somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জাহিদুল হক শোভন
এই শহরে অনেক হাজার হাজার ছেলে আছে যারা চুপচাপ থাকে, কথা কম বলে। পৃথিবীতে তারা বোকা, লাজুক, হাঁদারাম নামে পরিচিত। আমাকে এর সাথে তুলনা করলে তেমন একটা ভুল হবে না। নিজের ব্যাপারে বলাটা অনেক কঠিন। তবে নিজেকে মাঝে মাঝে অনিকেত প্রান্তর ভাবি।

গল্প: দুর্বিপাক

২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিয়ের দশ বছর পর যখন নিজের স্ত্রীর এক্সের কথা জানতে পারা যায় তখন নিজেকে শান্তনা দেওয়া যায় এই বলে যে, বিয়ের আগে এই রকম সম্পর্ক এই যুগে থাকতেই পারে। কিন্তু যখন নিজের স্ত্রীর এক্সে এর সাথে অন্তরঙ্গের ছবি স্বচক্ষে দেখা হয় তখন বিষয়টা খুব ভয়ংকর। তখন মাথার উপর থেকে শান্তির ছায়াটা সরে যায়। বুকের ভিতর অতিরিক্ত ধড়ফড় শুরু হয়ে যায়। চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। নিজের মাঝে থাকা যায় না।

আজাদ ভাই ও নিজের মাঝে নাই। ইদানিং উনারে আমি বেশ অন্যরকম দেখছিলাম। প্রায় আমি জিজ্ঞেস করি “আপনার কি মন ভালো? আপনারে আজকে কেমন যেন উদাসীন উদাসীন লাগতেছে।” উনি মুখে একটা হাসি টেনে বলতো “কাজের চাপ বেশিরে। ইদানিং শরীরটা দূর্বল দুর্বল লাগে। “ উনি যে জোর করে মুখে হাসিটা আনতেন আমি বূঝতে পারতাম। এই রকম প্রায় হতে লাগলো। কিন্তু গতকাল আমি যখন একটু বেশি বাড়াবাড়ি এবং একটু রেগে গিয়ে বলেছিলাম “তুমি কি জানো তুমি তোমার মাঝে নাই। ইদানিং প্রায় তোমার কাজে ভুল হচ্ছে। ঠিক মত কাজের প্রতি এটেনশন দিতে পারছো না। প্রায় মাথায় হাত দিয়ে চুল আউলাতে থাকো। এটা আমি নোটিশ করেছি। কি হয়েছে তুমি আমাকে বলবা? তুমি না আমাকে তোমার ছোট ভাই ভাবো? তাহলে তুমি আমার কাছে এতো সংকোচতা কেন করছো? আমাকে তোমার প্রবলেমের কথা বলো।” উনি কান্না করে দিয়েছিলো। আমাকে বললো “বলা যাবে না। একদমি না। একদমি না। ওর সম্নানের ব্যাপার। জানিস আমার মেয়েটার জন্য মায়া হয়। আমার কিছু হয়ে গেলে ওর কি হবে। আমি যেন নিজেরে ঠিক রাখতে পারি। আমি নিজেরে ঠিক রাখতে পারছি নারে। আমার ভিতরটা ছাড়খার হয়ে যাইতেছে। ঠিক মত ঘুম হয় না। ঠিক মত খাইতে পারি না। যন্ত্রনা হয়। অনেক যন্ত্রনা। মাথা ঘুরায়। আমার সাথে এমনটা হওয়ার কথা ছিলো কি?

আমি উনারে শান্তনা দিতে লাগছিলাম আর বলছিলাম “তোমার কিছুই হয় নাই। আমরা মানুষ। এই মানুষের জীবনে যন্ত্রনা দুঃখ আসবেই। দুঃখ যন্ত্রনা ছাড়া জীবন চলে না। এই দুঃখ যন্ত্রনা যদি না থাকতো তাহলে আমরা সুখের মর্মটা বুঝতে পারতাম না।” উনি আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলো। তারপর চোখভরা পানি নিয়ে বললো “আমার জন্য একটু দোয়া করনা। আল্লাহ তো দোয়ার মাধ্যমে সব কিছু পরিবর্তন করতে পারে। উনি সব কিছু করার ক্ষমতা রাখে। আমি উনারে হাজার বার বলতেছি, হাজার বার ডাকতেছি সেজদায়, আমাকে স্বাভাবিক করে দিতে। কিন্তু এই গুলা আমার মাথা থেকে সরতেছে না। আমাকে একের পর এক যন্ত্রনা দিচ্ছে। “

আমি থমকে গেলাম। আমি অনুরোধ করলাম আমাকে খুলে বলতে। কিন্তু উনি বলতে নারাজ। বললে তার মানুষটার মান সম্মানে আঘাত আনবে। তার মানুষটার সম্মান এই ভাবে নষ্ট করতে দিবে না। আমি চিন্তা করলাম এটা কোন মানুষ হতে পারে। পরে বুঝলাম। ভাবি। কারন ভাবিকে উনি জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। আমি আন্দাজে বললাম “ভাবি কি তোমার সাথে কিছু করেছে? তুমি বলতে না চাইলে আমি তোমাকে বাধা জোর করবো না।” উনি আবার কান্না করতে লাগলেন। তারপর আমাকে যেটা বললেন আমার বুকের ভিতরটাও নাড়া দিয়েছিলো। আমাকে বললো “বিয়ের আগে উনার স্ত্রীর একটা রিলেশন ছিলো। যেটা আজাদ ভাই জানতেন না। ভাবিও এই বিষয়ে জানায়নি কোন দিন। কিন্তু বিয়ের এতো বছর হঠাৎ একদিন ফোন করে আজাদ ভাইকে একজন জানায়। আজাদ ভাই বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবেই নেয়। ভাবিকেও এই বিষয়ে আস্ক করেনি। কিন্তু যে ফোন করেছিলো সে লোকটা ভাবির কিছু অন্তরঙ্গের ছবি পাঠায়। আজাদ ভাই থমকে গিয়েছিলো। একবার ভাবলো এই গুলো কেউ ষড়যন্ত করছে। কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ার সময় সেই ছেলের সাথে ভাবির আরো বেশ কিছু ফটো দেয়। নানা পোগ্রামের ফটো দেয়। ঘুরতে যাওয়ার ফটোও দেয়। এরপর তাদের ক্লোজ হওয়ার ছবিও পাঠায় আরো। আজাদ ভাই ভয় পেয়ে যায়। কষ্ট পায়। যন্ত্রনা পায়। তারপর আজাদ ভাই যখন বললো “ভাই তুমি কি চাও? প্লিজ এইগুলো ডিলেট করে দাও। আমার সাথে দেখা করে সব ছবি আমার সামনেই নষ্ট করে দাও। তুমি যত টাকা চাও আমি দিব। ভাই আমার একটা মেয়ে আছে। এই সংসারটা শেষ হতে দিও না। ওরে আমি অনেক ভালোবাইসা ফেলছি। ওরে আমি বাদ দিতে পারবো না। ওর সম্মানহানী হয় আমি এমন কিছু আর চাই না। তুমি টাকার জন্যই তো এমন করতেতো তাই না? বলো কত টাকা দিতে হবে?”

কিন্তু সেই ছেলেটা টাকা পয়সা নিতে চায় না। সে জানায় “রিলেশনের সময় এক পর্যায়ে আজাদ ভাই এর ওয়াইফ এর পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দেয়। পালিয়ে বিয়ে করার জন্য সেই ছেলেটা চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু তা হয়ে উঠে না। একসময় আজাদা ভাই এর সাথে বিয়েটা হয়ে যায়। বিয়ের পর এই ছেলেটা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার জীবন থেকে পাঁচটা বছর নষ্ট হয়। মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার মতে, আজাদ ভাই এর ওয়াইফের কারণে তার জীবনের এই অবস্থা। তার জীবন এই ভাবে শেষ করে দিয়ে আজাদ ভাই এর ওয়াইফ স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখে আছে। সেও আজাদ ভাই এর ওয়াইফের সব কিছু দুঃখে পরিণতি করে দিবে। এর বেশি কিছু চায় না। সে একেক বার একেক স্থান এবং ভিন্ন নাম্বার থেকে কল দেয়। বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে ছবি গুলো পাঠায়।

এই গুলা জানার পর আজাদ ভাইকে কিভাবে শান্তনা দিব বা আমার কি বলা উচিৎ ছিলো আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শুধু এইটা বলেছিলাম ”নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যুগে সাহাবীদের যখন কিছু প্রয়োজন হতো বা একটা জুতোর ফিতার দরকার হলেও আল্লাহর কাছে চাইতো আর তুমিও তো আল্লাহর কাছে চাইছো , উঁনি তো কাউকে খালি হতে ফিরিয়ে দেয় না। যেটা মঙ্গলকর সেটাই দিবে। শুধু ধৈর্য্য ধরো। উনিই একটা না একটা পথ বের করে দিবে। সে যে যে নাম্বার থেকে কল করেছে সব নাম্বার গুলো আমাকে দাও। আমি দেখি কি করতে পারি। আর সেই ভার্সিটিতে গিয়ে কোন ব্যাচ এর স্টুডেন্ট তার ঠিকানা বের করতে হবে। ভাবিকে কিছু জানাও নাই ভালো করছো। না হয় উনার মধ্যে একটা খারাপবোধ তৈরি হবে তারপর তোমার সাথে কথা বলতে, তোমার সামনে আসতে সংকোচতা তৈরি হবে। আস্তে আস্তে সংসারে দুরত্ব তৈরি হবে। যা করার আমাদেরকেই করতে হবে। তুমি এইভাবে থাকলে হবে না। ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করতে হবে। কোন জায়গা দিয়ে গুটিটা কেমন করে চালতে হবে।

রাতে আমারও ঘুম হয় না। এই কথা গুলো নিয়ে আমার ভিতরকার মাঝে অস্থিরতা কাজ করে। আর যখন মনের ভিতর অস্থিরতার কাজ শুরু হয় তখন পুরানো স্মৃতি গুলো নাড়া দেয়। আমার ইরতিজার কথা মনে পড়ে। ওর সাথে আমার পাঁচ বছরের রিলেশন। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করে ভার্সিটির শেষ পর্যন্ত। ওরে আমি প্রায় বাবুই পাখির নাম ধরে ডাকতাম। আমাকে একদিন বললো “তুমি আমাকে এই নামে ডাকো ক্যান?” আমি বলেছিলাম “তুমি আমার কাছে এমন একজন মানুষ যাকে আমি বিশ্বাস করি, যার মাঝে আমি অলসতা দেখি না। যার ভালোবাসার যত্নে হাজারবার ভালোবাসার ইচ্ছাটা বেড়ে যায়। যার মনে বিন্দু পরিমাণ বড়াই নেই। তুমি এমন একটা মানুষ নিজেকে ঠিক রাখা, আবার পরিবারকে মানিয়ে নেওয়া, আমাকে ঠিক রাখা। কবিতার লাইনটা পড়োনি? “বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চোরাই ... কুড়ে ঘরে থেকে করো-শিল্পের বড়াই” এই নামে ডাকলে কি তোমার অসুবিধা?” সে আমাকে বলে “জ্বি না জনাব, কিন্তু আমি তোমাকে যতটা ভালোবাসি তার থেকে অনেকগুন বেশি ভালোবাসো তুমি। এই ভালোবাসাটা জানিনা কতদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবো। আমার মাঝে মাঝে ভয় হয়। এই জীবনে, এই ভালোবাসায় যদি কোন ঝড় আসে? বাবুই পাখিদের অনেক চিন্তা। যখন একটু বাতাস আর ঝড় শুরু হয় তখন থেকেই চিন্তার শেষ নেই। নিজের স্বপ্নের গড়া, ভালোবাসার গড়া, আপন মায়ায় গড়া সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। “ আমি তার নাক ধরে বলি “এই বাবুই পাখিরা হাজারবার কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। তারপর আবার নতুন করে শুরু করে।” ইরতিজা গভীর দীর্ঘশ্বাস নেয়। তারপর আমাকে বলে “বদমাইশ নাক ধরবা না। কথায় কথায় নাক ধরে। লাগে তো নাকে।”

আমাদের ভালোবাসাটা ছিলো স্বপ্নের মত, ফুলের মত, আকাশে ভেসে থাকা মেঘের মত, বাতাসের মত। চাইলেই আমরা স্বপ্ন বুনতে পারতাম।, সুভাশ নিতে পারতাম। ছুয়ে দিতে পারতাম। রাগ অভিমান ছিলো না, তা না। আমাদেরও ঝগড়া হতো, রাগ হতো,, অভিমান হতো। আর এসব কিছুর মাঝে ভালোবাসাটা বেড়ে যেত। একদিন কথা না বললে ও ফোন করে বলতো “তুমি ফোন দিছো কেন?” আমি হাসতাম। সে নিজেই ফোন দিয়ে এমন বলতো। আবার বলতো “আমি যা যা ভালোবাসা দিছি সব ভালোবাসা ফেরত দাও।” আমি হেসে বলতাম “ভালোবাসা ফেরত দেওয়া যায় না। এটা ফেরত দিতে পারলে দিয়ে দিতাম।” সে ন্যাকামো করে বলে “ফেরত দিতে না পারলে ভালোবাসছো ক্যান? ফেরত দিতে না পারলে যত্ন করে রাখো। আরো ভালোবাসো। যেদিন ফেরত দিতে পারবা সেদিন চলে যাইও। আটকাবো না। এবার একটু ভালোবাসো। আদর করে ডকো। দুইটা দিন কথা বলে না বদমাইশ ছেলেটা। আসলেই আমি বাবুই পাখি। সব কিছুতে কষ্ট। ভালোবাসার মানুষের কাছেও কষ্ট। এতো কষ্ট দাও কেন? মায়া লাগে না? ” আমরা আবার ভালোবাসতাম। আবার অভিমান করতাম এই সেই নিয়ে।

এই ভালোবাসা আমি তাকে কোন দিন ফেরত দিতে পারিনি। যত্ন করেও রাখতে পারিনি। ভালোবাসা গুলো এমন কেন? বিবর্ণ কেন? যেখানে একসময় অনাবৃত থাকে। বুকের মধ্যে বিগতদ্যুতি ছড়ায় নিমিষেই। তবুও ভালোবাসা অন্তরে থাকে। বেঁচে থাকে। আমিও হারিয়ে ফেলেছিলাম আমার ভালোবাসাকে। হারিয়ে ফেললে ভুল হবে। নিয়তির মাঝে আমাদের ভালোবাসা ছিলো না। সব ভালোবাসার মাঝে একটা প্রবর্তন থাকে । একটা সমুদ্রবারি থাকে। যেখানে দিন শেষে না চাইলেও ভিজতে হয়। ডুবতে হয়। যে সমুদ্রবারির কাছে আমাদের উচ্চতা ক্ষুদ্র। সেখানে টিকে থাকা কঠিন। পরিবেশের আবহাওয়ায় সতর্ক থাকতে হয়। সর্বদা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। না হয় যে কোন সময় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপর হাজার চেষ্টা করলেও প্রতুলতার মাঝে ফিরে যাওয়া যায় না। আর সেই সমুদ্রবারিটা একটা পরিবার। ইরতিজার পরিবারও আমাদের সম্পর্কটা মানেনি। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলো। আমি নির্বাক হয়ে চোখের জল ফেলেছিলাম আর রাতের অন্ধকারে কাতরাতাম। ছটফট করতাম। আমাদের কারো হাতে সব ক্ষমতা থাকে না। থাকে না চাইলেই নিজের রা্জ্যটাকে পরিচালনা করতে। একসময় সে রাজ্যটায় অন্যকেউ পরিচালনা করে। ইরতিজার রাজ্যেও অন্য কেউ এখন। ও আমাকে সব কিছু থেকে মুছে দিয়েছে। মাঝে মাঝে ওর ছবি গুলো আমি দেখি। তখন ভিতরটা নাড়া দিয়ে উঠে। কষ্ট লাগে। এই কষ্ট পাবো জেনেও বাব বার দেখি। কারণ আমরা মানুষরাই এমন।

দশ দিন পর আজাদ ভাই কে নিয়ে সে ছেলের সামনে আমি উপস্থিত। ওর নাম আফরাজ। সাইবার ক্রাইমে কাজ করে আমার এক পরিচিত ছোট ভাই আছে। ওর সাহায্য আমি আফরাজকে খুঁজতে সাফল্য হই। প্রথমে ভার্সিটি গিয়ে ওর বাড়ির এড্রেস বের করি। এড্রেস বরাবর গিয়ে ওকে পাইনি। পরে পেলাম। ঢাকার মিরপুরে। ওর সাথে দেখা করে ওর মোবাইল, ল্যাপটপ সব নিয়ে সব কিছু নষ্ট করি। ইমেইল ও গুগল ড্রাইভ থেকেও সব ডিলেট দিয়ে মোবাইল, ল্যাপটপ রিসেট করে দুইটা চড় মেরেছিলাম আমি। পরে নিজেই জড়িয়ে নিয়ে বুঝিয়ে বললাম “জীনটা নতুন করে শুরু করে নেওয়ার জন্য।”

রাতে আমি আবার ইরতিজার ছবি গুলো দেখি। আবার কষ্ট হয়। মনে দুঃখ বাড়ে। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটার গল্পের সারমর্ম আমরা বুঝি। সেখানে বার বার দুর্বিপাক হয়ে গোলকধাধায় আটকে থাকতে হয়। এই সুন্দর পৃথিবীটাতে আমারা অল্প সময়ের বাঁচি। অল্প সময়ের জন্য শ্বাস নিয়ে জীবন যাপন করি। এই জীবন যাপনের মাঝে কাউকে না কাউকে পরম মমতায় ভালোবাসতে হয়। কেউ কেউ এই ভালোবাসার অর্থ বুঝেও ভান করি। নতুন কাউকে আকড়ে ধরি। এসবের মাঝেও আমরা বাঁচতে শিখি। পথ চলতে শিখি। আর যখন খুব মনে পড়ে তখন জীবনটাকে দুর্বিপাক মনে হয়। আমি ইরতিজার ছবি গুলো সব সিলেক্ট করি তারপর চোখ বন্ধ করে ডিলেট অপশনে চাপ দিয়ে ল্যাপটপটা অফ করে দেই। কিছু সম্পদ ধরে রাখতে নেই। তাতে দুঃখই বাড়ে। আমি জানি না, আজাদ ভাই তার স্ত্রীকে আগের মত ভালোবাসতে পারবে কিনা। হয়তো কোনদিন এসব উনার স্ত্রীকে বুঝেতে দিবে না। মানুষটা কষ্ট পাবে যখন মনে পড়বে এসব। হয়তো ভালোবাসার অভিনয় করে সবার সামনে হাসি খুশি থাকবে। আমার মাঝে মাঝে নিজেকে সমুদ্রের স্রোতের মত মনে হয়। এই স্রোত মাঝে মাঝেই এসে ধাক্কা দিয়ে কষ্ট গুলো মনে করিয়ে দেয়। আমাদের এসব সহে যেত হয়। কারণ আমরা মানুষ আর আমাদের জীবনেই থাকে দুর্বিপাক…
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×