বা ইচ্ছে জাগেনি, অথবা যতবার ট্রাই করেছি তত বারই বমি করেছি এবং মানুষের কাছে বিব্রত হয়েছি। পোস্ট ছোট করার প্রায়াসে অনেক কিছুই এড়িয়ে গিয়েছি, ছোট একটি ঘটনা লিখতে গিয়ে এত বড় পোস্ট হয়ে যাবে তা আগে ভাবিনি, তাহলে পোস্ট লিখতামই না।

সর্বশেষ অবস্থা - এবারের শীতকালটা আমি গ্রাম গঞ্জেই কাটাচ্ছি, বহু বছর পর কয়েকজনের অনুরোধে এবার অন্তত দুই বার খেজুরের রস খাওয়ার ট্রাই করেছিলাম এবং দুই বারই বমি করেছি, যদিও বমিটা করেছি লুকিয়ে লুকিয়ে; কাউকে দেখতে দেইনি। সবার পছন্দের এমন একটা পানীয় যা পান করলেই আমি বমি করি বিষয়টা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর, অথচ এই পানীয়টা'ই ছিল আমার এক সময়ের সবচেয়ে প্রীয় পানীয়। আমি যে এখন আর খেজুরের রস খেতে পারি না বিষয়টা অনেকেই অন্যভাবে নেয়, মনে করে আমার Germaphobes বা সূচি বায়ূ আছে।

বাই দ্যা ওয়ে: আমি কিন্তু একজন মিষ্টি খাদক, এই পোস্ট লিখা শুরু করার আগেও আমি আঁধা কেজি রসগোল্লা সবার করে তারপর লিখা শুরু করেছি। সব ধরনের মিষ্টি খাবার'ই আমার পছন্দ, এক কেজি রসগোল্লা বা চমচম আমার কাছে কোন ব্যাপারই না B-) । আমি রীতিমত মিষ্টি জাতীয় খাবারে এডিক্টেড, শুধু খেতে পরিনা ওই খেজুরের কাঁচা রস, তবে আমি খেজুরের গুড় চিবিয়ে খেতে পারি, খেজুরের জ্বাল করা ঘন রস কয়েক গ্লাস খেতে পারবো, খেজুরের গুড়ের তৈরী যে কোন পিঠা, পায়েস স্বাচ্ছন্দে খেতে পারি। গ্লাসের পর গ্লাস আখের রস খেতে পারি; তাই আমাকে একজন মিষ্টি খাদক বলা যেতেই পারে।

শেষ কথা- আমি ঠিক জানিনা খেজুরের রসের সাথে আমার কি হলো বা এর পিছনে সঠিক কারণই বা কি। তবে আমার মনে হয়, সেদিন সন্ধায় চুরি করে পাট খড়ি দিয়ে হাঁড়ি থেকে রস খাওয়ার সময় কোন না কোন একটি ভাইরাস জাতীয় কিছু একটা আমার পেটের ভিতরে ঢুকেছিল তারপর তা আমার রক্ত, মগজে মিশে গিয়ে আমার ডিএনএ কে'ই চেঞ্জ করে দিয়েছে বা কিছু অংশ রি-রাইট করে দিয়েছে যে কারণে পছন্দের একটি পানীয় আজ আমার জন্য হয়ে উঠেছে বিভীষিকাময়। আমাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখতে পারে ঠিক কোন ভাইরাসটি আমার ডিএনএ কে রি-রাইট করলো, তারপর উক্ত ভাইরাসের উপর গবেষণা করে পুরা মানব দেহের ডিএনএ কে রি-রাইট করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক বিপ্লব ঘঁটিয়ে দিতে পারে। LOL =p~

ভালো থাকবেন সবাই, আমি আর জীবনেও পোস্ট করবো না; পোস্ট করা একটি কষ্টসাধ্য কাজ।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×