somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি ‘জনগন’ আমাকে ভয় কর অথবা জনগণের মুখচ্ছবি ও রাজনীতির কয়েক প্রসঙ্গ

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘জনগণ’ রাজনীতিতে বহুল উচ্চারিত কিন্তু অবহেলিত এক প্রপঞ্চ। শব্দটির বহুল ব্যবহার এর অর্থের নির্দিস্টতা ও সহজতা সম্পর্কে আমাদের প্রায় নিশ্চিত ও নিশ্চিন্ত রাখে । যখন বলা হয় ‘জনগণ রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান’ তখন আমরা বুঝে যাই এটি দ্বারা বোঝানো হয় সুনির্দিস্ট ভৌগোলিক পরিসরে বা রাষ্ট্রের সীমানায় বসবাসরত জনসমস্টি।‘জনগন’এর নানা পরিচয়ঃ কখনো তার পরিচয় নাগরিকের,কখনো তার পরিচয় ভোটারের; কখনো সে প্রজা বা শাসিত আর কখনোবা তার পরিচয় ভোক্তার।ভোটের রাজনীতিতে জনগণ সংখ্যাতাত্ত্বিক হিশেবের বিষয় ,আর আন্দোলনে - বিপ্লবে সে চালিকশক্তি । শ্রমশক্তির উপর নিয়ন্ত্রন ও উৎপাদনের উপকরণে মালিকানার ভিত্তিতে মার্ক্সীয় বীক্ষায় জনগণ তিন শ্রেণীতে বিভক্তঃ পুঁজিপতি, প্রলেতারিয়েত আর পেটি বুর্জোয়া। ধর্ম, ভাষা বা রাজনৈতিক মতাদর্শের নিরিখে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ আর ‘সংখ্যালঘিস্ট’ ক্যাটেগরিও দেখা যায় পলিটিকাল ডিসকোর্সে,যেমনঃ হিন্দু ,মুসলিম, বাঙালি,চাকমা ইত্যাদি।জনগণের আছে লিঙ্গভেদও। ক্ষমতা বলয়ে কেউ জালিম আর কেউবা মজলুম। তাই জনগণ বলতে কোন সমসত্ব পরিচয়( Homogenous Identity) বোঝায়না।গ্রীক নাটকের কোরাসের মতো জনগণ একস্বরিক নয়। বিবিধ পরিচয়ের এই বিপুল মানবসত্তার দেখভাল,নিয়ন্ত্রন আর বিকাশের দায়িত্ব নেয় রাষ্ট্র।বলা হয়ে থাকে, জনগনের সম্মতিই রাস্ট্রের বা সরকারের লেজিটিমেসি,যেটি গণবিপ্লব ,জনযুদ্ধ বা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অভিব্যক্ত হয়।তবে রাষ্ট্র টিকে থাকে তার বলপ্রয়োগের সামর্থ( coercive measure) ও মতাদর্শ তৈরির হাতিয়ার গুলোর(ideological state apparatus) মধ্যস্থতায়।তাই,রাষ্ট্র (পড়ুন সরকারের) ও জনগণের তরফে রাজনীতির ধরণ ভিন্ন।রাষ্ট্র জনগণের( কোন শ্রেণী বা গোষ্ঠীর) ‘দাবিগুলো’ কিভাবে এড্রেস করে বা করবে তা রাষ্ট্রের রাজনীতি, যেটিকে রাষ্ট্রের কৌশল বা রাস্ট্রের প্রাগমেটিজম বলা ভাল।লক –হবস বা স্পিনোজার চিন্তায়, জনগণ তার জান –মাল রক্ষা ও হরণের ক্ষমতা রাস্ট্রকে দান করে; তাই রাষ্ট্র যেমন নাগরিকের জানের নিরাপত্তা দেয়, একইভাবে রাষ্ট্র ব্যক্তির প্রাণও হরণ করতে পারে।রাষ্ট্র জনগণের যে দোহাই পাড়ে , তা মিশ্রসত্তা, শ্রেণীবিভক্ত ও বিবিধ স্বার্থসম্পন্ন।কোন গোষ্ঠী যদি যদি নিজেকে ‘জনগণ’ বলে দাবি করে তবে তাকে শ্রেণি ও স্বার্থ নির্বিশেষে সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করতে হয়।সরকার ও সংবিধান ছাড়াও এই যুগে ‘কে বা কারা জনগণ’ এটার ফায়সালা অনেক সময় অধিপতি মিডিয়াও দিয়ে থাকে।শাপলা ও শাহাবাগে আমরা লক্ষ্য করেছি মিডিয়ার উপস্থাপনের রাজনীতি ।

পরিচয়ের অভিন্নতাবোধে জনগণ হয় জাতি আর স্বার্থের একতাবোধে জনতা হয় জনগণ। আর্জেনটিনার রাজনৈতিক তাত্ত্বিক আরনেস্ত লাকলাও (১৯৩৫ – ২০১৪ ) তার On Populist Reason বইয়ে দেখাচ্ছেন, কিভাবে একটি বিশেষ দাবী অন্যসব দাবিকে একটি সাধারণসুত্রে আবদ্ধ করে গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। দাবিদাওয়াকে তিনি রাজনীতি ও গণআন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে আলোচনা করেন।সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী, লিঙ্গ, ধর্ম ও পেশার মানুষের বিবিধ স্বার্থের মধ্যে যতটুকু অভিন্ন তার মধ্যে ‘ব্যক্তি’ ও ‘সমস্টি’ হিশেবে অনেকসময় চিহ্নিত করা যায় জনগণকে।জনগণের রাজনৈতিক বাসনা অনেকসময় প্রতীকি অবয়ব পায় ‘কোন বিশেষ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ’ এর ভেতর।‘আমেরিকান স্কলার’ প্রবন্ধে রালফ অলডো ইমার্সন(1803 – 1882)জানাচ্ছেন, জনগণ তাদের দুর্বলতার প্রতিবিধান ও সামর্থের ঘনীভূত রূপ দেখেন বুদ্ধিজীবীর ভেতর, বা বলতে পারি নেতার ভেতর।প্রায়শই ‘নেতা’কে ঘিরে জনগণের রাজনৈতিক বাসনা প্রচারিত, প্রকাশিত বা প্রতিষ্ঠিত হয়।তবে সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা যুগে অনেকসময় শুধু বক্তব্যের ‘সত্যে’ ও ‘দৃঢ়তা’য় উজ্জীবিত হয়ে কোন দৃশ্যমান নেতার আপাত উপস্থিতি ছাড়াই জনতার ভারচুয়াল একতা,সম্মিলন, ও শক্তি পরিলক্ষিত হয়, কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে সফলতাও লক্ষ্য করা যায়। বিগত এক দশকের কম সময়ের মধ্যে এভাবে উদ্ভুত হয়েছে ‘জনগণ’, সার্বভৌমত্ব ও রাজনীতির নতুন ফেনমেনন।

‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ প্রতিপাদ্যে জনগণকে ঘোষণা করা হয় সার্বভৌমত্বের মালিক; রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয় জনগণকে । কিন্তু রাস্ট্রের এই মালিকপক্ষের ক্ষমতা চর্চার স্বরূপ কী ?জনগণের এই সার্বভৌমত্বের ধারণাকে অনেকে বলেন ‘ফিকশনাল’ কারণ জনগণের সার্বভৌমত্ব চর্চিত হওয়ার ক্ষেত্র সীমিত,এবং জনগণকে তার তথাকথিত ‘ইচ্ছার স্বাধীনতা’ প্রয়োগ করতে হয় প্রতিনিধির মাধ্যমে।ভোট ও ভেটোই তার ‘Performance of citizenship’ বা নাগরিকত্ব উদযাপন। আবার, জনগণের ‘কন্সেন্ট’ ও ‘ডিসএগ্রিমেন্ট’ কে ‘ manufactured’ করা যায় ম্যান, মানি, মাসল ও মিডিয়া দিয়ে।এতসব সত্ত্বেও, জনগণের আছে রাজনৈতিক কর্তাসত্তা বা পলিটিকাল এজেন্সি ;যেকোনো সময় সে উদ্বোধিত হতে পারে,জেগে উঠতে পারে পরিবর্তনের তাগিদে ও তাড়নায়।

জনগন কখনো শুধুই জনসংখ্যা,আদমশুমারি ও জরিপের পাত্র।আবার, রাষ্ট্রের মধ্যকার প্রতিটি ব্যক্তিমানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ করদাতা এবং বিনিময়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা প্রাপ্তির অধিকারী। প্রতিটি জনগণ মিশেল ফুকো কথিত “Governmentality of the state “ বা রাষ্ট্রের প্রসাশনিকতার লক্ষ্য, পলিসির টার্গেট।রাষ্ট্রের ভৌগলিক পরিসীমায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ ও দেখভালের করে থাকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষীয় এই তৎপরতা জনগণকে রাষ্ট্রের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ করে।‘আদর্শ রাষ্ট্রে’ ধর্ম,বর্ণ, শ্রেনী,ভাষা নির্বিশেসে সকল মানুষই নাগরিক হিশেবে বিবেচ্য।নাগরিকত্বের ধারণা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে অংশগ্রহণের নৈতিক ব্যঞ্জনা বহন করে।

আমেরিকান চিন্তক হেনরি ডেভিড থরো(1817 – 1862) তাঁর “Civil Disobedience” প্রবন্ধে ব্যক্তিনাগরিকের অধিকারের জায়গা থেকে রাষ্ট্রকে দেখছেন।তিনি গণতন্ত্রের চেয়েও একধাপ এগিয়ে যেতে আগ্রহী। থরো মনে করেন, যদি শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিবর্তিত হয়ে absolute monarchy থেকে limited monarchy হয়ে democracy পর্যন্ত পৌঁছতে পারে তবে প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে গুরুত্ব প্রদান করবে যে শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাতেও উপনীত হওয়া সম্ভব। জেফারসনের এই উক্তি “That government is the best government that governs the least” কে তিনি সম্প্রসারিত করে “ that government is the best government that governs not at all” এ পৌছুতে চান। যদিও থরোর ভাবনা চরম ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক বা এনার্কিস্ট বলে সমালোচিত, তবুও ব্যক্তি নাগরিকেরও ‘জনগণ’ এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অধিকার আছে।যদি একজন মজুর নিজের বুকে চাপড় দিয়ে পুলিশের বড় কর্মকর্তাকে বা কোন জনপ্রতিনিধিকে বলতে পারে “ আমি জনগণ,আমাকে ভয় করো” তবে বোঝা যাবে জনগণ দৃশ্যমান।ব্যক্তি শুধু জনগণের বৃহত্তর ক্যটেগরিরই( Collective body) অন্তর্ভুক্ত নয়, সে নিজেও ‘জনগণ’, তার ‘ন্যায্য’ অধিকার ও দাবিদাওয়াসমেত।

“ফোরাতের তীরে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মরে তবে আমি উমর এর জন্য দায়ী” এই উচ্চারণটি ‘জনগণ’ ধারণাকে আরও সম্প্রসারিত ও গভীর করে।প্রথম খলিফা হিসেবে অভিষেক কালে হযরত আবু বকর এক আশ্চর্য ভাষণ দিয়েছিলেনঃ “The weak amongst you shall be strong with me until I have secured his rights … and the strong amongst you shall be weak with me until I have wrested from him the rights of others….” “আজ থেকে আমার কাছে ক্ষমতাবানেরা ক্ষমতাহীন আর ক্ষমতাহীনরা শক্তিশালী”। এ বক্তব্য নির্দেশ করে শাসক ও শাসিতের সম্পর্কের এক বিশেষ দিক।ইশারা দেয়, ক্ষমতাহীন প্রান্তিক মানুষরাই রাষ্ট্রের তরফে প্রকৃত ‘জনগণ’ ।রাষ্ট্রের দায়িত্ব ‘ ইনসাফ’ ও ‘হক’ প্রতিষ্ঠা করা আর এই ইনসাফবোধের দাবিই মজলুম বা ক্ষমতাহীনের পাশে দাঁড়ানো।তবে মোজাফফর আলম তাঁর “The political vocabulary of Islam “ বইয়ে নাসিরুদ্দিন তুসীর ‘আখলাকে নাসিরি’ গ্রন্থের বরাতে ‘শাসক’ ও ‘ শাসিত’ এর সম্পর্কে বোঝাতে ‘ইন্সাফ আর মুহাব্বাত’ শব্দ দুটির ব্যবহার দেখিয়েছেন। নাসিরুদ্দীন তুসি(১২০১-১২৭৪) ‘মুহাব্বাত’কে কাঙ্খিত ও সর্বাগ্রে গণ্য করে ‘ইনসাফ’ কে দ্বিতীয় অগ্রাধিকারের বিষয় বলেছেন।তাঁর মতে, ইনসাফ কৃত্রিম কারণ এটা আরোপিত ও বল প্রয়োগে প্রতিষ্ঠিত হয়, ইনসাফ বিভক্ত করে আর অপরদিকে মুহাব্বাত প্রাকৃতিক, এটা এক করে ,যুক্ত করে। মহব্বতের সম্পর্কে কোন অধিপতি – অধীনস্ত নাই।

Politics of the governed বা শাসিতের রাজনীতি বলে একটা বই আছে নিম্নবর্গের ইতিহাসতাত্ত্বিক পার্থ চ্যাটার্জীর (১৯৪৭-)।তাতে এক জায়গায় তিনি দেখাচ্ছেন যে, জনগণের তরফে যে রাজনীতি হয় তা élite domain ও subaltern domain এ ভিন্ন ভিন্ন । যাহোক, বুর্জোয়া বা ক্ষমতাবান-বিত্তবান শ্রেণীর সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক মূলত সমঝোতার ও সহযোগিতার।দরিদ্র,খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষ প্রায়শিই নানা নিগ্রহের স্বীকার।রাষ্ট্রের কাছে তারা যতটা না নাগরিক,তারও চেয়ে বেশী প্রজা।তারা ‘পপুলেশন’ মাত্র ‘সিটিজেন’ নয় যেনবা।‘গরীবের সৌন্দর্য’ নামে হুমায়ুন আজাদের একটি কবিতা আছে যেখানে তিনি বলছেনঃ জীবনযাপনের কোনো মুহূর্তেই গরিবদের সুন্দর দেখায় না।/শুধু যখন তারা রুখে ওঠে কেবল তখনি তাদের সুন্দর দেখায়। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই কী তবে মুর্ত হয়ে উঠে জনগণের মুখচ্ছবি? অরুন্ধতী রায় তার সিডনি বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেছিলেন , ‘জস্টিস’ প্রতিষ্ঠিত হয়না ‘রেজিস্টেন্স’ ছাড়া। সর্বস্তরের জনগণের নানামাত্রিক প্রতিবাদ,প্রতিরোধ ও উচ্চকিত কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রের রূপান্তরে অপরিহার্য।আজকাল রাষ্ট্র ও সরকারকে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে (social point of view) দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে একাডেমিক প্রাঙ্গনে।রাজনৈতিক পরিসরে জনগণের অপসৃয়মান মুখকে ফিরে আসতে হবে গণশক্তি আকারে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তিন মুলনীতি ---সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার--- এর প্রশ্ন দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের পলিটিকাল ডিসকোর্সে অনুপস্থিত। জনগণের তরফ থেকে এই নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলা ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সকল নাগরিকের মধ্যে ‘ইনসাফ’ প্রতিষ্ঠা করা জনগণের রাজনীতি ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের শর্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×