খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার বলেছে, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে এবং তারপর আদালতে আবেদন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা এই সব মেনে নিয়েছেন এবং নানা রকম বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বুদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিএনপি বরাবরই আওয়ামী লীগের তুলনায় পিছিয়ে। - এটা একজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ হিসাবে আমার মুল্যায়ন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা যদি বলতেন, "ঠিক আছে খালেদা জিয়া আবার জেলে যাবেন, তিনি জেল থেকে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে আবেদন করবেন, এই মুহুর্তে তিনি সারেন্ডার করলেন।"
একজন মুমুর্ষ রোগীকে সরকার কিভাবে আইসিউর বেড থেকে কারাগারে নিতো, সেটা পুরো বিশ্ব দেখত। প্রতিটি মানুষ একদিন মারা যাবেন, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া সবাই একদিন স্বাভাবিক নিয়মেই হয়ত মারা যাবেন।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে, এই সরকারের অধীনে খালেদা জিয়ার মৃত্যু হলে কার্যত তিনি এক ধরনে অমরত্ব লাভ করবেন। তা হয় ব্যক্তি খালেদার প্রাপ্য কিংবা যোগ্যতা চাইতেও বহু গুন বেশি।
সেই অমরত্বের প্রভাব কাটিয়ে উঠা হবে এই সরকারের জন্য অসম্ভব। ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে পতিত হয়ে বা নিশ্চিহ্নের মাধ্যমেও হয়ত সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে না অনাগত দিনগুলোতে।
শেখ হাসিনার জন্য দুঃখ লাগে, তাঁকে ভালো ও সঠিক পরামর্শ দেয়ার মত আশে পাশে কেউ নেই। তিনি সম্ভবত চলে গেছেন পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে।