somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু প্রশ্ন???

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সীমিত ক্ষমতা নিয়ে কতদূরে তাকানো যায়। তাইতো ভয় লাগে। তবুও পেছনে যাওয়া মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলেও, এখন বা পরবর্তীতে সে সামনে এগোতে বাধ্য হয়। তাই বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, তাই ভয় কাটিয়ে কিছু প্রশ্ন ও আমার মতামত তুলে ধরলাম। ভুল হলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন ও সংশোধন করে দিলে খুবই খুশি হব।
Q: আমরা সবাই রাজনীতির কাছে বন্ধি হয়ে আছি, কখনো কি মুক্তি পাবো না?
মুক্তির রাস্তা আছে তো, কিন্তু আমি বা আপনি আসলে ওইদিকে যেতেই চাই না। every freedom comes through struggle, sometimes even through fight and for that one must have proper reason which we don't have. রাজনীতিটাকে নীতিভ্রষ্ট হতে না দিলেই কিন্তু মুক্তি মিলে যাবে। কিন্তু কথা হচ্ছে কাকে বাদ দিয়ে কার জন্য এই কঠিনতম কাজটা করবেন যার শুরু হয়ত আপনি করে যাবেন, কিন্তু তার সফলতা দেখে যেতে পারবেন কিনা নিশ্চিত করে বলা যায় না। দেখে যেতে পারেন বা না পারেন, কথা হচ্ছে কার জন্য করবেন। কে সেই নীতি ঠিক রাখার মত গুরু দায়িত্ব বহন করবে। কার ছত্রছায়ায় এই কাজটি সম্পাদিত হবে। মুক্তির রাস্তা ঠিকই আছে, নেই ওই রাস্তায় চলার জন্য উপযুক্ত কারণ, উপযুক্ত সাথী। দূর্নীতি বা সুবিধানীতি যাই বলেন না কেন, এই জীবাণু আমার দেশের প্রতিটা বীজে মিশে আছে। এখন ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হওয়ার দশা আমাদের। তাই বলে কি মুক্তির চেষ্টা করব না, অবশ্যই করব। আপনি আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তির শিক্ষা দিন, অন্যদেরও দিতে বলুন। হয়ত এমন একদিন আসবে যে সবাই মুক্তির শিক্ষায় শীক্ষিত হয়ে যাবে, তবে যদি রাজনীতির নীতি ঠিক করা যায়। নতুন করে সবকিছু আবার শুরু হবে। আরেকটা বাংলাদেশের জন্ম হবে। কোন কিছু জনসাধারণের একাংশ নিয়ে সফলভাবে সম্পাদন করা যায় না, এর বহু নজির আছে। তাই সবাইকে লাগবে এবং তা করতে হলে সবার মুক্ত চিন্তা করার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে যেটার খুব অভাব আমার দেশে। কেউ মাথা খাটাতে রাজি না, কিন্তু অনুসরণ করতে রাজী। আগে অবশ্য তাও ছিল না। তাই ভাল লাগে এটা দেখে যে, সামনে একটা ভাল সময় হয়ত অপেক্ষা করছে যা তৈরী হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাত দিয়ে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের জন্য কাজটা যত সহজ করে দেয়া যায়। স্বপ্নটা বুনে দিতে হবে বা বুনে যেতে হবে যাতে অতীতটা হারিয়ে না যায়। যাই হোক, অনেক বাহুল্য কিছু বলে ফেললাম। আশা করি প্রয়োজনীয় কথাগুলো খুঁজে নিয়েছেন। ভাল থাকবেন। নিজের শেকড়টাকে ভুলে যেতে দেবেন না, তাহলে কিন্তু স্বাতন্ত্র কিছুই আর থাকবে না। সব ফলের একই স্বাদ হলে কি আর চলে? 'আমি গাই, ঘরে ফেরার গান...' এই গানের দলটি কেন যে গান ছেড়ে দিল, মনে হচ্ছে তাদের এই সময় গান গাওয়ার খুব দরকার ছিল। সে অন্য কথা, যাই হোক, ভাল থাকবেন। হাল ছেড়ে দিলে কি আর তীরের দেখা মিলবে?
Q: রাজনীতিবিদদের কাছ থেকেও সুস্থধারার রাজনীতি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে কেন?
রাজনীতি কি আপনার প্রোফেশান? না, এটা আপনার খুব জোর গেলে হয়ত passion হবে। আবার সচেতনতা দিয়ে এটাকে মুড়ে রাখেন অনেকে। যাই হোক, নীতিভ্রষ্ট কেন রাজনীতি। তার উত্তর কিন্তু দিয়ে ফেলেছি। কখন, কোন একটি প্রফেশান-এর কোয়ালিটি বৃদ্ধি পায়? যখন সব প্রজন্মই ওই প্রোফেশানটাতে আগ্রহী হয়। যেমন যারা ব্যাংকার, তাদের কথাই ধরেন। এক সময় ব্যাংকের সার্ভিস আর এখনকার ব্যাংকের সার্ভিস ফার ফার ডিফারেন্স। কিন্তু সেই সাথে সরকারী ব্যাংকগুলোরও উন্নতি হয়েছে কিন্তু তুলনা করলে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না, কারণ নতুন প্রজন্মের অভাব। সো, যেহেতু নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছে না, তাই পুরোন প্রজন্ম এখনও আধুনিক চিকিৎসা ফেলে ঝাড়-ফুক দিয়ে যাচ্ছে কারণ তারা তাই দিয়েই একসময় জ্বর ভাল হয়ে যেতে দেখেছেন। মানুষ মরতেও দেখেছেন কিন্তু বিশ্বাস দূর্বল ছিল বলেই এরকম হয়েছে জেনেছেন। তাই চাই নতুন প্রজন্মের আগমন। হয়ত তবেই রাজনীতি ধীরে ধীরে জ্বর মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে, আমার দেশটা আবার তার পুরোন সৌন্দর্য ফিরে পাবে। দোষটা তো আসলে নতুন প্রজন্মের আর কারো নয়। হাহাহাহাহা...সেই নদী তীর, হাওয়া ঝিরঝির...আমরা সবাই সেই দেশ খুঁজি, কিন্তু সেই দেশতো হারিয়ে গেছে। তাই চাই নতুন কিছু, নতুন রূপে ঢাকা বাংলাদেশ। তাই রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, এই প্রফেশানটার প্রতি আমাদের উদাশীনতাই এক্ষেত্রে দায়ী। আস্তে আস্তে ঘোর কাটছে, তাই হয়ত একটা সময় এই প্রফেশানটাও ব্যাংকের মতই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কেউ হয়ত পড়াশোনাই করবে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার জন্য। আশা করি সেইদিন আর বেশি দূরে নয়। ভাল থাকবেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখুন, তারাই এখন ভরসা। ভুল সবাই করে, ভুলকে ভুল বলা সহজ, যা আমরা অনলাইনে করি, কিন্তু শুদ্ধ করার কাজটা কে করতেছে? হাহাহাহা...চায়ের কাপে পরিচয় তোমার সাথে, তাই চায়ের কাপে ঝড় তোলাই আমাদের মাথায় সবার আগে আসে এবং ওই পর্যন্তই সব থেকে যায়...হাহাহাহা...ভাল থাকবেন।
Q: জাতীয় নির্বাচনে 'না ভোট' দেওয়াকে কতটা যৌক্তিক মনে করেন? 'না ভোট' কি নির্বাচনের ফলাফলে কোনরূপ পরিবর্তন আনতে পারে?
‘না ভোট' ব্যাপারটি আমার কাছে খুব কনফিউজিং একটা জিনিস বলে মনে হয়। কোন কারণে যদি 'না ভোট' 'হ্যাঁ ভোট'-এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে ওই নির্বাচন-এর ফলাফল কি হবে? তখনতো কোন দল সরকার গঠন করতে পারবে না, কিন্তু কিভাবে তখন দেশ চলবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে, নাকি আবার নির্বাচন হবে। এখন আবার নির্বাচন হলে, সেটা কখন হবে? সাথে সাথে যদি হয়, সেক্ষেত্রে যারা না ভোট দিয়েছেন তারা কি হ্যাঁ ভোট দিবেন? আমার তো মনে হয় না, তাই সময় ও দেশের অর্থ অপচয় করে ফ্রুটলেস একটা কাজে সায় দিয়ে, আমরা কি রাজনীতিবিদদের থেকে খুব আলাদা কিছু করলাম? তাহলে না-ভোটের ইমপেক্টটা কি? যদি এমন হয়, না-ভোট জয়যুক্ত হলে ওই আসনের দায়িত্ব এক দল সচিব(যাদের সিলেক্ট করবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জননির্বাচিত প্রতিনিধিরা মিলে) গ্রহণ করবেন এবং ২ বছর পর সেই আসনে আবার নির্বাচন হবে। এবং এভাবে যদি অধিকাংশ আসনে না-ভোট জয়যুক্ত হয়, তাহলে মূল সরকার গঠন করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা এক দল সচিব (যা আমরা এই সরকারের আগে দেখেছি) এবং জন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের আন্ডারে থাকবেন। ২ বছর পর আবার সকল না-ভোট জয়ী আসনে নির্বাচন হবে এবং এভাবেই প্রতি ২ বছর পর নির্বাচন হবে যতদিন পর্যন্ত না কোন দল একক বা সম্মিলিত সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করে। যখন সেই সংখ্যাগরিষ্টতা আসবে, তখন সচীব সরকার বাতিল হয়ে দলীয় সরকার গঠন হবে এবং যে সব আসনে তখনো না-ভোট জয়ী থাকবে, সেখানকার দায়িত্ব সচিব দলের হাতে থাকবে ও প্রতি ২বছর পর পর সেখানে নির্বাচন হবে। এতো গেল কল্পনা। বাস্তবে আসি, আমার দেশের রাজনৈতিক সচেতনতা নির্ভর করে দলের অতীতের উপর, যেমন-মুজিব কে ভালবাসে বলে আওয়ামি লীগ করে, জিয়াকে ভালবাসে বলে বিএনপি করে এবং চোখ বন্ধ করে ফলো করে। রাজনৈতিক অন্ধত্ব আমাদের হিতাহিত জ্ঞান শূন্য করে দিচ্ছে। এখানে কি না-ভোটের যথার্থ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে? বরং এতে জণগণ ও রাজনীতিবিদ দুটি ভাগে দেশটা বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হবে বলে মনে হয়। তবে হ্যাঁ, রাজনৈতিক সচেতনতা যদি মুক্ত চিন্তার অনুসারী হয় এবং জনগণ যদি নিজের ভাল-মন্দ তথা দেশের ভাল-মন্দ যাচাই করতে পারে, তবেই না-ভোট তার প্রয়োজনীয় অবদান রাখতে পারবে। আমাদের দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে খুব স্বার্থপর হতে হবে আর এর জন্য জনগণের পক্ষে আরেকটি শক্তি দাড় করাতে হবে। এবার তা সচিব দল হোক বা জুরিবোর্ডের মত কিছু একটা হোক। যারা রাজনীতিবিদ নন কিন্তু এর পেছনে কাজ করবেন বা করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×