বিএনপির রাজনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা নিজ দলের বুদ্ধিজীবিদের মুল্যায়ন করেন না তারা মুল্যায়ন করে সকল উগ্রবাদী ভাড়া খাটা বুদ্ধিজীবিদের। গত কয়েক বছরে বিএনপির পক্ষে কথা বলা যে সকল অ্যাক্টিভিস্ট জেলে খেটেছে, জুলুমের শিকার হয়েছে তাদের সামান্য ধন্যবাদ দিয়েই দল কাজ সেরেছে। যারা দলকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে তাদের কোন 'বেইল' নাই।
৫ ই আগষ্টের কলাকুশলীদের সম্পর্কে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাকে শো কজ করা হয়েছে। তার কথার একটা বড় অংশ তো মিথ্যা নয়। আওয়ামী সরকার পতন হবার পর দেখা গেল - ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে অতি ছাত্রলীগ হয়ে উঠে মানুষকে জুলুম অত্যাচার করা একটা বড় অংশ ছাত্র শিবিরের। সাদিক কায়েম থেকে শুরু করে সবাই।
আমরা যারা এই আন্দোলনের স্বপক্ষে ছিলাম আমরা কখনই আওয়ামী ন্যারেটিভ হিসাবে এই আন্দোলন জামাত শিবিরের আন্দোলন তত্বকে মেনে নিই নি কারন আমরা সবাই চেয়েছি একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটুক, একটি মাফিয়া তন্ত্রের অবসান ঘটুক। সবচেয়ে বড় কথা ততদিনে ততদিন আওয়ামী লীগ মিথ্যেবাদী রাখালে পরিনত হয়েছে। শেষ মেষ যখন বাঘ আসলো তখন আর কেউ বিশ্বাস করলো না। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
মুল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু তিনি যা বলেছেন সেটার জন্য যদি মবের শিকার হতে হয়, তাহলে সেটার প্রভাব হবে ভয়াবহ! আশা করি এই বেহুদা কাজটি ইন্ট্রেরিম সরকার হতে দিবে না।
আমার বক্তব্য খুবই সুস্পষ্ট - মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, ১৯৭১ নিয়ে যাদের চুলকানী আছে, যারা আমাদের বীরশ্রেষ্ঠকে গাদ্দার বলে - তাদের আমি ঘৃণা করি, তাদের মুখে আমি থুতু দিই, আজন্ম দিয়ে যাবো। আমি আওয়ামী জাহেলিয়াত নিয়ে উচ্চকন্ঠ থাকব কিন্তু এই নয় আমি শুয়রের সাথে সহবাসের ফতোয়াকে স্বীকার করব।
এই ঘটনার পর ফজলুর রহমান যে ভাষায় দৃঢ় চিত্তে কথা বলেছেন - আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। স্যালুট জানাই।
আপনি ছাগুদের চাপে মাথানত করবেন না। এই দেশ কখনও ছাগুদের ছিলো না, আমরা তাদের হতেও দিবো না।
বিঃদ্রঃ যারা আজকে ফজলুর রহমানের সমালোচনা করেন হাসিনা আমালে তার ভাষন শুনে আইসেন। হাসিনা আমলে এই ভাষায় কথা বলতে যেটা লাগত সেটা আপনাদের নেই এবং তিনি আপনাদের মত মোনাফেক না।
ছাগু দেখা মাত্রই লাথির উপর রাখা একটি নৈতিক দায়িত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


