somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জাদিদ
তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

বাজারে সবজির দাম কেন এত চড়া?

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ সরকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখাপড়া জানা মানুষের চাইতে 'হরিদাস পাল' বিষয়ে লেখাপড়া করে আমলা হওয়া মানুষের মতামতের গুরুত্ব বেশি। এর সাথে যুক্ত হয় রাজনৈতিক চাপে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা যার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে 'চাঁদাবাজি'। পুলিশকে সামান্য একটি ভাগ দিয়ে পুরো চাঁদাবাজির বিষয়টি পুলিশের উপর চাপানো হয়। কিছু অসৎ শ্রেনীর পুলিশ কর্মকর্তার কারনে পুরো সিস্টেমটি এখানে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

অতীতে এই বিষয়টিকে যখন আমরা সরকারের অব্যবস্থাপনা হিসাবে চিহ্নিত করেছি, তখন সেই বিষয়টি দেখা হয়েছে সরকারের শত্রু হিসাবে। বর্তমানেও তার ব্যতিক্রম নেই। সম্ভবত এটা ভবিষ্যতেও হবে। এই বিষয়ে সবচেয়ে ভালো ভুমিকা রাখে প্রতিটি সরকার পক্ষের দলান্ধ অ্যাক্টিভিস্টরা। কিছুদিন আগে একটি নৈতিক বিষয়ে এক শ্রেনীর অ্যাক্টিভিস্টদের শো ডাউন দেখে মনে মনে হাসি পেয়েছে আবার কষ্টও লেগেছে। দল আগে, দেশ নয়।

আজকে বাজারে প্রতিটি সবজির দাম মধ্যবিত্ত পরিবারের মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে। স্থানীয় বাজারে যদি কেজিতে ৫/১০ টাকা বেশি বিক্রি হয়, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আঞ্চলিক বাজারের সাথে আমাদের স্থানীয় বাজারের পার্থক্য ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।

বাজার মনিটরিং হিসাবে সরকার যা করছে তা সত্যি বলতে অর্থহীন। আপনি শুধু বিভিন্ন খুচরা বাজারে ঘুরে ঘুরে পন্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না। এই মনিটরিং এর আওতায় একটি স্বতন্ত্র বিভাগ থাকা উচিত যারা পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সকল সমস্যা চিহ্নিত ও প্রতিরোধে কাজ করবে। আপনাকে নজরদারীতে আনতে হবে এই সংশ্লিষ্ট সকল পাইকারী বাজার। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে স্থানীয় সিন্ডিকেট, রাস্তাঘাটের চাঁদাবাজী ও পরিবহন মালিকদের সিন্ডিকেটদের। এইগুলো বেসিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রসিডিউর। এই সব ব্যাপার আমার মত একজন মোটামুটি মুর্খ মানুষ বুঝতে পারলে সরকারের উপরে বসা মানুষগুলো কেন বুঝতে পারবে না?

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির ভুমিকা ছিলো প্রায় ৩৮%। সেটা এখন কমে এসে ১১% এ হয়েছে। আমাদের সরকারগুলো বিভিন্ন সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে জোর দেন, কিন্তু কৃষিজ পন্য এর উৎপাদন এর ব্যাপারে তেমন কোন এফেক্টিভ প্রকল্প না নেয়ায় প্রতি বছর বহু কৃষি পন্য আমাদেরকে আমদানী করে আনতে হয়। কৃষি মন্ত্রনালয়ের সুত্র অনুসারে, বাংলাদেশে মোট চাষযোগ্য জমি আছে ৭.২৯ মিলিয়ন হেক্টর। সরকারী হিসাবে চাষের আওতায় আসে নাই এমন জমির পরিমান হচ্ছে প্রায় ৪.৩১ লক্ষ হেক্টর। কিন্তু বেসরকারী হিসাবে দেখা যায় দেশের চাষযোগ্য জমির মধ্যে প্রায় ৪০% জমি এখনও কৃষির আওতায় আসে নাই বা কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে না। টাকার হিসাবে যার আনুমানিক একটা গড় হচ্ছে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত ২০ বছরে বাংলাদেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।


আমি আগেই বলেছি আমি কৃষি বিষয়ে কোন কর্মী নই। শ্রেফ আগ্রহের বসে কিছু পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে এই ভয়াবহ রেজাল্ট পেয়েছি। যারা বিশেষজ্ঞ তারা হিসাব করলে এই সংশ্লিষ্ট চিত্র আরো বাস্তবসম্মত এবং ভয়াবহ হতে পারে।

তবে দিনশেষে যা বুঝলাম, কৃষিপ্রধান একটি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে এভাবে অবহেলা করা হয়—এমন উদাসীনতা হয়তো বিশ্বের আর কোনো দেশে দেখা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
১২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×